মেট্রো স্টেশনের এক কোণে গিয়ে মানিব্যাগটা খুলেই বিটু বুঝল বিরাট ভুল হয়ে গেছে। অমন মাঞ্জা দেওয়া ফুলটুশ হিরো হিরো মার্কা মাল কিন্তু পার্সে মাত্র সত্তর টাকা নিয়ে ঘুরছে। তাও খুচরো-টুচরো সব নিয়ে। শালা কঞ্জুস! খাটনি একদম বেকার গেল!
.
.
দূরে হইহই চেঁচামেচি। নির্ঘাত কেউ ঝাঁপ মেরেছে লাইনে।
.
.
পার্সের খাঁজে-টাজেও এটিএম কার্ড-ফার্ড কিছু নেই।
শুধু একটা সাদা কাগজ ভাঁজ করে রাখা আছে।
বিটু খুলে দেখল তাতে বড় বড় করে লেখা, 'আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।'
নীচে একটা সই।
.
.
পার্সটা দূরে ছুঁড়ে দিয়ে এক দলা থুতু ফেলল বিটু।
পাঁচ মাস আগে ধরা পড়ে পাবলিকের উদুম প্যাঁদানি খেয়ে এক মাস হাসপাতালে ছিল। যেদিন হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেল সেদিন বাইরে বেরিয়ে সব কিছু কী ভালই লাগছিল!
পুলিশগুলোর কাছে বায়না করেছিল মিষ্টি পান খাওয়ার। একটা কনস্টেবল ভাল ছিল। তাকে খাইয়ে ছিল। পানটা মুখে পুরে ঝকঝকে নীল আকাশ, রাস্তার এক পাশে নিজেদের মধ্যে খেলা করা এক পাল বাচ্চা নেড়ি কুকুর, মাথায় ভারি বস্তা নিয়ে মুখে অদ্ভুত আওয়াজ করে দৌড়ানো মুটে, মুখে সুড়ুৎ সুড়ুৎ শব্দ করে মাটির ভাঁড়ে চা খাওয়া বুড়ো, এইসব দেখতে দেখতে তার মনে হয়েছিল, পৃথিবীটা কী সুন্দর!
.
আর এই হিরোপানা ছেলেটা কিনা...
বিড়বিড় করে বিটু বলল, "শালা ভেড়ুয়া গান্ডু ..."
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১০:৩৯