

সদ্য স্বাধীন দেশ’কে অস্থিতিশীল করার জন্যে সৃষ্টি হয়েছিলো স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাজনৈতিক দলটির! জাতিয় সমাজতান্ত্রিক দল, যার সংক্ষেপ হলো জাসদ। তাদের প্রতিক ছিলো মশাল।স্বাধীনতা আন্দোলনের একটি হাতিয়ার ছিল এই মশাল। ১৯৭০/৭১ সালে মশাল মিছিলের ব্যপক এফেক্ট ছিলো আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গনে। সেই জনপ্রিয়তার কারনেই হয়তোবা এই প্রতিক নির্বাচন। আর খুব সহজলভ্য ছিলো সেই কেরোসিনের যুগে।
এক ঝাঁক তারুন্য ব্যপক উদ্দিপনায় যোগ দিয়ছিলো স্বাধীন বাংলার প্রথম রাজনৈতিক সংগঠনে‼️মনে হয়েছিলো এই তারুণ্য আমুল বদলে দিবে বাংলার মানুষের ভাগ্য। বিপ্লবী চেতনায় গঠিত দলটির মুখপত্র পত্রিকা ছিলো , দৈনিক গণকন্ঠ। রক্ত গরম করা/ কিংবা হিমশীতল করা সংবাদে ঠাসা পত্রিকা’টির জনপ্রিয়তা তুঙ্গে যেতে খুব বেশি সময় লাগেনি।
তার সাথে যুক্ত হতো তরুন নেতৃবৃন্দের অগ্নিঝরা বক্তব্যে।অথচ পুরো প্রক্রিয়াটি ছিলো অসংখ্য ভুলে ভরা বৈজ্ঞানিক সমাজতান্ত্রের রাজনীতি।যে দেশের ৮০% মানুষ অশিক্ষিত।জীবন যুদ্ধে বেঁচে থাকার জন্য সকাল হতে মধ্যরাত পর্যন্ত অক্লান্ত পরিশ্রম করতে হয়। তাদের জন্য বিপ্লব বা বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র কি কাজে আসবে! গণবাহিনী গঠণ করা ছিলো চরম মূর্খতার কাজ! এই অপরাজনীতি যুবসমাজের জন্য তৈরি করেছিলো মৃত্যু ফাঁদ ।
অথচ তখন প্রয়োজন একতাবদ্ধ হয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের পুনর্গঠন।সর্বশক্তি নিয়োগে একে অন্যের পাশে দাঁড়িয়ে দেশের জন্য কাজ করা । সব পরাশক্তি যখন আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে । আমাদের ব্যর্থতা যখন তাদের কাম্য! কারন আমরা ব্যর্থ হলেই তারা সফল বলে আত্মপ্রসাদ লাভ করতে পারবে।সেই সুযোগ সৃষ্টি করে দিলাম আমরাই। তারা আবার সেই পুরনো চালে মাত করে দিলো আমাদের!হ্যা ডিভাইড এন্ড রুল। আমাদের স্বাধীনতা বিপন্ন হলো! আমরা তলিয়ে গেলাম অন্ধকারে। ফিরে এলো পাকিস্তানি কায়দায় উত্তর পাড়া’র বুটের তলার আজব গণতন্ত্র ‼️রাতের পর রাত কারফিউ জারি করে দেশ শাসন। হায়রে স্বাধীনতা! পরোক্ষ পরাধীনতার সেই সময়গুলো প্রত্যক্ষ করেনি আজকের তরুণ প্রজন্ম ।
তাই আবার তারা নিজেদের এবং আমাদের ভবিষ্যৎ সেই পথে এগিয়ে নিতে চায়‼️এই তথাকথিত লাল বিপ্লবীরা সেদিকেই ধাবিত হচ্ছে।আমি মানলাম শেখ হাসিনার অনেক ভুল অধিকাংশ মানুষের জীবনে ধ্বংস নিয়ে এসেছে। কিন্তু এই দায় শুধু একটি দলের উপর চাপিয়ে দেয়া উচিত না । বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো নপুংসকের দলে পরিণত আজ। তাদের কোন রাজনীতি নেই ।সরকারি দলকে বাধ্য করার ক্ষমতা নেই ‼️কারন তারাও বিভক্ত! শুধু তাই নয় দেশের শত্রুদের সাথে হাত মিলিয়ে আর যাই হোক, দেশের মঙ্গল হবেনা ।জঙ্গি আর স্বাধীনতা বিরোধীদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করা ছাড়া কোনো অর্জন সম্ভব নয় ।
লাল বিপ্লবী’রা সেই একই পথে যাত্রা শুরু করে দিয়েছে অলরেডি । এখন যারা দেশ দখল করেছে তারা কি সবাই ফেরেস্তা ⁉️এখন কি দুর্নীতি করছে না তারা ‼️ ৬ দিনে ২৮ বার হেলিকপ্টার ভ্রমণ কি উদ্ধারে ‼️ত্রানের টাকার নয় ছয় ! নিয়োগ বানিজ্য কি হচ্ছে না! উপরন্তু যোগ হয়েছে আইন শৃঙ্খলার অবনতি । তারপর দ্রব্যমুল্যের উর্ধগতি । প্রতিদিন ঘটছে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড । কাস্টডি কিলিং লিমিট ক্রস করছে ।পুলিশ’কে পঙ্গু করে, সেনাবাহিনী’কে করা হয়েছে আনসারের সমতুল্য । কাজেই সাফল্য বলতে যা কারো কৃতিত্ব নয় । সয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়েছে অর্থ পাচার। কিছুদিনের মধ্যেই কলাপ্স করবে আমাদের গার্মেন্টস কারখানা। এর মধ্যেই আমরা নেমে এসেছি ভিয়েতনামের নিচে! ইউনুস সাহেবের দহরম মহররম কোন নতুন দার খুলে দেয়নি আমাদের বানিজ্যের।
কাজেই উপসংহারে বলতেই হয় লাল বিপ্লবীরা দেশের তেরোটা বাজিয়ে পালাবার পথ খুঁজে পাবেনা। ঠিক যেমন সফল হয়নি বৈজ্ঞানিক সমাজতান্ত্রিক চেতনা । এরাও ২০২৪-এর চেতনা’কে ঘৃণার চাদরে ঢেকে দিতে এগিয়ে চলেছে । অনেক দেনা পাওনা চুকাতে হবে এদের ।
৩২ নম্বরের আগুন ছাই চাপা হয়ে ধিকিধিকি জ্বলছে ।বঙ্গবন্ধু’র ম্যুরাল ধ্বংস ও ন্যাক্কারজনক অপমানে ছারখার হয়েছে বাংলাদেশ । গণভবনে লুটপাট ও ঘৃণিত কর্মকাণ্ড ভুলবেনা বাংলাদেশ। তাদের বোঝা উচিৎ ছিলো এই আন্দোলনে নিস্স্ক্রিয় থেকে এক প্রকার সহযোগিতা করেছে আওয়ামীলীগের সাধারণ সমর্থক । তা নাহলে রক্তের গঙ্গাসাগর হয়ে যেত। আওয়ামীলীগ জীবন দেবার বেলায় সব দলের চাইতে অনেক বেশি এগিয়ে ।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।

