বলুন তো গত পঞ্চাশ বছরে কোন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার আমেরিকার পুরো সমাজ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে, এনেছে প্রাণ চাঞ্চল্য?? অদ্ভুত একটি উত্তর শুনতে হবে আপনাকে।
আপনার সামনে বই থাকলে একমুহূর্তের জন্য বন্ধ করুন। ক্ষণিকের জন্য ব্লগিং থেকে মুখ ফিরিয়ে নিন। পাশের খোলা জানালা দিয়ে ভাবুক মনে তাকান। কল্পনা করুন আমেরিকার গতিময় সমাজ ব্যাবস্থার চিত্র। এবার প্রশ্নটি নিয়ে ভাবুন। কোন সেই বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার।
উত্তর অনেকগুলোই হতে পারে। সবগুলোই হয়তো গুরুত্বপূর্ণ। তবে সঠিক উত্তর তো একটিই হবে। কি সেই জিনিস? জেট বিমান? এয়ার কন্ডিশনার? কম্পিউটার? ইন্টারনেট? তালিকায় সবগুলোই আসছে। কিন্তু . . . । কিন্তু সঠিক উত্তর হচ্ছে- 'জন্মবিরতিকরণ পিল'।
না কথাগুলো আমার না। আমেরিকার খ্যাতিমান দুজন লেখক, কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেলো- ফিলিপ আর ক্যাটেওরা এবং ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জন এল গ্রাহাম তাদের বইতে এ মতামত ব্যাক্ত করেছেন।
তাদের মতে- জন্মবিরতিকরণ পিল আমেরিকার দৈনন্দিন জীবনে বিশাল প্রভাব ফেলেছে। প্রধানত, এটি আমেরিকার নারীদেরকে বোঝা বহনের কবল থেকে মুক্তি দিয়েছে, আর পুরুষদেরকে মুক্তি দিয়েছে ছেলেমেয়েদেরকে অধিক সঙ্গদানের মাধ্যমে সময় অপচয়ের কবল থেকে। আজ আমেরিকার বিজনেস গ্রাজুয়েটের অর্ধেকের বেশি নারী। আজ আমেরিকার দশ শতাংশ এয়ারক্রাফট ক্রু নারী। আজ আমেরিকার অফিস আদালতে কল কারখানায় নারীরা সগৌরবে বিচরণ করছে। জন্মবিরতীকরণ পিলের আবির্ভাবের পূর্বে এ ছিল এক কল্পনাতীত দৃশ্য।
.
.
.
.
আমি কুঞ্চিত নেত্রে ভাবছি। আবিষ্কারই বটে! ! নারী মুক্তির এক অব্যর্থ টনিক। এ আবিষ্কারই নিশ্চয়ই মানবতার অপূর্ণতায় 'পূর্ণত্ব' এনে দিয়েছে? মানব জাতিকে ভারমুক্ত করে বিশ্বসভ্যতায় প্রাণচাঞ্চল্য আনয়নে আমেরিকার এ 'অবিস্মরণীয়' অবদানের কি তুলনা হয়?
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ৯:৪৩