somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোশাক কী ও কেন

০২ রা আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পোশাক কী ও কেন

মানুষের বেঁচে থাকার জন্য প্রথম প্রয়োজন খাদ্যের। এর পরেই সর্বাধিক গুরুত্ব পোশাকের। যা দ্বারা মানুষ লজ্জাস্থান আবৃত রাখে। শীত-গ্রীষ্মের প্রকোপ থেকে বাঁচে। এবং সুন্দর ও পরিপাটি থাকার স্বভাবজাত চাহিদা পূরণ করে। কুরআন মজীদে ইরশাদ হচ্ছে, يَا بَنِي آَدَمَ قَدْ أَنْزَلْنَا عَلَيْكُمْ لِبَاسًا يُوَارِي سَوْآَتِكُمْ وَرِيشًا وَلِبَاسُ التَّقْوَى ذَلِكَ خَيْرٌ ذَلِكَ مِنْ آَيَاتِ اللَّهِ لَعَلَّهُمْ يَذَّكَّرُونَ
(তরজমা) হে বনী আদম! আমি তোমাদের জন্য পোশাক অবতীর্ণ করেছি। যা তোমাদের সতর ঢেকে রাখে এবং সৌন্দর্য্যরেও উপকরণ। (সূরা আরাফ: ২৬) আরো ইরশাদ হচ্ছে, وَجَعَلَ لَكُمْ سَرَابِيلَ تَقِيكُمُ الْحَرَّ وَسَرَابِيلَ تَقِيكُمْ بَأْسَكُمْ كَذَلِكَ يُتِمُّ نِعْمَتَهُ عَلَيْكُمْ لَعَلَّكُمْ تُسْلِمُونَ (তরজমা) তিনি তোমাদের জন্য ব্যবস্থা করেছেন পরিধেয় বস্ত্রের, যা তোমাদেরকে গরম ও তাপ থেকে রক্ষা করে। এবং এমন বস্ত্রের ব্যবস্থা দিয়েছেন, যা তোমাদেরকে বিভিন্ন ক্ষতি ও অনিষ্ট থেকে রক্ষা করে। এভাবে তিনি তোমাদের প্রতি তাঁর নিয়ামতকে পরিপূর্ণ করেন, যাতে তোমরা আত্মসমর্পণ কর। (সূরা নাহাল: ৮১)
ইসলাম যেহেতু একটি পরিপূর্ণ ধর্ম, তাই জীবনের ছোট-বড়, গৌণ-মুখ্যÑসব বিষয়েই ইসলামের দিকনির্দেশনা রয়েছে। পোশাক-পরিচ্ছদের ব্যাপারটিও এর ব্যতিক্রম নয়। মানুষের কল্যাণেই ইসলাম এ বিষয়ে কতক মৌলিক নীতিমালা নির্ধারণ করে দিয়েছে। যেগুলোর অনুসরণ মুমিন নারী-পুরুষের জন্য অত্যাবশ্যকীয়। এবং ব্যতিক্রম করা কারো জন্য বৈধ নয়।
এ যুগের পাশ্চাত্য কৃষ্টি-কালচার দ্বারা প্রভাবিত এক শ্রেণীর লোকের ধারণা, পোশাক-পরিচ্ছদ ও সাজ-সজ্জা একান্তই মানুষের স্বভাবগত বিষয়। স্থান ও যুগের চাহিদা ও প্রচলন অনুসারে মানুষ যা ইচ্ছা তা-ই গ্রহণ করতে পারে। এসবের সঙ্গে হালাল-হারাম, বৈধ-অবৈধের কোন সম্পর্ক নেই।
তাদের এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল ও অজ্ঞতাপ্রসূত। লেবাসের হাকীকত ও তাৎপর্য কী, মানুষের জীবনে এর প্রভাব ও প্রতিক্রিয়া কতটুকু, এ সব বিষয়ে অবগতি না থাকা এবং চিন্তা-ভাবনা না করাই এহেন ভুল ধারণা সৃষ্টির মূল কারণ।
