লংমার্চের কর্মসূচীর প্রতি আমি একাত্নতা পোষণ করছি। আল্লাহ, নবী মোঃ (সঃ) এবং মহা কালের মহাপবিত্র কোরআনের অবমাননা ওরফে নাস্তিকপন্থী ব্লগারদের শাস্তির জন্য 13 দফার দাবির লক্ষ্যে 6ই এপ্রিল,2013 ঢাকায় উদ্দেশ্যে “হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ” যে কর্মসূচী পালন করবে তা ইসলাম প্রিয় ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন। সরকারের উচিৎ তাদের সকলের দাবি-দাওয়াগুলো মেনে নিয়ে দেশকে একটি ঠিকানাহীন অস্থিরতা থেকে রেহাই দিতে সহযোগীতা করবে বলে আমরা তৌহিদি জনতারা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। তবে একই দিনে “71-এর ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’ কর্তৃক আহুত “হেফাজতে ইসলাম-বাংলাদেশ”কে প্রতিরোধ করতে আর সময় না পেয়ে অনেকটা ঘুমন্ত সন্ধ্যায় একটা বেকুব মার্কা হরতাল আহবান দেশকে ভিন্ন দিকে নিয়ে যেতে পারে। তবে এর মাধ্যমে আন্দোলন দীর্ঘাইতো হবার সম্ভাবনা আছে। আসতে পারে লাঘাতর হরতাল থেকে অবরোধ কর্মসূর্চী। সরকারের ইচ্চায় হোক কিংবা অনিচ্ছায় হোক সরকারের কিছু নেতা এই লংমার্চ বাধাগ্রস্থ করছে বলে খবর পাওয়া গেছে। যা অতিব দুঃখজনক।
রাস্তায় রাস্তায় লংমার্চের গাড়ি ভাড়া দিতে গাড়ি চালকদের প্রশাষনিক চাপ, পথে পথে মোটর শোভাযাত্রা বাধা প্রদান করছে আওয়ামীলীগের বেশ অতি উৎসাহী নেতাগণ্। তবে আমি একটা কথা জোড় দিয়ে বলতে পারি শেখ হাসিনা সরকারের জন্য “জামাত-শিবির-হেফাজতে ইসলাম” ততটা হুমকি নয় যতটানা হুমকি ও মাথা ব্যাথোর কারণ হবে এবং হচ্ছে আজকের কখিত ‘গন জাগরণ মঞ্চ, বাংলাদেশে বর্তমান পুলিশের ভূমিকা, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির রংমার্চের দিনে হরতাল কর্মসূচী এবং নাস্তিক ব্লগারদের প্রতি সরকারের পক্ষপাত দুষ্ট মনোভাব ইত্যাদি। যদিও ঘাতক দালার নির্মুল কমিটিটি একটি “ক্লাবীয় জাতীয়” কিছু লোকের জাষ্ট একটি কমিটি। এদের শক্তি অনেকটা এক সাগর পানির তুলনায় যেন এক গ্লাস পানি। এ কমিটি বর্তমান বাংলাদেশের ইসলামী দল সমূহের শক্তির তুলনায় যেন “এক গ্লাস” পানি। অতএব এ হরতাল আহুত লংমার্চের কর্মসূচীতে বিশেষ কোন প্রভাব পড়বে বলে আমি মনে করিনা। তাদের এ হরতাল পালন করার দুঃসাহস কেহ দেখাবে আমি সেটাও মনে করছিনা। তাদের সীমানা অনেকটাই ঢাকা কেন্দ্রিক বলে মনে হচ্ছে। তবে এই ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির আহুত হরতালে শব্দ চয়নে একটা বড় ভুল করে ফেলেছে। তারা মূলত লংমার্চ “প্রতিবাদ” হওয়ার কথা সেখানে “প্রতিরোধ” ভাষাটি ব্যবহার করায় একটা সংঘর্ষ উস্কে দিতে পারে।একটা বিচক্ষনতার অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে।অবশ্য এ ভুলটি অনেকটা স্বীকার করেছে বাবু এক টেলিভিষন ভিডিও কনফারেন্সে যা আমি তাকে বলতে শুনেছি।প্রশ্নটি অবশ্য বেরিয়ে আসে কাজী ফিরোজের মুখ থেকে। ভাল, বাদ দিলাম এই “কুটির ঘরের কমিটি”-র কথা। ইতিমধ্যে এ লংমার্চ সারা দেশে সর্বজন গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। তাই মনে হয় সরকারের ভিতসহ নড়ে গেছে। তবে এরশাদ সাহেব পানি সরবারহের যে দায়িত্ব নিয়েছেন তা ইতিবাচক সিদ্ধান্ত। আমি চিন্তা করছি যে, এ ধরনের আন্দোলনগুলো পরবর্তীতে ইরানের মত করে এ দেশে ”ইসলামী বিপ্লব” ঘটাবেনা তো? সরকারের উচিৎ হরতাল প্রতিহত করে লংমার্চ সফলভাবে পালন করার। এটি অতি প্রচারণ পেয়েছে দেশ ও বিদেশে তাই এতে বাধা আসলে বিপাকে পড়বে সরকার। এক পর্যায়ে একটি সরকার পতনের আন্দোলনের দিকে ধাবিত হবে বলে আমার মনে হয়। সরকার যতই মুখে ফেনা তুলুক যে এটা জামাত-শিবিরের-বি.এন.পির পরিকল্পনা তার চেয়ে বড় কখা এটা এখনও একটি ”অরাজনৈতিক” সংগঠন। আর এদের ডাকা লংমার্চের উদ্দেশ্য হলো নাস্তিকপন্থী ব্লগারদের আইনের আওতায় শাস্তি প্রদান। 100-150 নাস্তিকপন্থী ব্লগার সরকারের কি এমন গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হয়ে গেল জানিনা যাদের ধরতে সরকার অনেকটাই উদাসীন। তারাতো সরকারের মামু ও না কিংবা খালুও না। তাদের প্রথম থেকেই ঘটনা বড় হওয়া ও ব্যপক প্রচারনা পাওয়ার আগেই ব্যবস্থা নিলে আজ সরকারের মূখ অনেক উজ্জল থাকত। আর ইসলামপন্থীরাও সরকারকে নাস্তিকপন্থী সরকার বলে আখ্যায়িত করতে পারতনা। ক্যায়ারটেকার সরকারের দাবির তুলনায় এই নাস্তিকদের নিয়ে সরকার সবচেয়ে বেশি ঝামেলায় আছে বলে মনে হচ্ছে। যাই হোক, লংমার্চ -এর সফলতা কামনা করছি। আর পদক্ষেপ নিতে এবং সিদ্ধান্ত নিতে সরকারকে আরও বিচক্ষণতার পরিচয় দিতে হবে। সামনের দিনগুলো সরকারের জন্য বড়ই চ্যালেঞ্জের। সরকার এমন বেকায়দায় বিগত 96-সালে পোহাতে হয়নি।---আল্লাহ সর্বশক্তিমান।
লেখক- নূর মোহাম্মদ হোসাইন
প্রাক্তন ছাত্র : ডিপার্টমেন্ট অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং,2009
সিটি ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ,ঢাকা।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।






