১৯৪৭ সালের ১ ই সেপ্টেম্বর ভাষা আন্দোলন ভিত্তিক প্রথম সংগঠন " তমুদ্দিন মজলিশ " প্রতিষ্ঠা করেন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাশেম।
১৯৪৮ সালের ২১ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এবং ২৪ মার্চ কার্জন হলে পাকিস্তানের স্থপতি ও গভর্ণর জেনারেল মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে ঘোষণা করেন ‘উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা।
১৯৫২সালে ২৬ জানুয়ারি পল্টন ময়দানে এক জনসভায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিন নির্লজ্জের মতো ঘোষণা করেন ‘উর্দুই পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হবে।’ এই ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা পূর্ণ ধর্মঘট ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ছাত্রসভা করে ও ৩১জানুয়ারী সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা কর্মপরিষদ গঠন করা হয়।শুরু হয় ভাষার জন্য আন্দোলন।
১৯৫২ সালের ২৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন খাজা নাজিমুদ্দিন ২৫ জানুয়ারি ঢাকায় আসেন এবং ২৭ জানুয়ারি পল্টন ময়দানের এক জনসভায় দীর্ঘ ভাষণ দেন। তিনি মূলত জিন্নাহ্'র কথারই পুনরুক্তি করে বলেন,
পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে উর্দু।
----------------------
১.ভাষা আন্দোলেনের সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কোথায় ছিলেন
--জেলে
একুশে পদকের কত সালে প্রবর্তন করা হয় ?
- ১৯৭৭
.
. এই অঞ্চলের প্রায় বাইশ কোটি স্থানীয় মানুষের ও পৃথিবীর মোট ৩০ কোটি মানুষের ভাষা হওয়ায়, এই ভাষা বিশ্বের সর্বাধিক প্রচলিত ভাষাগুলির মধ্যে চতুর্থ স্থান অধিকার করেছে।
বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কার জাতীয় সঙ্গীত, এবং ভারতের জাতীয় স্তোত্র এই ভাষাতেই রচিত এবং তা থেকেই দক্ষিণ এশিয়ায় এই ভাষার গুরুত্ব বোঝা যায়।
.
পাকিস্তানের বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রীয় ভাষায় স্বীকৃতি
---------------------
১৯৫৪ সালের ৭ মে মুসলিম লীগের সমর্থনে বাংলাকে রাষ্ট্রীয় ভাষার মর্যাদা দেয়া হয়।[৬৬] বাংলাকে পাকিস্তানের দ্বিতীয় রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দিয়ে সংবিধানে পরিবর্তন আনা হয় ১৯৫৬ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি। সংবিধানের ২১৪(১) অধ্যায়ে রাষ্ট্রভাষা সম্পর্কে লেখা হয়:
214.(1) The state language of Pakistan shall be Urdu and Bengali.
[২১৪. (১) উর্দু এবং বাংলা হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা।]
যদিও আইয়ুব খানের প্রতিষ্ঠিত সামরিক সরকার উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসাবে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেছিল; ১৯৫৯ সালের ৬ জানুয়ারি সামরিক শাসকগোষ্ঠী এক সরকারি বিবৃতি জারি করে এবং ১৯৫৬ সালের সংবিধানে উল্লেখিত দুই রাষ্ট্র ভাষার উপর সরকারি অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে।
.
.
২.-সরকারি ভাষা হিসাবে বাংলার ব্যবহার শুরু হয়
--১৯৫৬।
-১৯৫৬ সাল পর্যন্ত ১১মার্চ ভাষা দিবস হিসেবে পালিত হত।
.
পূর্ব পাকিস্তান ছাড়াও ভারতের আসম রাজ্যে বাংলা ভাষাকে সমমর্যাদা দেয়ার লক্ষ্যে আন্দোলন হয়েছিল। ১৯৬১ সালের ১৯ মে শিলচর রেলস্টেশনে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য দাবি জানালে পুলিশের গুলিতে ১১ বাঙালি শহীদ হন। পরবর্তীতে আসামের বাংলাভাষী লোকসংখ্যা বেশি রয়েছে এমন ৩টি জেলাতে বাংলাকে আধা-সরকারি ভাষার মর্যাদা দেয়া হয়েছে।
..
