somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মোবাইল ফোন

২৩ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ভূমিকা
আধুনিক বিজ্ঞানের অন্যতম উপহার মোবাইল ফোন। যোগাযোগ ব্যবস্থায় অভূতপূর্ব বিপ্লব সৃষ্টি করেছে এটি। মোবাইল ফোনের বদৌলতে পুরো বিশ্ব আজ হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। বহুমুখী ব্যবহারের কারণে এর গুরুত্ব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। মোবাইল নেটওর্কায়ের ্র বাইরে এখন কেউ থাকতে চায়না। কারণ নেটওর্কায়ের বাইরে থাকা মানে পুরো বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন থাকা। মোট কথা মোবাইল ফোন ছাড়া পুরো বিশ্ব অচল।
বর্তমান যুগ বিজ্ঞানের যুগ। বিজ্ঞান প্রায়আমাদের সকল চাওয়াকেই পাওয়া করে দিয়েছে। বিজ্ঞান আমাদের অনেক কিছু দিয়েছে। যার মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত জিনিস হচ্ছে ‘মোবাইল ফোন”। নিঃসন্দেহে এটি আমাদের দৈনিন্দিন জীবনকে পুরোপুরি পরিবর্তন করেছে।

জন্মলগ্ন
মোবাইলের জন্ম কখন হয়েছে, তার হিসেব করা কঠিন। তবে ধারণা করা হচ্ছে, টেলিফোন ও রেডিও এর সংমিশ্রণর মোবাইল ফোন তৈরি করা হয়েছে। তবে টেলিফোন আবিষ্কার করেন গ্রাহাম বেল (১৮৭৬) এবং রেডিও আবিষ্কার করেন মার্কনী (১৮৯৪)। পূর্বে রেডিও এর ট্রান্সমিশনের ক্ষমতা ছিল সর্বোচ্চ ৪০ থেকে ৫০ মাই্ল। তার উপর সমস্যা হল চ্যানেল সংখ্যা নিয়ে। চ্যানেল সংখ্যা একে তো ছিল কম, তার উপর এক সাথে অনেক লোক ব্যবহার করতে পারতো না। যা আসলেই ঝামেলাদায়াক ছিল। কিন্তু বর্তমান অবস্থা ঠিক এর উল্টোটা। বর্তমানে রেডিও চ্যানেলের সংখ্যা বেড়েছে, কিন্তু তবুও এক সঙ্গে অনেকে ব্যবহার করতে পারছে না।
প্রথম ঈধাব জধফরড় ধারণার উদ্ভব হয় সেই ১৯০৮ সালে, যেটাকে সেলুলার ফোনের জন্মসূত্র ধরা হয়। যদিও বাস্তবের মোবাইল ফোন এসেছে অনেক দেরিতে। দুই বছর পর ১৯১০ সালে খধৎং গধমহঁং ঊৎরপংংড়হ তার গাড়িতে টেলিফোন লাগিয় ফেলেন, ভ্রাম্যমান ফোন হিসেবে এটার নামই প্রথম আসে। যদিও ঊৎরপংংড়হ-এর ফোনটা ঠিক জধফরড় চযড়হব ছিলোনা। ভদ্রলোক তাঁর গাড়ি নিয়ে দেশময় ঘুরে বেড়াতেন এবং প্রয়োজন হলেই গাড়ি থামিয়ে ফোনের সাথে লম্বা দুইটা তার লাগিয়ে নিতেন, তারপর ঘধঃরড়হধষ চযড়হব ঘবঃড়িৎশ ব্যবহার করে ফোন করার কাজ সারতেন !!
সমসাময়িক ইউরোপের ট্রেনগুলোতে প্রথম শ্রেনীর যাত্রীরা জধফরড় ঞবষবঢ়যড়হব ব্যবহারের সুযোগ পেতেন। এই সুবিধা ছিলো বার্লিন থেকে হামবুর্গ পর্যন্ত সীমাবদ্ধ। একই সময় বিমানের যাত্রীরা নিরাপত্তার খাতিরে রেডিও টেলিফোন সুবিধা পেতেন। এ জাতীয় ফোনের ব্যাপক ব্যবহার হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়। জার্মানী মূলত ব্যাপক প্রচলন ঘটায় । সৈন্যরা যোগাযোগের জন্যে এটাকে ব্যবহার করত।

