somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জাতি গঠনে ডেসটিনির অবদান স্বীকার করতেই হবে।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৪:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রচণ্ড গরমে বাসের সব যাত্রী যখন হাসফাস করছে, তখন আপনার অদূরেই বসা যে লোকটিকে দেখবেন গরমে নেয়ে উঠেও দিব্যি টাই বেধে নির্বিকার বসে আছে, বুঝবেন তিনি ডেসটিনি করেন। পোশাকে আশাকে বাঙ্গালীকে স্মার্ট করতে বাংলাদেশে ডেসটিনি একটি রহমত স্বরূপ। শরীরে বাতাস প্রবেশের সর্বশেষ দরজা শার্টের কলারকেও শক্ত করে টাই দিয়ে আটকে দেন তারা। কোন গরম কি চুলকানী, কোনটাই তাদের টলাতে পারেনা।

যে অলস লোকটিকে দেখলে বোঝা যেতনা আসলে সে দাড়ি রেখেছে না সেভ করতে সময় পায়নি, হঠাৎ করে যদি দেখেন সে এখন নিয়মিত ক্লিন সেভড উইথ পরিপাটি চুল, বুঝবেন নির্ঘাত সে ডেসটিনিতে যোগ দিয়েছে। যার শার্ট পেছন থেকে ক্যালেন্ডারের পাতার মত বটে থাকতো, ডেসটিনিতে যোগ দেয়ার পর থেকে তার শার্ট সর্বদা স্ত্রি করাতো থাকেই, চকচকে সু-এর সাথে ইন করাও থাকে। যার শার্টের হাতার বোতাম ঠিকমত দেখা যায়না, সে এখন দামী ক্লিপ ব্যবহার করে। সমাজের যুবকদেরকে স্মার্ট হিসেবে উপহার দিতে ডেসটিনির এই অবদান আপনি কিভাবে অস্বীকার করবেন?

মুখচোরা যে ছেলেটি সহজে কারো সথে মেশেনা, সে অপরিচিত লোকদের সাথে অতিদ্রুত মিশে গিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা লেকচার দিয়ে আগামীর 'দেশ গড়ার অংশীদার' হিসেবে নাম লিপিবদ্ধ করায়। আপনি বুঝতে না চাইলেও আপনাকে জোড় করে বুঝিয়ে আপনাকে বারবার ফোন করে, নক করে বুঝতে বাধ্য করে যে ছেলেটি, সে ডেসটিনিতে যোগ দেবার ফলেই এই 'অভূতপূর্ব' যোগ্যতা অর্জন করেছে। বাংলাদেশের এই বেকারত্বের ভারে নুয্য সমাজকে এভাবে যোগ্য ছেলে উপহার দেয়ার এই দায়িত্ব পালনকারী ডেসটিনিকে আপনি কিভাবে স্বীকৃতি না দিয়ে পারবেন।

তাই একটি কৃতজ্ঞ জাতি হিসেবে জাতি গঠনে ডেসটিনির অবদান আমাদেরকে স্বীকার করতেই হবে।

অবশ্য কতিপয় অর্বাচীন ডেসটিনির নাম শুনলে মুখ বাঁকা করেন। তারা বলেন, যে প্রডাক্টের মার্কেটিং এই কোম্পানী করে থাকে, সেসব প্রডাক্টের আদৌ কোন চাহিদা আমাদের সমাজে নেই, শুধু কমিশনের লোভে জোড় করে এই প্রডাক্ট চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। উপরন্তু, প্রডাক্ট শুধু নামে, বাস্তবে এটি একটি দালালী ব্যবসা, যা জাতির কতিপয় যুবককে লোভী ও বিবেচনাহীন পদার্থে পরিণত করা ছাড়া আর কিছুই করতে পারছেনা।

আমরা এ সমস্ত 'অর্বাচীনদের' কথায় কান না দিয়ে ডেসটিনির এই অবদান স্বীকার করার মাধ্যমেই নববর্ষের প্রথম দিবসটি কৃতজ্ঞতাময় করতে চাই।
৪৪টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×