আমারদেশ, Mon 28 Dec 2009
স্টাফ রিপোর্টার
দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান পাঁচ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা দিয়েছে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে পরিষদের ঢাকা মহানগরী শাখা আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে সম্মাননা পদক, নগদ অর্থ ও বই উপহার দেন প্রেস কাউন্সিলের সাবেক চেয়ারম্যান বিচারপতি আবু সাঈদ আহমদ। সম্মাননাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধারা হলেন মেজর এম এ জলিল (মরণোত্তর), অন্যতম প্রধান কবি আল মাহমুদ, লে. কমান্ডার (অব.) আফাজ উদ্দিন আহমদ পিএসসি, ক্যাপ্টেন (অব.) সালাহউদ্দিন আহমদ ও ডা. বেগম রওশন আরা। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সম্পদ। যে লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল তা আজও পূরণ হয়নি। মুক্তিযোদ্ধাদের বিভক্ত করে দলীয় রাজনীতির স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে। অথচ দেশের উন্নয়ন ও স্বাধীনতার লক্ষ্য অর্জনে মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক মর্যাদা দিতে হবে। রাষ্ট্রীয়ভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের পুনর্বাসন করতে হবে। একজন বিচারপতির নেতৃত্বে কমিটি করে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা করারও দাবি জানান তারা।
জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ ঢাকা মহানগরী সভাপতি অ্যাডভোকেট হান্নান হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট সদস্য ও জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী আমির রফিকুল ইসলাম খান, মহানগরী জামায়াতের সেক্রেটারি হামিদুর রহমান আযাদ এমপি, সহকারী সেক্রেটারি নুরুল ইসলাম বুলবুল, বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. কোরবান আলী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. ইউসুফ আলী, নিউ নেশন পত্রিকার সম্পাদক মোস্তফা কামাল মজুমদার, মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ সভাপতি প্রকৌশলী মোসলেম উদ্দিন, মহাসচিব ইকবাল হোসেন, ঢাকা মহানগরী সেক্রেটারি ফজলুল হক প্রমুখ।
প্রধান অতিথি বিচারপতি আবু সাঈদ আহমদ বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার ৩৮ বছরে ব্যক্তি ও গোষ্ঠীগত উন্নতি হলেও জাতির সামগ্রিক যে উন্নতির দরকার ছিল তা হয়নি। আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দেই না বলেই কোনো উন্নতি হয় না। হাজারও মুক্তিযোদ্ধা পড়ে আছে, তাদের দিকে দৃষ্টি দেয়া হয় না। মুক্তিযোদ্ধাদের বিভক্তি দুঃখজনক। মুক্তিযুদ্ধ ও দেশের চেতনা ধরে রাখতে মুক্তিযোদ্ধাদের ঐক্যবদ্ধ করে কাজে লাগাতে হবে। দেশ রক্ষায় ধর্মকে মূল্যায়ন করারও আহ্বান জানান তিনি।
রফিকুল ইসলাম খান বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। যে জাতি শ্রেষ্ঠ সন্তানদের সম্মান দিতে পারে, সে জাতি এগিয়ে যেতে পারে। তিনি বলেন, যে লক্ষ্যে মুক্তিযোদ্ধারা রক্ত দিয়ে দেশের স্বাধীনতা এনেছেন, বর্তমান আধিপত্যবাদ, সাম্রাজ্যবাদী ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে দেশকে সামনে এগিয়ে নিতে অতীতের মতো আবারও মুক্তিযোদ্ধাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
হামিদুর রহমান আযাদ এমপি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখা উচিত। কিন্তু তাদের ক্ষমতার সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে, যা অসম্মানজনক। তিনি পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধাদের নামমাত্র ভাতার পরিবর্তে রাষ্ট্রীয়ভাবে পুনর্বাসনেরও আহ্বান জানান। ড. কোরবান আলী বলেন, বর্তমানে ইসলামী শিক্ষা ধ্বংসে পরিকল্পিত শিক্ষানীতি, উন্মুক্ত সীমানা, ভারতকে করিডোর দেয়াসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী বিভিন্ন ইস্যু রয়েছে। এসব বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সচেতন হওয়া উচিত। ড. ইউসুফ আলী বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা ছিনতাই হয়ে যাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের কেন্দ্র করে কোনো কোনো দল বা সংগঠন প্রচারণা ও দল ভারির চেষ্টা করে, যা দুঃখজনক।
মুক্তিযোদ্ধা মোসলেম উদ্দিন বলেন, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছি। কিন্তু সেই স্বাধীনতা কতটুকু টিকিয়ে রাখতে পেরেছি তা ভাবতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টির জন্য মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি বানানো হচ্ছে। বিভেদের রাজনীতি পরিহার করে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশকে এগিয়ে নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
স্বাগত বক্তব্যে হান্নান হোসেন বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ বেশকিছু কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এরই মধ্যে ঢাকা মহানগরীতে অসচ্ছল ও পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনে ভূমিকা পালনকারী পাঁচ মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা প্রদান করা হচ্ছে।