আমরা যে মোবাইল ফোন কে চিনি তার জন্ম ১৯৭৩ সালে। আজকের বিখ্যাত মোবাইল ফোন নির্মাতা কোম্পানী মটরোলার হাত ধরে যাত্রা শুরু করে সেলুলার ফোন। নাম দেওয়া হয় উুহধঞঅঈ ৮০০০ঢ। মজার ব্যাপার কি জানেন, এই ফোনটাতে কোনো ডিসপ্লে ছিলোনা। ১৯৭৩ সালের ৩ এপ্রিল মটরোলার কর্মকর্তা উৎ. গধৎঃরহ ঈড়ড়ঢ়বৎ বেল ল্যাবস-এর কর্মকর্তা উৎ. ঔড়বষং ঊহমবষ-এর সাথে বিশ্বের ইতিহাসে প্রথমবারের মত মোবাইল ফোনে কথা বলেন। আর মোবাইল ফোনের ইতিহাসের সাথে জড়িয়ে যায় এই দুই বিজ্ঞানী, মটরোলা আর বেল ল্যাবস-এর নাম। অবশ্য জধফরড় ঞবষবঢ়যড়হব ঝুংঃবস-এর আবিস্কারক হিসেবে মার্টিন কুপার আর তাঁর গুরু গড়ঃড়ৎড়ষধ চড়ৎঃধনষব ঈড়সসঁহরপধঃরড়হ চৎড়ফঁপঃং-এর চীফ ঔড়যহ ঋ. গরপযবষ নাম টঝ চধঃবহঃ-এ (চধঃবহঃ হড়. ৩,৯০৬,১৬৬) লিপিবদ্ধ হয় ১৭ অক্টোবর ১৯৭৩ সালে।
জেনারেশন ভিত্তিক মোবাইল ফোনের ইতিহাস বেশ কয়েকটা অংশে বিভক্ত (যেমনঃ ১এ, ২এ, ২.৫এ, ২.৭৫এ, ৩এ, ৪এ )
এবার আসুন মোবাইল ফোনে চোখ বুলিয়ে নেয়াা যাক। মোবাইল নেটওয়াার্ক খুবই দ্রুত গতি সম্পূন্ন। এছাড়াও মোবাইল অপারেটর কোম্পানিগুলো তাদের নেটওয়াার্ক শহর বা গ্রামে বিভিন্ন সেলে বিভক্ত করেছে। সাধারণত প্রতিটি সেল ১০ বর্গমাইলের সমান ও ষষ্ঠভূজ হয়ে থাকে আর প্রতিটি সেলে একটি বেস ষ্টেশন থাকে। আর প্রতিটি সেলে ৮০০ টি ফ্রিকোয়েন্সিতে কথা বলা যায় । এজন্য একটি শহর বা গ্রামে অনেকগুলো টাওয়াার প্রয়োজন। যাই হোক মোবাইল ফোনে খরচ কমে ও দ্রুত গতি সম্পন্ন হওয়াার কারনে এটির চাহিদা দিনদিন বেড়ে চলছে। প্রতিটি শহরে একটি সেন্ট্রাল অফিস থাকে যা বেস ষ্টেশন বা টাওয়াার গুলির সাথে যোগাযোগ রাখে৷ এই সেন্ট্রাল অফিসগুলিকে গড়নরষব ঞবষবঢ়যড়হব ঝরিঃপযরহম ঙভভরপব (গঞঝঙ) বলে সেল মোবাইল ফোন ও বেস ষ্টেশন খড়ি ঢ়ড়বিৎব ঃৎধহংসরংংরহং ব্যবহার কওে । ফলে মোবইল ফোন অল্পক্ষমতা সম্পন্ন ব্যাটারি দিয়ে চলতে পারে, যার ফলেই আজকের মোবাইল ফোন এত ছোট আকার হয়েছে, এবং ভবিষ্যতে আরো ছোট হবে ।

কার্যকলাপ
একটি মোবাইল ফোন নিয়ে চালু করুন। চালু করার সাথে সাথে আপনার সিমটিও চালু হয়া এবং আপনিও সাথে সাথে কোথাও কল করতে পারেন, তাই না? আপনি মোবাইল চালু করার সাথে সাথে এটি কন্ট্রোল চ্যানেলের মাধ্যমে ঝওউ (ঝুংঃবস ওহফবহঃরভরপধঃরড়হ ঈড়ফব) গ্রহণ করে এবং তা মোবাইল ফোনের ভিতরের এর সাথে মিলিয়ে দেখে। এছাড়ে এটি গঞঝঙ এর সাথেও যোগাযোগ রাখে । সেন্ট্রাল অফিস মোবাইল ফোনের অবস্থান একটি ডাটাবেস এ রাখে । অর্থাৎ আপনি শহরের ভিতরে কখন কোন সেলে থাকছেন তা সেন্ট্রাল অফিস এর ডাটাবেসে থাকে৷ যখনই কেউ আপনাকে ফোন করে, তখন এই সেন্ট্রাল অফিস তার ডাটাবেস থেকে বাহির করে আপনি কোন টাওয়াারের কাছাকাছি আছেন, এবং সেই টাওয়াার থেকে আপনার মোবাইলের ফ্রিকিয়েন্সিতে যোগাযোগ করে দুইজনের সাথে যোগাযোগ করে দেয়া৷ এবং আপনি কথা বলতে পারেন৷

