ইচ্ছে ছিল চাঁদটা পেড়ে ফুল করে দিই,
আমিই নাহয় কাঁটায় ভরা বৃন্ত হব,
কিন্তু চাঁদের সমস্যাটা ভীষণ গভীর,
কেমন করে ওপর থেকে নামিয়ে নেব?
ইচ্ছে হল অন্ধকারে গুচ্ছ তারায়
লাফিয়ে বেড়াই একের থেকে আরেকটাতে
কিন্তু তারা এমন দুরে থাকল বসে,
বামন হয়ে সাধ্য কি মোর সেথায় যেতে?
ইচ্ছে তখন মেঘগুলোকেই ডাকবে ভেবে
যেই না গেছে বনপাহাড়ের গায়ের কাছে
পাহাড় তখন অমনি হেসেই লুটোপুটি,
"মেঘরা কত দূর তা বামন ভুলেই গেছে।"
ইচ্ছে তখন হতাশ হয়ে দেখল নীচে
মাটির কাছে, মাটির সাথে ফুলের মেলা,
বলল তারা, "ইচ্ছেপাগল, ঘাড়টা নামা,
মাটির সাথে খেল বসে তোর ইচ্ছেখেলা।
এই মাটিতেই ভর করে তুই আকাশ দেখিস
এই মাটিটাই শিকড় দিয়ে জল বয়ে দেয়
এই মাটিতেই জীবনশেষে লুকিয়ে পড়া,
এসব ছেড়ে মন কেন তোর ঐদিকে ধায়?"
ইচ্ছে তখন দেখল ফিরে চতুর্দিকে
ছড়িয়ে আছে দিকখোলা মাঠ এই মাটিতে
সেই মাটিকে ছুঁতেও কারো নেইকো মানা,
বামন তো কি? ছুটতে মানা নেইকো তাতে।
সেই থেকে সব ইচ্ছেগুলো জলের পাশে,
ফুলের কাছে, কিম্বা ঘাসে, ক্লান্ত সাঁঝে
টুকরো হাওয়ায় গাছের পাতার ছড়িয়ে গিয়ে
ইচ্ছেজীবন মিলিয়ে দিল মাটির মাঝে।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:১৯