ভারতের নিম্নলিখিত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে:
• পশ্চিমবঙ্গ
• ত্রিপুরা
• অসম (বরাক উপত্যকা)
• ঝাড়খণ্ড (২০১১ তে দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে স্বিকৃত)
• আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ
.
পাকিস্তানের করাচী শহরের দ্বিতীয় সরকারী ভাষা রূপে বাংলাকে গ্রহণ করা হয়েছে। ২০০২ খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে সিয়েরা লিওনের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আহমাদ তেজন কাব্বাহ ঐ রাষ্ট্রে উপস্থিত জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীর ৫,৩০০ বাংলাদেশী সৈনিকদের সেবার স্বীকৃতি স্বরূপ বাংলা ভাষাকে সরকারী ভাষার মর্যাদা প্রদান করেন।
, ২০০৯ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা জাতিসংঘের সরকারি ভাষা হিসেবে বাংলা ভাষাকে মর্যাদা দেওয়ার দাবী জানান
ঢাকায় ছাত্র নিহত হওয়ার ঘটনা নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকাতেও প্রকাশিত হয়। তবে সেখানে বলা হয়, ''ঢাকায় ভাষার জন্য শিক্ষার্থীদের উপর ভারতীয় পুলিশের গুলি বর্ষণ।''
. একুশের গান
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো
২১ ফেব্রুয়ারি গুলিবর্ষণের ঘটনার পর 'একুশ' নিয়ে প্রথম গান আবদুল গাফফার চৌধুরী;- গানটি হল - আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি। এ গানটিতে প্রথমে সুরারোপ করেন আব্দুল লতিফ।[৫৫] পরে করাচী থেকে ঢাকা ফিরে ১৯৫৪ সালে আলতাফ মাহমুদ আবার নতুন করে সুরারোপ করেন।[৫৬] সেই থেকে ওটা হয়ে গেল একুশের প্রভাতফেরীর গান। বর্তমানে আলতাফ মাহমুদের সুর করা গানটিই গাওয়া হয়। ১৯৫৪ সালে হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত একুশে সংকলনে প্রকাশিত হয় গানটি। তৎকালীন সরকার সংকলনটি বাজেয়াপ্ত করে। জহির রায়হান তাঁর জীবন থেকে নেয়া ছবিতে এ গানটি ব্যবহার করার পর এর জনপ্রিয়তা ব্যাপকতা লাভ করে। ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পাবার পর আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে এই গানটির সুনাম আরো বাড়তে শুরু করে। ইতোমধ্যে গানটি সুইডিশ ও জাপানি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। বিবিসি শ্রোতা জরিপে বাংলা ভাষার শ্রেষ্ঠ গানের তালিকায় এটি তৃতীয় স্থান লাভ করেছে।
.
৩.'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি|'এ গানের গীতিকার কে?
-আব্দুল গাফফার চৌধুরী
৪.'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি|'এ গানের ১ম সুরকার কে?
-আব্দুল লতিফ
৫.আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি|গানটির বর্তমান সুরকার
- > আলতাফ মাহমুদ
৬.'সালাম সালাম হাজার সালাম ' এই গানটির গীতিকার কে?
--ফজল এ খোদা
৭.'সালাম সালাম হাজার সালাম ' এই গানটির সুরকার ও শিল্পী কে?
--আ: জব্বার
ওরা আমার মুখের ভাষা কাইড়া নিতে চায় .. গানটির গীতিকার কে?
- আব্দুল লতিফ
৮.ভাষা আন্দোলন বিষয়ক উপন্যাস কোনটি?