মোবাইল ফোনের সুবিধার কথা বলে কি আর শেষ করা যাবে। ও, মোবাইল ফোনের আরো একটি সুবিধার কথা বলি। আপনি গাড়িতে কিংবা অন্য কিছুতে চলমান থাকলেও কথা বলতে পারবেন৷ যা আগের দিনে ছিল না। আপনি যখন কথা বলতে বলতে একটি সেল থেকে অন্য একটি সেলের দিকে এগুতে থাকেন, তখন বর্তমানে ব্যাবহার করা টাওয়াারটি থেকে দূরত্ব বেড়ে যাবার কারণে অন্য টাওয়াারটির সাথে সংযোগ স্থাপন করে, এর ফলে আপনি এক জায়াগা থেকে অন্য জায়াগাতে গেলেও নির্বিঘেœ আপনার কথা চালিয়ে যেতে পারেন৷ মোবাইল দেখতে ছোট হলেও এতে মুহুর্তের মধ্যে এত কিছু করে ফেলতে পারে কেননা এর ভিতরে উঝচ(উরমরঃধষ ঝরমহধষ চৎড়পবংংড়ৎ) এর কারণেই আজকের মোবাইল এত স্মার্ট হয়েছে!

মোবাইল ফোন ব্যবহার ও বাংলাদেশ
বাংলাদেশে মোবাইল ফোন প্রথম চালু হয় ১৯৯৩ সালের এপ্রিল মাসে। হাচিসন বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড (এইচবিটিএল) ঢাকা শহরে অগচঝ মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহার করে মোবাইল ফোন সেবা শুরু করে।
বর্তমান অবস্থা
বর্তমানে বাংলাদেশে মোট ৬টি মোবাইল ফোন কোম্পানী রয়েছে। এদের মধ্যে ৫ টি জিএসএম এবং একটি সিডিএম এ প্রযুক্তির মোবাইল সেবা দিচ্ছে। মোবাইল কোম্পানীগুলো হল:
ক্স সিটিসেল (সিডিএমএ)
ক্স রবি (পূর্ব নাম একটেল)
ক্স গ্রামীনফোন
ক্স বাংলালিংক
ক্স টেলিটক
ক্স এয়ারটেল (বাংলাদেশ)

বিভিন্ন দেশের মোট জনসংখ্যার তুলনায় মোবাইল ফোন ব্যবহাকারীদের শীর্ষে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। সেপ্টেম্বর শেষে দেশের অ্যাক্টিভ মোবাইল গ্রাহকের সংখ্যা এগার কোটি পেরিয়ে গেছে। আগস্টের শেষে এ সংখ্যা ছিল সাড়ে ১০ কোটি। সোমবার এ হিসাব প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন-বিটিআরসি।
সর্বশেষ হিসাবে সেপ্টেম্বরের শেষে দেশের মোট অ্যাক্টিভ মোবাইল সিমের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ৬ লাখ ৫০ হাজার।
এর আগে ২০০৭ সালের জুলাইয়ে বাংলাদেশ তিন কোটি গ্রাহকের ল্যান্ডমার্ক টপকে যায়। চার কোটি গ্রাহক ছাড়িয়েছে ২০০৮ সালের মার্চে। ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরে গ্রাহক হয় ৫ কোটি। পরের বছর জুলাই মাসে এক লাফে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬ কোটি। গ্রাহক ৭ কোটি হয়েছে ২০০৮ সালের জানুয়ারিতে। একই বছরের সেপ্টম্বরে গ্রাহক হয় ৮ কোটি। গত বছরের এপ্রিলে গ্রাহক হয় নয় কোটি আর ঠিক এক বছর পরে দশ কোটি গ্রাহকের ম্যাজিক ফিগার পার হয়। আর মাত্র ৫ মাসের ব্যবধানে এলো এগারো কোটির ল্যান্ডমার্ক।
একটু অন্যভাবে বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, বিশ্বের একমাত্র দেশ চীনের গ্রাহক সংখ্যা ১০০ কোটির বেশি (১০৪ কোটি ৬০ লাখ)। ভারতের গ্রাহক ৮৬ কোটি ১৬ লাখ। এর বাইরে শীর্ষ মোবাইল গ্রাহকের দেশ যুক্তরাষ্ট্র (২৩ কোটি ৭৫ লাখ), ব্রাজিল (২৬ কোটি ৫০ লাখ), ইন্দোনেশিয়া (২৩ কোটি ৬৮ লাখ), পাকিস্তান (১২ কোটি ২০ লাখ), জাপান (১২ কোটি ১০ লাখ), ফিলিপাইন (১০ কোটি ৬০ লাখ) এবং নাইজেরিয়া (১০ কোটি ১০ লাখ)। মোট জনসংখ্যার হিসাবে মোবাইল ফোন ব্যবহারের দিক থেকে বাংলাদেশ এখন শীর্ষে।
সেপ্টেম্বর শেষে শীর্ষ মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীনফোনের গ্রাহক ৪ কোটি ৬০ লাখ, বাংলালিংকের ২ কোটি ৮১ লাখ, রবি দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৪৮ লাখ, এয়ারটেলের ৮০ লাখ ৩৩ হাজার, টেলিটক ২৩ লাখ ৪০ হাজার এবং সিটিসেলের ১৩ লাখ ৩০ হাজার।