দেশের অন্যতম প্রধান কবি আল মাহমুদ মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে আগরতলায় যান। সেখান থেকে তাকে কোলকাতায় বিডিএফ হেডকোয়ার্টারে পাঠানো হয়। নক্সালদের মোটিভেশন করার বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন। তার সেই ভূমিকার সম্মাননা পেয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, কবি হিসেবে আমার দায়িত্ব মানুষকে স্বপ্ন দেখানো, আশায় জাগিয়ে তোলা। আমার এই কাজ পূর্ণভাবে করেছিলাম। তাই আজকের সম্মাননা নিজের জন্য ন্যায়সঙ্গতই মনে করছি। আজকের এই অনুষ্ঠান ইতিহাসের অনিবার্য দাবি।
৮ নম্বর সেক্টরে যুদ্ধ করা লে. কমান্ডার (অব.) আফাজ উদ্দিন কৃতিত্বের সম্মাননা পেয়ে বলেন, বর্তমানে অনেক মুক্তিযোদ্ধা খাদ্য ও চিকিত্সা পায় না। তাদের এই অবস্থা খতিয়ে না দেখা জাতির জন্য বড় ব্যর্থতা। তিনি বলেন, স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার জন্য আমরা দেশ স্বাধীন করেছি, কোনোভাবে অন্যদের অধীনস্থ হওয়ার জন্য নয়। তিনি বলেন, স্বাধীন সত্তা নিয়ে টিকে থাকার জন্য আমাদের অন্য কোন বিষয়গুলো হুমকি তা চিহ্নিত করতে হবে। স্বাধীনচেতা মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারলে কোনো শক্তিই আমাদের পরাভূত করতে পারবে না।
২ নম্বর সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধকারী অনারারি ক্যাপ্টেন (অব.) সালাহউদ্দিন বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা যে অবহেলার বিষয় নয়, তা মিডিয়ায় প্রচার করতে হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের চেনতা ধরে রাখতে হবে।
২ নম্বর সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধকারী মহিলা মুক্তিযোদ্ধা ডা. বেগম রওশন আরা সম্মাননা পদক পাওয়ার অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, আজকের আয়োজন দেখে মনে হলো ৩৭ বছর পর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দিতে কিছু সাদা মনের মানুষ আছে। এটা হারিয়ে যাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিবিজড়িত একটা ব্যাপার। তিনি বর্তমান সঙ্কটকালে মুক্তিযুদ্ধের মতো আবারও দেশ বাঁচাতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। সম্মাননাপ্রাপ্ত প্রত্যেককে নগদ ৫০ হাজার টাকা, ক্রেস্ট ও বই প্রদান করা হয়।স্টাফ রিপোর্টার
দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান পাঁচ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা দিয়েছে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে পরিষদের ঢাকা মহানগরী শাখা আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে সম্মাননা পদক, নগদ অর্থ ও বই উপহার দেন প্রেস কাউন্সিলের সাবেক চেয়ারম্যান বিচারপতি আবু সাঈদ আহমদ। সম্মাননাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধারা হলেন মেজর এম এ জলিল (মরণোত্তর), অন্যতম প্রধান কবি আল মাহমুদ, লে. কমান্ডার (অব.) আফাজ উদ্দিন আহমদ পিএসসি, ক্যাপ্টেন (অব.) সালাহউদ্দিন আহমদ ও ডা. বেগম রওশন আরা। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সম্পদ। যে লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল তা আজও পূরণ হয়নি। মুক্তিযোদ্ধাদের বিভক্ত করে দলীয় রাজনীতির স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে। অথচ দেশের উন্নয়ন ও স্বাধীনতার লক্ষ্য অর্জনে মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক মর্যাদা দিতে হবে। রাষ্ট্রীয়ভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের পুনর্বাসন করতে হবে। একজন বিচারপতির নেতৃত্বে কমিটি করে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা করারও দাবি জানান তারা।
জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ ঢাকা মহানগরী সভাপতি অ্যাডভোকেট হান্নান হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট সদস্য ও জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী আমির রফিকুল ইসলাম খান, মহানগরী জামায়াতের সেক্রেটারি হামিদুর রহমান আযাদ এমপি, সহকারী সেক্রেটারি নুরুল ইসলাম বুলবুল, বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. কোরবান আলী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. ইউসুফ আলী, নিউ নেশন পত্রিকার সম্পাদক মোস্তফা কামাল মজুমদার, মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ সভাপতি প্রকৌশলী মোসলেম উদ্দিন, মহাসচিব ইকবাল হোসেন, ঢাকা মহানগরী সেক্রেটারি ফজলুল হক প্রমুখ।
প্রধান অতিথি বিচারপতি আবু সাঈদ আহমদ বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার ৩৮ বছরে ব্যক্তি ও গোষ্ঠীগত উন্নতি হলেও জাতির সামগ্রিক যে উন্নতির দরকার ছিল তা হয়নি। আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দেই না বলেই কোনো উন্নতি হয় না। হাজারও মুক্তিযোদ্ধা পড়ে আছে, তাদের দিকে দৃষ্টি দেয়া হয় না। মুক্তিযোদ্ধাদের বিভক্তি দুঃখজনক। মুক্তিযুদ্ধ ও দেশের চেতনা ধরে রাখতে মুক্তিযোদ্ধাদের ঐক্যবদ্ধ করে কাজে লাগাতে হবে। দেশ রক্ষায় ধর্মকে মূল্যায়ন করারও আহ্বান জানান তিনি।