--আরেক ফাল্গুন
৯. ভাষা আন্দোলন বিষয়ক নাটক “কবর ” লিখেছেন> মুনীর চৌধুরী
১০.“কবর ” নাটকটি প্রথম মঞ্চস্থ হয় কবে?
---২১ শে ফেব্রুয়ারি ১৯৫৪
১১.স্বাধীনতার পর প্রথম ডাকটিকেটে কোন ছবি ছিল?
---শহীদ মিনার
১২.দেশের বাইরে প্রথম শহীদ মিনার নির্মিত হয্ কোথায্?
---জাপান
১৩.ভাষা আন্দোলনের ফলে কোন প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি হয়েছিল?
---বাংলা একাডেমী(১৯৫৫সালে ৩ ডি
১৪.ভাষা আন্দোলনের মুখপাত্র কোন পত্রিকা?
--সাপ্তাহিক সৈনিক
১৫. ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পূর্ব বাংলার মূখ্যমন্ত্রী কে ছিলেন?
-- নুরুল আমিন । পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন খাজা নাজিম উদ্দিন ।
১৬.১ম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের উদ্বোধন করেন কে?
শহীদ শফিউরের পিতা
১৭.'তমুদ্দিন মজলিস' কত সালে জন্ম লাভ করে?
১৯৪৭ সালের সেপ্ট:
সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা কেন্দ্রীয় পরিষদ সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয় কবে গঠিত হয়
৩১জানুয়ারী ১৯৫২সালে।
১৮.বাংলা ভাষা তৎকালীন পাকিস্তান সংবিধানে কত সালে গৃহীত হয় ?
-১৯৫৬সালে
১৯.কতো তারিখে "রাষ্ট্রভাষা দিবস" ছিল?
--২১ফেব্রুয়ারী,১৯৫২
২০.কেন্দ্রীয্ শহীদ মিনারের স্হপতি কে?
--হামিদুর রহমান
২১. ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষার জন্য কতজন শহিদ হন ? : ৪ জন।
২১ ফেব্রুয়ারি : রফিক,বরকত,জব্বার & আব্দুল সালাম।
২২ ফেব্রুয়ারি : শফিউর,আব্দুল আউয়াল, অহিউল্লাহ & অজ্ঞাত একজন।
সর্বমোট শহিদ হন ৮ জন । উইকি পিডিয়াতে ৯ জন আছে।
২২.রাষ্ট্র ভাষা বংলা চাই এর প্রথম প্রস্তাবক কে ?
---ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত১৯৪৮ সালের ২৩শে ফেব্রুয়ারী তারিখে পাকিস্তান গণপরিষদে ইংরেজী ও উর্দুর পাশাপাশি সদস্যদের বাংলায় বক্তৃতা প্রদান এবং সরকারি কাজে বাংলা ভাষা ব্যবহারের জন্য একটি সংশোধনী প্রস্তাব উত্থাপন করেন গণপরিষদ সদস্য ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত
২৩.জাতীয় শহীদ মিনারের প্রতীকটি কি প্রকাশ করে ?
--মা তার সন্তানের মাতৃ ভাষার গল্প শুনাচ্ছে
২৪.ওরা আমার মুখের ভাষা কাইড়া নিতে চায়' - এই গানটির গীতিকার কে?
--আব্দুল লতিফ
২৫.ওরা আমার মুখের ভাষা কাইড়া নিতে চায়' - এই গানটির সুরকার কে?
---আব্দুল লতিফ
২৬.১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি কি বার ছিল?
-- বৃহস্পতিবার
২৭."এখানে যারা প্রান দিয়াছে রমনার ঊর্ধ্বমুখী কৃষ্ণচূড়ার নীচে সেখানে আমি কাঁদতে আসি নি" - এর রচিয়তা -
মাহবুব আলম চৌধুরী
২৮.কাঁদতে আসি নি,ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি” কবিতাটি লিখেছেন
> মাহবুব আলম চৌধুরী
২৯.সর্বদলীয় কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়?