উপকারিতা
মোবাইল ফোনকে বর্তমানে মোবাইল বললে ভুল হবে। কারণ এর বিস্তার এতো বেশি হয়ে গেছে যে তা বলে শেষ করা যাবে না। এর অনেক রকম ব্যবহার রয়েছে। তারমধ্যে কিছু আপনাদের জন্য তুলে ধরলামঃ
ক্স মোবাইল নাম্বার ও ঠিকানা রাখা
ক্স ক্যালেন্ডার, ক্যালকুলেটর, এলার্ম
ক্স ইন্টারনেট ও ই-মেইল
ক্স বিভিন্ন ধরণের গেইম
ক্স জিপিএস এর ব্যবহার
ক্স ডিজিটাল ক্যামেরা
ক্স ডিজিটাল মিডিয়া ইত্যাদি
ক্স ঘড়ির সময় দেখা;
ক্স ছবি ও ভিডিও তোলা;
ক্স ট্রেনের টিকিট বুকিং করা;
ক্স বিদ্যুৎ/গ্যাস বিল দেয়া ইত্যাদি।
তাছাড়া নিত্য নতুন আরো ফিচার নিয়ে আসছে বিভিন্ন মোবাইল।

এখন কিছুটা বৃহদার্থে মোবাইল ফোন এর ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করা যাক...
একটা সময় এমন ছিলো যখন চিঠির পাতা ভরে হৃদয়ের অনুচ্চারিত কথামালা পৌঁছে যেত প্রিয়জনের কাছে। সময় বদলেছে বদলেছে প্রযুক্তির প্রেক্ষাটও। এখন আর হলুদ খামের অপেক্ষায় আনচান হয় না কাঠফাঁটা দুপুরবেলা। অপেক্ষা শুধু একটা রিং টোনের।
আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। প্রতি মুহূর্তে এসেছি একটু একটু করে। আমাদের এগিয়ে যাবার কারণ ও সহায়ক হলো প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে বিশ্ব এখন আমাদের হাতের মুঠোয়। প্রযুক্তির এই বিস্ময়কর উন্নয়ন আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থায় খুলে দিয়েছে নতুন এক সম্ভাবনার দ্বার। প্রযুক্তির উন্নয়নের একটি বড় উদাহরণ হলো মোবাইল ফোন নামক মুঠো ফোন । মোবাইল ফোনের কারণে যোগাযোগটা এখন অনেক সহজ। প্রযুক্তির এই উন্নয়ন ও মোবাইল ফোনের সহজলভ্যতা মানুষের কাছে যোগাযোগের দুরত্ব কমিয়ে দিয়েছে অনেক খানি। এখন রিং টোন বেজে ওঠার সাথে সাথেই ফোনের অপর পাশের মানুষটির সাথে সহজেই আলাপ জমানো যায় । এভাবে মুঠো ফোনের হাত ধরে আমরা একে অপরের খুব কাছাকাছি চলে আসি ফলে গড়ে ওঠে একটি সুন্দর বন্ধুত্বের সম্পর্ক ।
। আবার পাশাপাশি আমরা অনেক সময় আমাদের পুরোনো বন্ধুকে ফেরত পাই এই যোগাযোগ মাধ্যমটির মাধ্যমে। যেমন ঃ কিছুদিন আগে আমার মোবাইলে একটা নতুন নম্বর থেকে কল আসে, দুই-তিনবার কল আসার পর আমি রিসিভ করে দেখি, সে আমার বাল্যকালের বন্ধু জোগাড় করে আমাকে ফোন করেছে। তাই অনেক বছর পর আমি ফিরে পেলাম আর খুবই প্রিয় একজন বন্ধুকে তাও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে।
আবার, আমার খালাতো ভাইয়ের বন্ধু রাসেলের সাথে আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার আগে মোবাইল ফোনে কথা হয়। যেহেতু তিনিও একজন সাংবাদিকতার ছাত্র তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশুনায় তিনি আমায় নানা ভাবে সহায়তা করতেন, তিনি প্রয়াশই তার সাথে আমার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ হতো। যদিও তাকে আমি আজ অবদি চোখে দেখি নি তথাপি তার সাথে এই মোবাইল ফোনের কল্যাণে ভাল একটা বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছে।
