"তোমার চোখ"
তুমি অমনভাবে তাকিওনা আমার দিকে-
অমন অপার্থিব স্বর্গীয় দৃষ্টিতে;
তোমার চোখের ঐ অসংজ্ঞায়িত সৌন্দর্য ধারণ করার যোগ্যতা আমার নেই,
এমনকি তা সহ্য করার ক্ষমতাও আমার নেই।
অমন চাহনিতে মেরুর নিরেট বরফ গলে উত্তাল জলধি বয়ে যাবে,
সূর্য জ্বলে ছাই হয়ে যাবে,
আগুন রুপান্তরিত হবে শুভ্র ধোঁয়াতে,
আর তুচ্ছ আমি তো ধূলিকণায় মিশে যাব ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর হয়ে।
তুমি ওভাবে তাকালে আমার হৃদয় ফুটো হয়ে যায়-
যেন কালজয়ী যোদ্ধার তরবারীর মত ভীষণ ধারালো চাহনি তোমার…
তুমি ঢেকে রাখো চোখ দু’টো কোমল পাপড়ি দিয়ে,
নতোবা ইতিহাসের গর্ভ থেকে অমর সুন্দরীদের পুনরুত্থান হবে,
বিপ্লবে বিদ্রোহে ছারখার হবে আকাশ-পাতাল,
উলট-পালট হয়ে যাবে মানচিত্রের বিন্যাস,
এমন অপূর্ব চোখ
জ্বলজ্বলে তারা
চকচকে চাঁদ
তাদেরও যে নেই!
মরুক আফ্রোদিতি, সাইকি, ক্লিয়োপেট্রার দল
মরুক তারা ঈর্ষার অনলে,
আমি একা পুড়ে খাক হবো
তোমার চোখের আগুনে!
“সাত ফেব্রুয়ারী”
সাতই ফেব্রুয়ারী
তোমার সাথে আমার হল ভীষণ রকম আড়ি।
ভুলগুলো ছিল আমার করা,
ফুলগুলো সব তোমার,
সেই ভুলেরই মাশুল আজ-বাগান ছারখার;
নেই কিছু আর চাওয়ার,
পেয়েছি যা ছিল পাওয়ার,
তবু গভীর রাতের আঁধার বাড়ায় তীব্র হাহাকার।
এক পারিজাত জোনাক ছিল,
ছিল চাঁদের বুড়ি,
রাত-পোকারা ছলে-বলে করলো অশ্রু চুরি,
এক ঢেউ নীল জল ছিল,
ছিল অথৈ সাগর,
জল মাপতে ভুল ছিল তাই ফুঁসলে উঠলো ঝড়;
একদিকে রং-তুলি ছিল
একদিকে তরবারি,
তবু ক্ষুরের দাগেই শোণিত হল সাতই ফেব্রুয়ারী…