১৯৫২ সালে
৩০.১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলা সনের কত তারিখ ছিল?
৮ ফাল্গুন ১৩৫৮
৩১.কোন দেশের দ্বিতীয় মাতৃভাষা বাংলা?
----সিয়েরা লিওন
৩২.জাতীয় শহীদ মিনারের আয়তন ১৫০০ বর্গ ফিট বা ১৪০ বর্গ মিটার,উচ্চতা ৪৬ফিট বা ১৪ মিটার । স্থপতি হামিদুর রহমান (সহকারী ছিলেন নভেরা আহমেদ)
.
৩৩.জাতীয় শহীদ মিনার উদ্বোধন করেন বরকতের মা হাসিনা বেগম ,১৯৬৩ সালের ২১ফেব্রুয়ারি।(প্রথম ঢাকার প্রথম শহীদ মিনার প্রথম উদ্ধোধন করেন শহীদ সফিউরের বাবা, )
৩৪.ইউনেস্কো কত তারিখে ২১শে ফেব্রুয়ারীকে আন্তরজাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়?
১৭ নভেম্বর, ১৯৯৯ । ৩০তম সাধারণ অধিবেশনে । বাংলাদেশসহ ২৭টি দেশের সমর্থন নিয়ে সর্বসম্মতভাবে একুশে ফেব্রুয়ারিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস' হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।
৩৫.২১শে ফেব্রুয়ারীকে আন্তরজাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ১ম কয়টি দেশ পালন করে?
---<১৮৮টি(২০০০সালে)
৩৬.একুশের ১ম সংকলন করেন কে?
--<হাসান হাফিজুর রহমান
৩৭.“মোদের গরব মোদের আশা আ-মরি বাংলা ভাষা” - কবিতাটি কে লিখেছেন?
-- অতুল প্রসাদ সেন
৩৮.বাংলা একাডেমির চত্তরের মুরাল হল
---<“মোদের গরব
৩৯.১ম-এ বাংলাদেশের বাইরে কোথায় বাংলা ভাষা শিক্ষা দেয়া হয়?
>কানাডার টরেন্টো ইউনিভার্সিটিতে
৪০.কুমড়ো ফুলে নুয়ে পড়েছে লতাটা শীর্ষক কবিতাটি লিখেছেন
----< আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ
৪১. ফেব্রুয়ারী একুশ তারিখ দুপুর বেলার অক্ত
বৃষ্টি নামে , বৃষ্টি কোথায় বরকতেরই রক্ত । কবিতাটির লেখক কে?
- আল মাহমুদ।
৪২.-একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ হয়েছিলেন ৮জন-রফিক,বরকত,সালাম,শফিউর,জব্ব
ার,আওয়াল,অলিউল্যাহ ও একজন অজ্ঞাতনামা বালক।১ম শহীদ রফিক
-জীবিত ভাষা সৈনিকদের নাম
-গোলাম আরিফ টিপু, আবুল মাল আব্দুল মুহিত,
মহিলা ভাষা সৈনিক
১।মমতাজ বেগম
২।প্রফেসর সুফিয়া আহমেদ
নুরুন্নাহার কবির পোস্টার লিখতেন.
৪৩.ভাযা আন্দোলনভিত্তিক কবিতা :
-----------------------------
.
১. কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি= মাহবুবুল আলম চৌধুরী
২. ওড়া আমার মুখের ভাষা কাইড়া নিতে চায়= আব্দুল লতিফ
৩. কোন এক মাকে= আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ
৪. স্মৃতিস্তম্ভ = আলাউদ্দীন আল আজাদ
৫. বর্ণমালা, আমার দুঃখিনী বর্ণমালা= শামসুর রাহমান
.
৪৪. ভাষা আন্দোলন ভিত্তিক উপন্যাস
জহির রায়হানের >> আরেক ফাগুন , একুশে ফেব্রুয়ারি
শওকত ওসমানের >>> আর্তনাদ,
সেলিনা হোসেনের >>>> নিরন্তর ঘণ্টাধ্বনি ও যাপিত জীবন
.