মোবাইল ফোন বন্ধুত্বের গভীরতা ও দৃঢ়তা বাড়ায়। যারা আমার সাথে পড়াশুনা করে, যাদের সাথে আমি সারাদিন আড্ডা আর সময় কাটাই, তারা আমার বন্ধু। কিন্তু এই বন্ধুত্ব আরও গভীর হয় যখন তার সাথে আমার প্রতিনিয়ত ফোনে যোগাযোগ হয়। আর এই গুরুত্ব উপলব্দি করেই হয় মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলো প্রতিনিয়ত তাদের নেটওয়ার্ক সুদৃঢ় করার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত থাকে, যাতে করে আমরা দূর দুরান্তে থাকা বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ রাখতে পারি।
আন্তব্যক্তিক বন্ধুত্ব রক্ষায় মোবাইল ফোন
যখন দুর্জন ব্যক্তির মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে উঠে তখন তাই হলো আন্তব্যক্তিক বন্ধুত্ব। মোবাইলে যোগাযোগের মাধ্যমে এ ধরনে বন্ধুত্ব গভীরতা লাভ করে। সাধারণ পরিচিত বা অপরিচিত উভয় ক্ষেত্রেই এ ধরনের বন্ধুত্ব বেশি ঘটে। উদাহরণ স্বরূপ হঠাৎ একদিন আমার ফোনে একটা মিসকল এলো, এই মিসকলের ধারাবাহিকতায় কল, বিপরীত পক্ষের সাথে কথা বলে ভালো লাগলো তার সাথে প্রতিনিয়ত কথা হতে পারে যার ফলাফল স্বরূপ একটি বন্ধুত্বে সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে। এমন আন্তব্যক্তিক বন্ধুত্ব রক্ষায় মোবাইল ফোন আমাদের সাহায্য করে।

আরও কিছু বিষয় দেখলে আমরা স্পষ্ঠ ধারণা পাব-
১. জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা, ইউনেস্কোর এক নতুন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে লোকজন বই ও গল্প পড়ার জন্য মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করছে।
'মোবাইলের যুগে পড়া' ( রিডিং ইন দ্য মোবাইল এরা) র্শীষক এই প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে মুদ্রণ উপকরণের জন্য সম্পদের সীমাবদ্ধতা রয়েছে এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে মুদ্রিত প্রকাশনা বিতরণ খুবই কঠিন। অথচ, ঐসব এলাকায় কোন না কোনধরণের মোবাইল ডিভাইস পৌঁছে গেছে।
২. মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নাগরিকগণ এখন সরকারী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কর্মরত চিকিৎসকের কাছ থেকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরামর্শ নিতে পারছেন। সেজন্য বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলা হাসপাতালে (মোট ৪৮২টি হাসপাতাল)
একটি করে মোবাইল ফোন দেয়া হয়েছে। আপনিও এই সেবা গ্রহণ করতে পারেন। এসব মোবাইল ফোনের নম্বর স্থানীয় পর্যায়ে প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানে ক্লিক করলে আপনি নম্বরগুলোর তালিকা পাবেন। ২৪ ঘন্টা ব্যাপী কোন না কোন চিকিৎসক এই মোবাইল ফোনের কল রিসিভ করেন। স্থানীয় জনগণ এসব মোবাইল ফোনে ফোন করে হাসপাতালে না এসেই বিনামূল্যে চিকিৎসা পরামর্শ নিতে পারেন।

