somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বেকার ২০ হাজার কমিউনিটি পুলিশ দেড় বছর নেই কোন কার্যক্রম

২২ শে জুন, ২০১০ রাত ৩:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জাহিদ আহমেদ লিটন : যশোরের ২০ হাজার কমিউনিটি পুলিশের কোন কাজ নেই। গত দেড় বছর যাবৎ তারা হাত গুটিয়ে বসে রয়েছে। অথচ তাদের কার্যক্রম চালু থাকলে জেলাব্যাপী অব্যাহত চুরি, ছিনতাই প্রতিরোধে তারা ভূমিকা রাখতে পারতো। জেলা আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মাসিক সমন্বয় সভায় এ দাবি উত্থাপিত হয়।
দেশব্যাপী আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন ও স্থানীয় ভাবে ছোট খাট অপরাধ মিমাংসার লক্ষে গত ২০০৮ সালের মাঝামাঝি নাগাদ কমিউনিটি পুলিশিং গঠন ও কার্যক্রম শুরু হয়। তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার দেশের গ্রাম পর্যায়ে এ কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেয়। এ উদ্যোগের ফলস্বরূপ যশোর জেলাতেও কমিউনিটি পুলিশিং কমিটি গঠন করা হয়। জেলা, উপজেলা ও ওয়ার্ড পর্যায়ে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে এসব কমিটি গঠন করা হয়। যদিও এসব কমিটির সদস্যদের নিয়ে তৎকালীন সময়ে ব্যাপক বিতর্কের ঝড় ওঠে। ঢাক-ঢোল পিটিয়ে যশোর টাউন হল ময়দানে পুলিশের মহাপরিদর্শকের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয় পুলিশিং কমিটির জেলা সম্মেলন। এ কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন প্রবীণ সাংবাদিক জমির আহমেদ টুন ও সদস্য সচিব যশোর বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব আলী আকবর। ৩৩ সদস্য বিশিষ্ট এ জেলা কমিটি গঠিত হয়।
জেলা কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির আহ্বায়ক সাংবাদিক জমির আহমেদ টুন বলেন, জেলায় ২০ হাজার ৬শ' ৫৫ জন কমিউনিটি পুলিশ সদস্য রয়েছে। এর মধ্যে ৯টি থানা কমিটি, ৯১টি ইউনিয়ন কমিটি ও ৯শ'টি ওয়ার্ড কমিটি আছে। এছাড়া ১৫ সদস্য বিশিষ্ট ওয়ার্ড কমিটিতে ৭ জন উপদেষ্টা রয়েছে। তিনি জানান, পুলিশিং কমিটি গঠনের পর সদস্যরা রাতে তাদের স্ব স্ব এলাকায় নিয়মিত টহল ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যবস্থা গ্রহণ করতেন। এ কারণে তৎকালীন সময়ে চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতি অনেকাংশে কম ছিল। এছাড়া গ্রাম্য স্থানীয় সমস্যা কমিউনিটি পুলিশ সদস্যরা সমাধান করতেন। এ জাতীয় সমস্যা ওয়ার্ড কমিটির সদস্য সমাদান করতে না পারলে ইউনিয়ন কমিটিতে পাঠাতেন আর ইউনিয়ন কমিটি না পারলে থানা কমিটিতে ও পরে জেলা কমিটি সমাধান করতে না পারলে তবেই মামলার মাধ্যমে আদালত নিষ্পত্তি করতেন। এভাবে ২০০৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত চলেছে গোটা জেলাব্যাপী কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম।
এদিকে অভিযোগ উঠেছে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে জেলায় ২০ হাজার ৬শ' ৫২ কমিউনিটি পুলিশ সদস্য বেকার হয়ে পড়েছেন। গত প্রায় দেড় বছর যাবৎ তাদের কোন কার্যক্রম নেই। গোটা জেলায় বিভিন্ন ওয়ার্ড পর্যায়ে তাদের যে কার্যক্রম ছিল সেটা বর্তমানে নেই বললেই চলে। জেলা পুলিশ প্রশাসন থেকে তাদের কোন খোঁজ নেয়া হচ্ছে না। এ কারণে তারা বর্তমানে শুয়ে, বসে ও তাদের নিজস্ব কাজ করে সময় অতিবাহিত করছেন। অথচ তাদেরকে আবারো কাজে লাগাতে পারলে বা তাদের কার্যক্রম চালু করতে পারলে জেলায় অব্যাহত চুরি, ছিনতাইসহ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড অনেকাংশে রোধ করা সম্ভব হতো। গত ১৬ মে জেলা আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক মাসিক সমন্বয় সভায় এ বিষয়টি জোরেসোরে উচ্চারিত হয়। সভায় বলা হয়, কমিউনিটি পুলিশিং মুখ থুবড়ে পড়ায় জেলায় চুরি, ছিনতাই, মারামারি ও নারী নির্যাতন বেড়েছ্ েপ্রশাসন তাদের সাথে যোগাযোগ করছে না। বর্তমানে তাদের ছাতা ও টর্চ লাইট নেই। এসব দাবি প্রশাসন পূরণ করতে পারছে না। এ কারণে প্রত্যন্ত অঞ্চলে বর্তমানে কমিউনিটি পুলিশ থাকলেও তাদের কোন কাজ নেই। গ্রামের পুলিশ এখন বেকার।
এ ব্যাপারে সভায় পুলিশ সুপার দিদার আহমেদ বলেন, কমিউনিটি পুলিশিংয়ের জন্য প্রশাসনে কোন ফান্ড না থাকায় তাদের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে আইন শৃঙ্খলা বিষয়ে তাদের সাথে যোগাযোগ করে নতুনভাবে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে।
এ বিষয়ে জেলা কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সদস্য সচিব আলহাজ্ব আলী আকবর বলেন, দেড় বছর আগে তারা মাঠে নেমে তদারকি করে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার পক্ষে কাজ করেছেন। কিন্তু তাদের খোঁজ না নেয়া ও গাইড লাইনের অভাবে তারা নীরব রয়েছেন। আবারো তাদেরকে সহযোগিতা করা হলে ২০ হাজার সদস্য পুলিশের পাশাপাশি ছোটখাট অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখতে পারবে।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদিকে shoot করে লাভবান হলো কে?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:২৪


শরিফ ওসমান হাদি যিনি সাধারণত ওসমান হাদি নামে পরিচিত একজন বাংলাদেশি রাজনৈতিক কর্মী ও বক্তা, যিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে গঠিত রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত। তিনি ত্রয়োদশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:২৫

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

বন্ডাই সৈকতের হামলাস্থল। ছবি: রয়টার্স

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই সৈকত এলাকায় ইহুদিদের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সমবেত মানুষের ওপর দুই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অতর্কিতে গুলি চালিয়েছে। এতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমাণ নন বলা কুফুরী

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৪



সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৫। আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই।তিনি চিরঞ্জীব চির বিদ্যমাণ।তাঁকে তন্দ্রা অথবা নিদ্রা স্পর্শ করে না।আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সমস্তই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×