৪৫.ভাষা আন্দোলন ভিত্তিক গল্প
জহির রায়হানের >>>> (একুশের গল্প),
শওকত ওসমান >>>> (মৌন নয়),
সাইয়িদ আতীকুল্লাহ >>>> ,
আনিসুজ্জামান >>>>> (দৃষ্টি),
সিরাজুল ইসলাম >>>> (পলিমাটি)
আতোয়ার রহমান >>>>> (অগ্নিবাক)।
. সৈয়দ শামসুল হকের >>> (আরো একজন),
নাসরীন জাহানের >>>> (বিবরবাসী) ও
পারভেজ হোসেনের >>>>> (মানুষের মুখ)
..
ভাষা আন্দোলন ভিত্তিক ১ম চলচ্চিত্র
--------------------------------
- জীবন থেকে নেয়া (জহির রায়হান) । এখানেই প্রথম আমার সোনার বাংলা গানটি ব্যবহৃত হয ।
৪৪.বাংলা বর্তমান মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন শামসুজ্জামান খান
বর্তমান সভাপতি >> প্রফে. ড. আনিসুজ্জামান
৪৫. বাংলা একাডেমির প্রথম মহাপরিচালক
--প্রফেসর মযহারুল ইসলাম
৪৬.গ্রন্থমেলা
গ্রন্থমেলায় আগ্রহী কথাসাহিত্যিক ও জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের সাবেক পরিচালক সরদার জয়েনউদদীন আন্তর্জাতিক গ্রন্থবর্ষ উপলক্ষে ১৯৭২ সালে ডিসেম্বর মাসে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে একটি আন্তর্জাতিক গ্রন্থমেলার আয়োজন করেন। সেই থেকেই বাংলা একাডেমিতে বইমেলার সূচনা
১৯৭৪ সালে বাংলা একাডেমির উদ্যোগে একটি বিশাল জাতীয় সাহিত্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই মেলার উদ্বোধন করেন। সে উপলক্ষে নিজামী, চিত্তবাবু এবং বর্ণমিছিলসহ সাত-আটজন প্রকাশক একাডেমির ভেতরে পূর্ব দিকের দেয়ালঘেঁষে বই সাজিয়ে বসে যান। সে বছরই প্রথম বাংলা একাডেমির বইয়েরও বিক্রয়কেন্দ্রের বাইরে একটি স্টলে বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়
১৯৮৪ সাল থেকে বাংলা একাডেমি আয়োজিত বইমেলাকে অমর একুশে গ্রন্থমেলা নামকরণ করা হয়
৪৭. বাংলা একাডেমির পত্র-পত্রিকা প্রকাশনা
বাংলা একাডেমির প্রথম প্রকাশনা “বাংলা একাডেমি পত্রিকা” প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয় ১৯৫৭-র জানুয়ারী মাসে।
• উত্তরাধিকার। - এটি একটি সৃজনশীল মাসিক সাহিত্য পত্রিকা
এটি ১৯৭৩ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। দশ বছর পত্রিকাটি মাসিক পত্রিকা হিসেবে চালু থাকলেও ১৯৮৩ সাল থেকে ত্রৈমাসিকে রূপান্তরিত হয় এবং পত্রিকাটি ধীরে ধীরে অনিয়মিত হয়ে পড়ে। ২০০৯ সালের জুলাই থেকে মাসিক হিসেবে এটি প্রতিমাসে নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে।
• বাংলা একডেমি পত্রিকা। - এটি একটি গবেষণামুলক ত্রৈমাসিকপত্রিকা ।
• বাংলা একাডেমি বার্তা
বাংলা একাডেমির ত্রৈমাসিক মুখপত্র লেখা ২০০৯ সালের আগস্ট থেকে ‘বাংলা একাডেমি বার্তা’ নামে প্রকাশ করা হচ্ছে।
• বাংলা একডেমি বিজ্ঞান পত্রিকা। - এটি ষাণ্মাসিক বিজ্ঞান পত্রিকা।