অপকারিতা
আমরা সবাই মোবাইল ফোন ব্যবহার করি। এটা আমাদের জীবনের একটা অংশে পরিনত হয়েছে। কিন্তু এই মোবাইল ফোনের নানা ক্ষতিকর দিক আছে।যেমন-
১) একটানা ৩ মিনিটের বেশী কথা বললে মস্তিকের রক্ত চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে।
২) মোবাইল ফোনের রশ্মিতে ব্রেনে টিউমার বা ক্যানসার হতে পারে।
৩) কোমরে রাখলে কোমর ব্যাথা হয় ।
৪) প্যান্টের পকেটে রাখলে শুক্রানু উপাদন কমে যায় ।
৫) বুকের পকেটে রাখলে হৃদপিন্ডের রক্ত চলাচলে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয় ।
৬) ঘুমানোর সময় মোবাইল ফোন মাথার কাছে রাখলে ঘুমের সমস্যা হয় ।
স্বাস্থ্যক্ষেত্রে ঝুঁকি
আমরা ফোন ব্যবহার করি যাতে সব সময় অন্যদের সাথে যোগাযোগ রাখা যায়। কিন্তু এটি একইসাথে আমাদের মানসিক প্রশান্তিও কেড়ে নেয়। কিভাবে? আমরা সব সময় আশা করতে থাকি এই বুঝি ফোনটি বেজে উঠবে কিংবা কেউ হয়তো মেসেজ দিবে। সচেতনভাবে না হলেও আমাদের অবচেতন মন আমাদের সব মনোযোগ এই ক্ষুদ্র ফোনটির কাছে কেন্দ্রীভূত করে। এধরণের চিন্তার কারণে এক ধরণের মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়। প্রতিদিন এক ঘন্টার জন্য ফোনটি সুইচ অফ করে রাখুন। এটি আপনাকে মানসিক চাপ থেকে মুক্তি দিবে।
(৫) ¯œায়ুবিক সমস্যা
মোবাইল ফোন থেকে নিঃসরিত তেজস্ক্রিয় রশ্মি ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে আমাদের ডি এন এ-কে। কোন কারণে মস্তিষ্কের কোষের ডি এন এ ক্ষতিগ্রস্ত হলে তা স্নায়ু সংক্রান্ত বিভিন্ন শারীরিক কাজের ক্ষতিসাধন করে। মোবাইল ফোনের তেজস্ক্রিয়তা মস্তিষ্কে মেলাটনিনের পরিমাণ হ্রাস করে, যার ফলে বিভিন্ন স্নায়বিক সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়া এটি এখন বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত যে, মোবাইল ফোন থেকে নিঃসরিত তড়িত-চৌম্বকীয় তরঙ্গের কারণে অনিদ্রা, আলঝেইমার ও পারকিনসন’স ডিজিজের মত বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়।
(৬) হার্টের সমস্যা
গবেষণায় জানা গিয়েছে, মোবাইল ফোন থেকে সৃষ্ট তেজস্ক্রিয়তা মানুষের হার্টের স্বাভাবিক কর্মকান্ডকে ব্যহত করে। এর ফলে রক্তের লোহিত রক্তকণিকাতে থাকা হিমোগ্লোবিন আলাদা হয়ে যেতে থাকে। এছাড়া হিমোগ্লোবিন রক্তের লোহিত কণিকার মাঝে তৈরি না হয়ে দেহের অন্যত্র তৈরি হতে থাকে, যেটি বিভিন্ন ধরণের শারীরিক সমস্যা তৈরি করে। যে কারণে বুক পকেটে ফোন রাখা একদমই অনুচিত। এছাড়া যারা হার্টে পেসমেকার বসিয়েছেন তাদের ক্ষেত্রেও মোবাইল ফোন ব্যবহারে যথেষ্ঠ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
(৭) শুক্রাণুর গুনগত মান ও পরিমাণ হ্রাস
এখনকার সময়ে ছেলেদের প্রায় সবাই নিজেদের প্যান্টের পকেটে মোবাইল ফোন রাখে। বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যেসব পুরুষ বা ছেলে খুব বেশি মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন তাদের শুক্রাণু খুব দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়া শুক্রাণুর ঘনত্ব হ্রাস পেতে থাকে। আমরা যখন ফোনে কথা বলার পর ফোন পকেটে রেখে দিই, তখন এটি কিছুটা উত্তপ্ত অবস্থায় থাকে। এর ফলে অন্ডকোষের চারপাশে তাপমাত্রা বেড়ে যায়। অথচ শুক্রাণু দেহের ভেতরে মাত্র ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সক্রিয় থাকে। তাই অতিরিক্ত তাপমাত্রা শুক্রাণুর জন্য ক্ষতিকর। আবার আমাদের শরীর থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণে উপকারী তড়িৎ-চৌম্বকীয় তরংগ বের হয়, কিন্তু মোবাইল ফোনের উচ্চ মাত্রার তড়িৎ-চৌম্বকীয় তরঙ্গ আমাদের দেহের তড়িৎ-চৌম্বকীয় তরঙ্গের নিঃসরণকে বাধাগ্রস্ত করে। যার ফলে অস্বাভাবিক আকৃতির শুক্রাণু তৈরি হয়।
(৮) শ্রবণশক্তি হ্রাস পাওয়া
