somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাঘিনীদের আন্তরিক অভিনন্দন

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



ফুটবল খেলা যে আমার প্রিয়, ব্যাপারটা তেমন নয়। আমি শুধু বিশ্বকাপ এলেই ফুটবল খেলা দেখি। সিজনাল দর্শক বলতে যা বোঝায়। হাতে গোনা কয়েকটা প্লেয়ারকে চিনি তবে নাম জানি আর একটু বেশি।

একটা সময় ছিল তখন অর্থাভাবে আমরা দুই বেলা রুটি খেতাম। রুটি খাওয়া ছিল গরীবের খাদ্য। বাবার অত টাকা ছিল না যে, প্রায় সময় বড় মাছ বা মাংস এনে খাওয়াবে। আমারা খেতাম ছোট মাছ, পুঁটি মাছ। সে সময় মাছ ভাগা করে (বেশ কিছু মাছ এক ভাগ) বিক্রি হতো, ১ ভাগ ২টাকা, ৩ ভাগ ৫ টাকা। শাক সবজি বেশি খাওয়া হতো।
একটা সময় দেখি কমদামী জিনিষগুলোর দাম বেড়েই চলেছে। কারণ কি ? ওসব খাবারে নাকি ভিটামিন বেশি তাই ধনী লোকেরা খাওয়া শুরু করেছে। সবকিছু চলে গেল ওদের দখলে।

এই তো ক’দিন আগে একদল মেয়ে ছিনিয়ে এনেছে আমাদের জন্য “সাফ ওমেন্স চ্যাম্পিয়নশীপ ২০২২” ট্রফি। ওদের এই অর্জনে ওরা যতটা খুশি, আমি মনে হয় তার চাইতে কম না, ওরা আমাদের গর্বিত করেছে। মন থেকে কখন যে ওদের জন্য শুভকামনা বেরিয়ে গেছে টেরও পাইনি। বিভিন্ন পর্যায়ে আমাদের অর্জন এতটা কম যে, ওরা যদি খেলায় হেরে আসতো ব্যাপারটা স্বাভাবিক মনে হতো কিন্তু ওদের এই অর্জন খুশির বাঁধ ভেঙ্গে দিয়েছে।
এই কদিনে খন্ড খন্ড খেলার ভিডিও, প্লেয়ারদের সাক্ষাৎকার দেখলাম, ওদের খেলা এতটা উন্নত কল্পনাও করিনি।
এক বড়ভাই বলেছিল সব সুন্দর জন্মায় অসুন্দরে। পঙ্কিলে ফোটে পদ্ম ফুল, কয়লার খনিতে পাওয়া যায় হীরা আর ভাঙ্গা টিনের বাড়ী থেকে তৈরী হয় সাবিনারা। এই মেয়েরা কেউ পেশা হিসাবে পছন্দ করে ফুটবল খেলতে আসেনি, তারা এসেছে সখ থেকে। আমাদের এই পরিবেশে কোন মেয়ে ফুটবল খেলা হৃদয়ে ধারণ করতে না পারলে এরা সাবিনা, শামসুন্নাহার বা কৃষ্ণা রানি হতে পারতো না। এর এখন আইডল, এদের বদৌলতে বেতন বৃদ্ধি পাবে, এরা আরো কিছুদিন ভালো খেলবে এবং আমাদের গর্বিত করবে। তারপর ?

এর পরে ফুটবল খেলা নিয়ে অনেকে স্বপ্ন দেখবে, এটা তখন একটা ভালো পেশা হিসাবে গন্য করা হবে, ধনী লোকের মেয়েরা আসবে ফুটবল খেলতে তখন আর সাবিনাদের আমরা খুঁজে পাব না।

বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের সকল সদস্যদের আন্তরিক ধন্যবাদ ও অভিনন্দন।

প্রচ্ছদ
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৪৭
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অপরূপের সাথে হলো দেখা

লিখেছেন রোকসানা লেইস, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ১:৩৫



আট এপ্রিলের পর দশ মে আরো একটা প্রাকৃতিক আইকন বিষয় ঘটে গেলো আমার জীবনে এবছর। এমন দারুণ একটা বিষয়ের সাক্ষী হয়ে যাবো ঘরে বসে থেকে ভেবেছি অনেকবার। কিন্তু স্বপ্ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×