somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

স্মরণ খান আতাউর রহমান

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

খান আতাউর রহমান। প্রখ্যাত গায়ক, গীতিকার, সুরকার, চলচ্চিত্র অভিনেতা ও পরিচালক। জন্ম ১৯২৮ সালের ১১ ডিসেম্বর মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইর উপজেলা রামকান্তপুর গ্রামে। ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল থেকে ১৯৪৩ সালে ম্যাট্রিক পাস করেন। ঢাকা কলেজ থেকে ১৯৪৬ সালে তিনি আইএসসি পাস করেন। এরপর ভর্তি হন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে। তিনি ১৯৪৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএসসি-তে ভর্তি হন। বিএসসি পরীক্ষা না দিয়েই ১৯৫০ সালে চাকরি নেন করাচিতে রেডিও পাকিস্তানে। এ সময় খ্যাতনামা উচ্চাঙ্গসঙ্গীতজ্ঞ ওস্তাদ জহুরী খানের কাছে সঙ্গীতে তালিম নেন। ১৯৫৩ সালে ভর্তি হন সিটি লিটারারি ইনস্টিটিউটের নাট্যকলা বিভাগে। একই বছর লন্ডনের পাকিস্তান স্টুডেন্টস ফেডারেশনের সভাপতি নির্বাচিত হন। ইউনেস্কোর বৃত্তি নিয়ে ১৯৫৪ সালে শিক্ষা সফরে হল্যান্ড গমন করেন। লন্ডনে ফিরে একটি কলেজে অঙ্ক ও ইংরেজির শিক্ষকতার পাশাপাশি বিভিন্ন থিয়েটার কোম্পানিতে প্রায় দুই বছর কাজ করেন। ১৯৫৬ সালে তিনি ঢাকায় ফিরে এ জে কারদারের জাগো হুয়া সাভেরা ছবির সাথে যুক্ত হয়ে ভারতের বিখ্যাত অভিনেত্রী তৃপ্তি মিত্রের বিপরীতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন। তার রচিত ও সুরারোপিত পাঁচ শতাধিক আধুনিক, দেশাত্মবোধক, শিশুতোষ ও বিষয়ভিত্তিক গান আজো জনপ্রিয়। বিশেষত দেশাত্মবোধক সঙ্গীতে তার সুর সৃষ্টির ক্ষমতা ছিল অসাধারণ। খান আতাউর রহমান একটি বিশেষ গায়কী ঢং প্রবর্তন করেন। তার নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র অনেক দিনের চেনা (১৯৬৩)। এরপর তিনি রাজা সন্ন্যাসী, সিরাজউদ্দৌলা, সোয়ে নদীয়া জাগে পানি, সাত ভাই চম্পা, অরুণ বরুণ কিরণমালা, আবার তোরা মানুষ হ, সুজন সখী, আরশী নগর, এখনো অনেক রাত বিভিন্ন চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। ডানপিটে ছেলে, দু’টি পাতা একটি কুঁড়ি, গঙ্গা আমার গঙ্গা, বাংলা কবি জসীম উদ্দীন, চাবাগানের রোজনামচা ও গানের পাখি আব্বাসউদ্দীন ইত্যাদি স্বল্পদৈর্ঘ্য তথ্যচিত্র নির্মাণ করেন। অন্যদের বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে তিনি সঙ্গীত পরিচালক, কেন্দ্রীয় চরিত্র ও অভিনেতা হিসেবে কুশলতার স্বাক্ষর রেখেছেন। চলচ্চিত্রে অবদানের জন্য তিনি পুরস্কার লাভ করেন। এর মধ্যে রয়েছেÑ পাকিস্তান চলচ্চিত্র উৎসব পুরস্কার, নিগার পুরস্কার, মস্কো ও তাসখন্দ আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব পুরস্কার, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি পুরস্কার ও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। ১৯৯৭ সালের ১ ডিসেম্বর তিনি ইন্তেকাল করেন। নয়া দিগন্ত থেকে নেয়া
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???



আপনারা যারা আখাউড়ার কাছাকাছি বসবাস করে থাকেন
তবে এই কথাটা শুনেও থাকতে পারেন ।
আজকে তেমন একটি বাস্তব ঘটনা বলব !
আমরা সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×