• ধানশালিকের দেশ। - এটি একটি কিশোর ত্রৈমাসিক সাহিত্য পত্রিকা।
৪৮.পুরস্কার প্রদান
বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার বাংলা ভাষার অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ সাহিত্য পুরষ্কার। এটি ছাড়াও বাংলা একাডেমি কয়েকটি পুরষ্কার প্রদান করে থাকে। এগুলো হল:
• রবীন্দ্র পুরস্কার।
• চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার :- ২০১০ খ্রিস্টাব্দ থেকে এই অমর একুশে গ্রন্থমেলা-এর প্রবর্তক চিত্তরঞ্জন সাহার নামে একটি পদক প্রবর্তন করা হয়েছে। পূর্ববর্তী বছরে প্রকাশিত বইয়ের গুণমান বিচারে সেরা বইয়ের জন্য প্রকাশককে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়।
• সরদার জয়েনউদ্দীন স্মৃতি পুরস্কার :- অমর একুশে গ্রন্থমেলায় স্টল ও অঙ্গসজ্জার জন্য দেয়া হয় 'সরদার জয়েনউদদীন স্মৃতি পুরস্কার'।
• পলান সরকার স্মৃতি পুরস্কার :- অমর একুশে গ্রন্থমেলায় সর্বাধিক গ্রন্থ ক্রয়ের জন্য সেরা ক্রেতাকে দেয়া হয় 'পলান সরকার পুরস্কার'।[৪]
• মোহাম্মদ নুরুল হক গ্রস্থ–সুহৃদ পুরস্কার।
৪৯.বাংলা একাডেমি পুরস্কার
বাংলা একাডেমি পুরস্কার ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে প্রবর্তন করা হয়। বাংলা সাহিত্যের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। ১৯৮৪ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বিভিন্ন শাখায় বছরে ৯ জনকে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দ থেকে বছরে ২ জনকে এই পুরস্কার প্রদানের নিয়ম করা হয়। ২০০৯ খ্রিস্টাব্দ থেকে চারটি শাখায় পুরস্কার দেয়া শুরু হয়।
.
৫০.বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০১৬।
.--------------------------------------
বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার গ্রহণ করেছেন ১১ জন লেখক-সাহিত্যিক। সোমবার ভাষার মাসের প্রথম দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের হাতে পুরস্কারের মূল্যমান এক লাখ টাকা ও সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন।
.
দশটি ক্যাটাগরিতে মোট ১১ জনকে এবার এই পুরস্কার দেওয়া হলো।
.
পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন-
কবিতায় আলতাফ হোসেন,
কথাসাহিত্যে শাহীন আকতার,
প্রবন্ধে যৌথভাবে আবুল মোমেন ও ড. আতিউর রহমান,
গবেষণায় মনিরুজ্জামান,
অনুবাদে আব্দুস সেলিম,
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সাহিত্যে তাজুল মোহম্মদ,
আত্মজীবনী, স্মৃতিকথা ও ভ্রমণকাহিনি ক্যাটাগরিতে ফারুক চৌধুরী,
নাটকে মাসুম রেজা,
বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও পরিবেশে শরীফ খান এবং
শিশুসাহিত্যে সুজন বড়ুয়া।
..