বাস্তবতা হচ্ছে, পোশাক যদিও বাহ্যিক বিষয়, এবং শরীরের বাইরের সাথেই এর সম্পর্ক। কিন্তু তা এক গভীর প্রভাব সৃষ্টি করে ব্যক্তির অন্তর-জগতে। তার স্বভাব ও চরিত্রে, মনন ও মানসে। কোন পোশাক মানব মনে অহংকার ও অহমিকার বীজ বপন করে। কোন পোশাক অন্তরে বিনয় ও বিনম্্রতাকে লালন করে। কোন পোশাক উত্তম চরিত্র গড়ে তোলার পথ সুগম করে। আবার কোন পোশাক উচ্ছৃঙ্খলতা ও অপরাধের পথ অবারিত করে।
সুতরাং যিনি মনে করেন, লেবাস-পোশাক কেবলই বাহ্যিক আবরণ, মানব মন ও মননের সঙ্গে এর কোনই সম্পর্ক নেই, তিনি মানুষের স্বভাব- প্রকৃতি সম্পর্কে নিরেট অজ্ঞ ও মূর্খ।
সঙ্গত কারণেই ইসলাম পোষাকের ব্যাপারটি পূর্ণরূপে মানুষের এখতিয়ারে ছেড়ে দেয়নি। যা ইচ্ছা তা-ই পরবে, যেমন খুশী তেমন সাজবে। এমন মুক্ত স্বাধীনতা দুনিয়ার জীবনে ঈমানদারকে দেয়া হয়নি। হ্যাঁ, ইসলাম প্রকৃতির ধর্ম। জীবনের সব ক্ষেত্রেই ইসলাম এমন বিধান আরোপ করেছে, যা মানব স্বভাবের সম্পূর্ণ অনুকূলে। এবং মানুষের স্বাভাবিক রুচি-প্রকৃতিকে পূর্ণ সমর্থন করে। কিন্তু, কারো যদি রুচিটাই বিকৃত হয়ে যায়, তাহলে তার কথা ভিন্ন।
মানুষ যেহেতু স্বভাবগত কারণেই খাওয়-পরাসহ সব বিষয়েই বৈচিত্র পছন্দ করে। কোন এক প্রকারে তুষ্ট হয় না এবং তুষ্ট থাকতেও পারে না। এ কারণে ইসলাম কোন এক প্রকারের পোশাককে ঈমানদারদের জন্য আবশ্যক করে দেয়নি। কোন নির্দিষ্ট পোশাককে মুসলমানের ইউনিফর্ম ঘোষণা করেনি।
হ্যাঁ, ইসলাম এতটুকু করেছে যে, এ বিষয়ে কতক মৌলিক নীতিমালা নির্ধারণ করে দিয়েছে। এগুলো অনুসরণের পর মুমিন নারী-পুরুষের পূর্ণ স্বাধীনতা থাকবে নিজেদের রুচি এবং যুগের চাহিদা অনুযায়ী যা খুশি পরতে পারবে।
নি¤েœ প্রতিটি মূলনীতি দলীলসহ আলোচিত হলো
চলবে........
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদির হত্যাকান্ড ও সরকারের পরবর্তি করণীয়!

লিখেছেন আহলান, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫১

হাদির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। সে দেশকে ভালোবেসে, দেশের মানুষকে ইনসাফের জীবন এনে দিতে সংগ্রাম করেছে। তাকে বাঁচতে দিলো না খুনিরা। অনেক দিন ধরেই তাকে ফোনে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে এসেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব রাজ্যে উত্তেজনা: হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

রোম যখন পুড়ছিল নিরো নাকি তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল; গতরাতের ঘটনায় ইউনুস কে কি বাংলার নিরো বলা যায়?



বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদটি সবসময় ছিল চ্যালেঞ্জিং।‌ "আল্লাহর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×