রফিকুল ইসলাম খান বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। যে জাতি শ্রেষ্ঠ সন্তানদের সম্মান দিতে পারে, সে জাতি এগিয়ে যেতে পারে। তিনি বলেন, যে লক্ষ্যে মুক্তিযোদ্ধারা রক্ত দিয়ে দেশের স্বাধীনতা এনেছেন, বর্তমান আধিপত্যবাদ, সাম্রাজ্যবাদী ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে দেশকে সামনে এগিয়ে নিতে অতীতের মতো আবারও মুক্তিযোদ্ধাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
হামিদুর রহমান আযাদ এমপি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখা উচিত। কিন্তু তাদের ক্ষমতার সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে, যা অসম্মানজনক। তিনি পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধাদের নামমাত্র ভাতার পরিবর্তে রাষ্ট্রীয়ভাবে পুনর্বাসনেরও আহ্বান জানান। ড. কোরবান আলী বলেন, বর্তমানে ইসলামী শিক্ষা ধ্বংসে পরিকল্পিত শিক্ষানীতি, উন্মুক্ত সীমানা, ভারতকে করিডোর দেয়াসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী বিভিন্ন ইস্যু রয়েছে। এসব বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সচেতন হওয়া উচিত। ড. ইউসুফ আলী বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা ছিনতাই হয়ে যাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের কেন্দ্র করে কোনো কোনো দল বা সংগঠন প্রচারণা ও দল ভারির চেষ্টা করে, যা দুঃখজনক।
মুক্তিযোদ্ধা মোসলেম উদ্দিন বলেন, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছি। কিন্তু সেই স্বাধীনতা কতটুকু টিকিয়ে রাখতে পেরেছি তা ভাবতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টির জন্য মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি বানানো হচ্ছে। বিভেদের রাজনীতি পরিহার করে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশকে এগিয়ে নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
স্বাগত বক্তব্যে হান্নান হোসেন বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ বেশকিছু কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এরই মধ্যে ঢাকা মহানগরীতে অসচ্ছল ও পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনে ভূমিকা পালনকারী পাঁচ মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা প্রদান করা হচ্ছে।
দেশের অন্যতম প্রধান কবি আল মাহমুদ মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে আগরতলায় যান। সেখান থেকে তাকে কোলকাতায় বিডিএফ হেডকোয়ার্টারে পাঠানো হয়। নক্সালদের মোটিভেশন করার বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন। তার সেই ভূমিকার সম্মাননা পেয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, কবি হিসেবে আমার দায়িত্ব মানুষকে স্বপ্ন দেখানো, আশায় জাগিয়ে তোলা। আমার এই কাজ পূর্ণভাবে করেছিলাম। তাই আজকের সম্মাননা নিজের জন্য ন্যায়সঙ্গতই মনে করছি। আজকের এই অনুষ্ঠান ইতিহাসের অনিবার্য দাবি।
৮ নম্বর সেক্টরে যুদ্ধ করা লে. কমান্ডার (অব.) আফাজ উদ্দিন কৃতিত্বের সম্মাননা পেয়ে বলেন, বর্তমানে অনেক মুক্তিযোদ্ধা খাদ্য ও চিকিত্সা পায় না। তাদের এই অবস্থা খতিয়ে না দেখা জাতির জন্য বড় ব্যর্থতা। তিনি বলেন, স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার জন্য আমরা দেশ স্বাধীন করেছি, কোনোভাবে অন্যদের অধীনস্থ হওয়ার জন্য নয়। তিনি বলেন, স্বাধীন সত্তা নিয়ে টিকে থাকার জন্য আমাদের অন্য কোন বিষয়গুলো হুমকি তা চিহ্নিত করতে হবে। স্বাধীনচেতা মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারলে কোনো শক্তিই আমাদের পরাভূত করতে পারবে না।
২ নম্বর সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধকারী অনারারি ক্যাপ্টেন (অব.) সালাহউদ্দিন বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা যে অবহেলার বিষয় নয়, তা মিডিয়ায় প্রচার করতে হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের চেনতা ধরে রাখতে হবে।
২ নম্বর সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধকারী মহিলা মুক্তিযোদ্ধা ডা. বেগম রওশন আরা সম্মাননা পদক পাওয়ার অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, আজকের আয়োজন দেখে মনে হলো ৩৭ বছর পর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দিতে কিছু সাদা মনের মানুষ আছে। এটা হারিয়ে যাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিবিজড়িত একটা ব্যাপার। তিনি বর্তমান সঙ্কটকালে মুক্তিযুদ্ধের মতো আবারও দেশ বাঁচাতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। সম্মাননাপ্রাপ্ত প্রত্যেককে নগদ ৫০ হাজার টাকা, ক্রেস্ট ও বই প্রদান করা হয়।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৩০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