যারা দীর্ঘক্ষণ মোবাইল ফোনে কথা বলেন তাদের কানের বিভিন্ন সমস্যা যেমন-কানে কম শোনার ঝুঁকি অনেক বেশি। বর্তমানে যাদের বয়স ১৮ থেকে ২৫ বছর, তাদের মাঝে শ্রবণশক্তি হ্রাসের হার উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে চলেছে। চিকিৎসকদের মতে, মোবাইল ফোন ও অন্যান্য বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির ব্যপক ব্যবহার এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী। যারা দৈনিক ২-৩ ঘন্টার চেয়ে বেশি ফোনে ব্যস্ত থাকেন তারা ৩ থেকে ৫ বছরের মাথায় আংশিকভাবে বধির হয়ে যান। তাই এটি রোধ করতে আপনার ফোনের রিং-টোন যতটুকু সম্ভব কমিয়ে রাখুন ও ফোনে খুব বেশি গান শোনা থেকে বিরত থাকুন।
(৯) মস্তিষ্কের ক্যান্সার
মোবাইল ফোন থেকে সৃষ্ট তেজষ্ক্রিয় রশ্মি আমাদের মস্তিষ্কের কোষগুলোকে ধীরে ধীরে মেরে ফেলতে পারে। মোবাইল ফোন থেকে সৃষ্ট বেতার তরঙ্গ আমাদের মস্তিষ্কের কোষগুলোকে উত্তপ্ত করে তোলে। আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই তরঙ্গকে কারসিনোজেনিক বা ক্যান্সার সৃষ্টিকারী বলে ঘোষণা দিয়েছে। অর্থাৎ মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার মস্তিষ্কের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
(১০) গর্ভাবস্থায় ঝুঁকি
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যেসব নারীরা তাদের গর্ভাবস্থায় খুব বেশি মাত্রায় মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন, তাদের গর্ভস্থ ভ্রূণের মস্তিষ্কের বিকাশ ব্যহত হয়। এছাড়া পরবর্তীতে এই শিশুদের মাঝে আচরণগত অনেক সমস্যাও দেখা দেয়। তাই গর্ভাবস্থায় মায়েদের উচিত মোবাইল ফোন যতদূর সম্ভব এড়িয়ে চলা।
বর্তমান সময়ে মোবাইল ফোনকে একেবারে জীবন থেকে সরিয়ে দেয়া সম্ভব নয়। কিন্তু একটু সচেতন হলেই আমরা মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলে তৈরি হওয়া স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে নিজেদের বাঁচাতে পারি।
এছাড়াও আরো কিছু সমস্যার কথা আমরা দেখতে পারিÑ
এক: অপরাধ জগতের প্রধান অবলম্বন মোবাইল ফোন। খুন, ছিনতাই, টেন্ডারবাজী, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ধর্ষণ, মাদক-ব্যবসা, অপহরণ, হানাহানি ছড়িয়ে দেওয়া, অপপ্রচার চালানোসহ যাবতীয় অপকর্মে ব্যবহৃত হচ্ছে মোবাইল ফোন। এমন কোন অপরাধ নেই, যেখানে মোবাইল ফোনের ব্যবহার নেই। অপরাধ বিস্তারের মোক্ষম অস্ত্র এই মোবাইল ফোন। কোন রকম নিয়ন্ত্রণ না থাকায় মোবাইল ক্রাইম দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সঠিক নীতিমালা ও এর যথাযথ প্রয়োগ না থাকলে আগামীতে অপরাধ কার্যক্রম সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। তখন মানুষ হিসাবে বেঁচে থাকা আমাদের জন্য কষ্টকর হয়ে দাঁড়াবে।
দুই: অশ্লীল ছবি (ভিডিওসহ) ম্যাসেজের মাধ্যমে উঠতি যুবক-যুবতীর নম্বরে পাঠিয়ে দিয়ে তাদের চরিত্র নষ্ট করা হচ্ছে। অনেক সময় শত্রুতা করে কারো চরিত্র নষ্ট করার জন্য কিংবা মেধাবী শিক্ষার্থীর মেধা নষ্ট করার জন্য এসব অশ্লীল ছবি ম্যাসেজ করে তাদের নম্বরে পাঠানো হয়। এসব ছবি ও সংলাপ উঠতি যুবক-যুবতীরা একবার দেখলে বা শুনলে আর মাথা ঠিক রাখতে পারে না। এক পর্যায়ে তারা বিপথগামী হয়ে অন্ধকার পথে পাড়ি জমায়। ধ্বংশ হয়ে যায় তাদের সকল স্বপ্নসাধ।
তিন: উঠতি তরুণ-তরুণীদের ধ্বংশের হাতিয়ার মোবাইল ফোন। যাদের মোবাইলের কোন দরকার নেই। কিন্তু বাবা-মা’রা বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব না দেওয়ায় কিংবা ছেলে-মেয়েদেরকে আধুনিক বানানোর জন্য তাদের হাতে মোবাইল তুলে দেন। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় মেয়েদের হাতে মোবাইল তুলে দেয় তাদের বন্ধু তথা প্রেমিকেরা। এসব তরুণ ও তরুণীরা মোবাইল নিয়ে যা করে তা নিম্নরূপ :
(ক) মোবাইল নিয়ে সারাক্ষণ যৌনালাপে ব্যস্ত থাকে।
(খ) অশ্লীল ছবি (অডিও-ভিডিও) আদান প্রদানের মাধ্যমে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হতে অনুপ্রাণিত করা।
(গ) সারারাত না ঘুমিয়ে যৌনালাপ করার কারণে শিক্ষার্থীদের শরীর, মন, মেধা নষ্ট হয়ে যায়, পড়ালেখা থেমে যায়।
(ঘ) অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারের কারণে শরীর ও মনে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়। মাদকাসক্ততা বেড়ে যায়।
(ঙ) বাবা-মা’র অবাধ্যতা, স্বামীর অবাধ্যতা, সংসার ভাঙ্গা, নষ্ট চরিত্রের পুরুষ ও মহিলা তৈরি করা।


