আওয়ামী লীগের প্রশংসাই করতে হয়। সকল দল নিষিদ্ধ করে, পত্রিকা নিষিদ্ধ করে তথা মত প্রকাশ নিষিদ্ধ করে একদলীয় সরকার 'বাকশাল' প্রতিষ্ঠা করেছিল শেখ মুজিব। পরবর্তীতে বাকশাল একটি গালিতে পরিণত হয়। মুজিবের কণ্যা শেখ হাসিনা সেই বাকশালই প্রতিষ্ঠা করলেন, তবে কোন নাম না দিয়ে। দলগুলোকে আইনগতভাবে নিষিদ্ধ না করে গুলি করে মাঠ থেকে ফিরিয়ে রাখা হলো। রক্ষী বাহিনী নাম না দিয়ে পুলিশকেই রক্ষী বাহিনীতে রূপান্তর করা হলো। সরাসরি পত্রিকা নিষিদ্ধ না করে নিযন্ত্রণের আইন করা হলো। আলটিমেটলি একটি পূর্ণাঙ্গ বাকশাল প্রতিষ্ঠা করা হলো।
শেখ মুজিব বাকশাল করে টিকতে পারেননি। মাত্র কয়েক বছর। এটা প্রকৃতিরই আইন যে সমস্ত ছিদ্র যখন বন্ধ করা হয় তখন পুরো পাত্রটি হঠাৎ বিস্ফোরণ হয়। শেখ মুজিব নিজে সেই বিস্ফোরণ নিজের জন্য ডেকে এনেছিলেন। শেখ হাসিনাও সেই রাস্তায়ই হাঁটছেন। আমার বাবা এক স্বৈর শাসককে চুরুট মুখে সিঁড়িতে পড়ে থাকতে দেখেছেন, আমি শুনেছি। আমাকে আল্লাহ কি দেখান আর আমার সন্তানেরা কি শোনে সেই অপেক্ষায় আছি।
সমাজতন্ত্রী বামপন্থীরা শেখ মুজিবের বুদ্ধিজীবি হয়ে বাকশাল উপহার দিয়েছিল। শেখ হাসিনার উপদেষ্টাও এখন বামপন্থীরা, একই কাজ তারাও শেখ হাসিনাকে দিয়ে করালো। সমাজতন্ত্র মানেই হচ্ছে পরমত অসহিষ্ণুতা। সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠাই হয়েছিল সকল ভিন্নমত ও বিরোধিতার কণ্ঠ রোধ করে। সুতরাং বাম যেখানে থাকবে, ভিন্নমতের বিরুদ্ধে তাদের সৃষ্টিগত বিদ্বেষ থাকবেই। চলুক, আমরা প্রতিবাদ করে যাই আর দেখতে থাকি।