সেদিন কোলকাতায় দাদা-বৌদির বিরিয়ানির দোকানে আমি আর রতন ঢুকেই দেখি আমাদের বন্ধু সন্দীপ বসে আছে। সামনে বছর ৩০ এর অপরূপা সুন্দরী মেয়ে বসে।
আমাদের সন্দীপের যেমন ঠিক হিরো হিরো চেহারা, মেয়েটিও তেমনই। দুজনকে দারুন মানিয়েছে একেবারে রাজযোটক।
মেয়েটির হাতের মুঠোয় সন্দীপের হাত দুটো ধরা।
সন্দীপের পেছনের টেবিলটা ফাঁকা থাকায় আমরা সেই টেবিলেই বসলাম। ওদের কথবার্তা স্পষ্ট কানে আসছে। একবার ভাবলাম বলি কিরে চিনতে পারছিস না? কেমন আছিস? তারপর মনে হলো ও ব্যক্তিগত সময় কাটাচ্ছে, বিরক্ত করা ঠিক না। তাছাড়া সন্দীপের মুখটা কেমন কাচুমুচু হয়ে আছে, চোখ গুলো করুন।
সন্দীপ হঠাৎ বলল তোমার সঙ্গে অনেক সুন্দর মুহূর্ত করিয়েছি গত এক মাসে, ওগুলো আমার সারাজীবনের সম্পদ। কিন্তু বাড়ির লোকের চাপে এই সম্পর্ক কন্টিনিউ কর আমার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। খুব ভালো থেকো, ভীষণ মিস করবো তোমায় বলে উঠে দাড়াল সন্দীপ।
মেয়েটি বলল আমি তোমার বাড়ির লোকের সাথে কি একবার কথা বলে দেখব? বাড়িতে কে কে আছেন তোমার?
সন্দীপ চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে রেস্টুরেন্ট থেকে বেরোতে বেরোতে বলল বউ আর দুটো বাচ্চা।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:৪৮