বিড়ম্বনা থেকে মুক্তি দিতে পারে যা :
স্বাভাবিক সুন্দর জীবন-যাপনে মুঠোফোনের যন্ত্রণা থেকে দূরে থাকতে সাতটি উপায় মানুষের জন্য কাজে লাগতে পারে।

১. বার্তা নয়, প্রয়োজনে কথা বলতে পারেন
২. মাঝে মাঝে মুঠোফোন ব্যবহার থেকে নিজেকে বিরতি দিতে পারেন
৩. একসঙ্গে একাধিক কাজ এড়িয়ে চলুন এবং নির্দিষ্ট কাজে মনোযোগ দিন
৪. খাবার সময় মুঠোফোনের ব্যবহার এড়িয়ে চলুন
৫. ছবি তোলার আগে নিজে উপভোগ করুন
৬. ছবি আপলোড করার আগে যাচাই করুন
৭. রাতে প্রয়োজনবোধে মুঠোফোন বন্ধ করে ঘুমাতে যেতে পারেন।

উপসংহার
দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে বিশ্ব। থ্রিজি, ফোরজির পর এখন গবেষণা চলছে ৫জি নিয়েও। বেশ কয়েকটি দেশে ফোরজি মোবাইল নেটওয়ার্ক চালু হয়েছে। বিশ্বের বৃহত্তম সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট দাবি করেছে, দ্রুত গতির মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রযুক্তির সঙ্গে মানিয়ে নিতে প্রস্তুত রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
আর এভাবে মোবাইল ফোনের প্রতিনিয়ত উন্নয়নের মাধ্যমে আমাদের সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক প্রতিটি উন্নয়নের ক্ষেত্রে উন্নয়নের চরম শিখরে আরোহন করতে পারি ।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দেশ এগিয়ে যাচ্ছে; ভাবতে ভালই লাগে

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৩


বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল নেতিবাচক। একই বছরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ১ শতাংশ। ১৯৭৩ সালে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশি নির্মমতা

লিখেছেন এমজেডএফ, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১১



সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বিক্ষোভের ঝড় বইছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও তেমন সফল... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ ০১

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:০৭

সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩



সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×