৫১.২০১৬ সালের একুশে পদক
-----------------------------------------
গৌরবোজ্জল ও প্রশংসনীয় অবদানের জন্য এবার একুশে পদক পাচ্ছেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি কাজী এবাদুল হক, সাহিত্যিক হায়াৎ মামুদ, সাংবাদিক তোয়াব খান ও কণ্ঠশিল্পী শাহীন সামাদসহ আরো ১৬ জন। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় বুধবার ২০১৬ সালের একুশে পদকের জন্য মনোনীতদের নাম ঘোষণা করে। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তাদের হাতে পদক তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
-------------------------------------------------------------
ভাষা আন্দোলন--- অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি কাজী এবাদুল হক, ডা. সাইদ হায়দার ও ড. জসীম উদ্দিন আহমেদ।
ভাষা সংগ্রামী সৈয়দ গোলাম কিবরিয়াও এবার # মরণোত্তর এ পুরস্কার পাচ্ছেন।
শিল্পকলা-- অভিনেত্রী জাহানারা আহমেদ, শাস্ত্রীয় সংগীতগুরু পণ্ডিত অমরেশ রায় চৌধুরী, সংগীত শিল্পী শাহীন সামাদ, নৃত্যশিল্পী আমানুল হক।
চিত্রশিল্পী কাজী আনোয়ার হোসেন #মরণোত্তর এ পুরস্কার পাচ্ছেন।
মুক্তিযুদ্ধ-- মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি মফিদুল হক।
সাংবাদিকতা-- দৈনিক জনকণ্ঠের উপদেষ্টা সম্পাদক তোয়াব খান।
গবেষণা--- অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ এবং মংছেনচীং মংছিন।
ভাষা ও সাহিত্যে --জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত, অধ্যাপক হায়াৎ মামুদ ও হাবীবুল্লাহ সিরাজী ।
------------
পদক বিজয়ী প্রত্যেককে ১৮ ক্যারেট মানের ৩৫ গ্রাম স্বর্ণপদক এবং নগদ দুই লাখ করে টাকা দেওয়া হবে।
--------------------------------------------
/////....সম্প্রতি কোথায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা শীর্ষক ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়?
নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরের সামনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা শীর্ষক ভাস্কর্য স্থাপন হলো। উল্লেখ্য, ভাস্কর্যটির নকশা তৈরী করেছেন অলিম্পিক গোল্ড মেডেল প্রাপ্ত শিল্পী খুরশীদ সেলিম এবং ভাস্কর্যটি নির্মাণ করেছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন শিল্পী মৃণাল হক। মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা বিশ্বজিত সাহার উদ্যোগে এটি স্থাপন করা হয় ১ম ফেব্রুয়ারী
.
>>কলকাতায় ভাষা শহীদদের স্মরণে ভাস্কর্য
. ------------------------------------------
ভাস্কর্যটি তৈরি করেছেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার সদস্য শিল্পী যোগেন চৌধুরী।
.
ভাস্কর্যটিতে ভাষার দাবিতে আন্দোলনরত জনতার ওপর পুলিশের গুলিতে শহীদ এক পুরুষকে কোলে নিয়ে বসে থাকা এক নারীর মুর্তি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এ বিষয়ে শিল্পী যোগেন চৌধুরী জানান, নারী মুর্তিটি আসলে তার কোলে থাকা ভাষা শহীদের বোন। নারী মুর্তিটিকে বাংলা ভাষাও বলা যেতে পারে।
.
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট,
---------------------------------------
ঢাকার সেগুনবাগিচায় অবস্থিত, বিশ্ব ভাষার গবেষণা প্রতিষ্ঠান। সেগুনবাগিচাস্থ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী ভবনের পাশেই
২০০১ খ্রিস্টাব্দের ১৫ মার্চ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতিসংঘের মহাসচিব কফি আনানের উপস্থিতিতে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের উদ্বোধন করেন। ৭০টি ভাষা গবেষণা ও চর্চা করার সুযোগ আছে এখানে।
ইউনাইটেড নেশনস এডুকেশনাল, সাইন্টিফিক অ্যান্ড কালচারাল অরগানাইজেশন-ইউনেস্কোর দ্বিতীয় ক্যাটাগরির প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট।
কোনো সমস্যা বা পরামর্শের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন আমার ফেইসবুক আইডি বা গ্রুপেঃ
আমাকে ফেইসবুকে পেতে এখানে ক্লিক করুন
ফেইসবুক গ্রুপে জয়েন করতে এখানে ক্লিক করুন-
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:৪৫