"ভাই , বিয়া করতে কত টাকা লাগবে ?"
লোকঃ- (একটু হেসে) ভাইজান, উনাকে বিয়া করবেন ?
-জ্বী ভাই। দেখেন না , আমারে বিয়া করতে চাইছেন।
লোকঃ- কবে করবেন ?
-তোমার তাড়া আছে , বহ্নি ?
বহ্নিঃ (হাসি সামলিয়ে নিয়ে ) পাগলামি কর না। তোমার তাড়া থাকলে আজই করি চল।
লোকঃ ভাই, সারা জীবনের ব্যাপার। ভেবে ডিসেশন নেন।
-কি করবে ? ভাববে ?
-বহ্নিঃ চলত আগে বাইরে।
সেদিন আর বিয়ে করা হল না। শ্যামলি থেকে রিক্সায় উঠে সিটি কলেজের সামনে স্টার কাবাবে এসে খেয়ে বললাম, বিয়ে তাহলে হচ্ছে না।
আগের মত সফেদ আলোর হাসি দিয়ে চলে সময় শেশ হয়ে আসল সেদিনের মত। বহ্নি পড়ত সোহরাওয়ারদী মেডিকেলে (শেষ বর্ষ) , আর আমি ভবঘুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নষ্ট হয়ে যাওয়া এক স্ট্রাগলার। সত্য সেদিন ফাযলামির ঝোকে বিয়েটা হলে কি না হত এতদিনে মেয়েটার জীবনে। আজ সে ছেড়ে এমনিই চলে যেত এমনিই। ছোট্ট বেলার স্টুডিওর কাজ টা এখনো ছাড়া হল না। ব্যাংকের পাশবিক জব একটা পেয়েছিলাম, কিন্তু মাস না ঘুরতেই ছেড়ে দিলাম বাইরে যাওয়ার পড়া পড়ব বলে। কয়েকবার ভাল স্কোর থাকা সত্ত্বেও রিফিউজ খেয়েছি হাফ স্কোলারশিপ পাই বলে। চাকুরীর বয়স টাও আর তেমন নেই। স্টুডিওর ব্যবসা এখনো আর ছাড়া হল না।
সেই বহ্নির বিয়ের আমন্ত্রন বাড়িতে এসে পৌছেছে। আমার মোবাইল নাম্বারে সেদিনের পর তার ফোন পাই নি। আময়ার জীবনে সে প্রেম হয়ত ছিল না। সে এক রিক্সায় ঘুরতে পারে, কিন্তু তার গায়ে হাত দেয়ার সাহস আমার কোনদিন হয় নি। ওকে চিনতাম ২।৫ বছর ধরে। সে আজ শুনলাম বড় ডাক্তার। আলচারের চিকিতসার সময় সে নাকি অজ্ঞান আমাকে দেখতে এসেছিল। আমি তাকে আর দেখিনি। সেই শ্বেত পদ্মময়ী হাসিটাকে আর সহ্য করতে হয়নি।ভাবছি তার বিয়েতে যাব। কিন্তু উপহার কি দিব ? ক্যামেরাটাকে নিয়ে যাব। কিন্তু ছবি তুলতে যে বড় কষ্ট হবে বোধ হয়। তাকে কি দেই এখন তবে ? ১০১ টা গোলাপ ? না পদ্ম ? নাকি একটি বস্তায় হাজারো কালিতে ছাপানো ভালবাসা কথাটা ছাপিয়ে ? নাকি যাবই না ?
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৪