
ব্লগেও "তৌহিদী জনতার" লোকজন আছেন; লেখা ও কমেন্ট থেকে এদের চিনতে পারবেন।
ছবির এই সুশ্রী নারী ১ জন বাউল; বাউলরা পেছনে পড়া থাকা ১টি মি্উজিক্যাল জনগোষ্ঠী, যারা দরিদ্র বাংলাদেশে গান গেয়ে জীবিকা নির্বাহ করে ও খুবই দরিদ্র জীবন যাপন করে থাকে। এই জনগোষ্ঠীর মাঝে ১ জন মানুষ মৃত্যুর পর, আমাদের শিক্ষিত বাংগালী সমাজে কবি ও গীতিকার হিসেবে সন্মান পেয়েছেন; তিনি লালন শাহ। উনিও খুবই দরিদ্র জীবন যাপন করে গেছেন।
বাউলরা আজকের জামাত-শিবির, হেজফাজতী জংগী মবের কাছে ১টি বিপন্ন দরিদ্র সম্প্রদায়; যেই দেশে শিক্ষিত ও ধনী আহমেদিয়ারা প্রাণ হাতে নিয়ে বেঁচে আছে, সেখানে বাউল মাউল কি করে টিকবে?
মুসলমানদের মাঝে বিভক্তি শুরু হয়েছে ৫ম খলীফার সময় থেকেই; শিয়া, সুন্নী, ওয়াহাবী, আহমেদিয়া, দ্রুজ ব্যতিত আরো ছোটখাট বিভক্তি আছে; এদের মাঝে গৃহযুদ্ধের ফলে লেবানন, সিরিয়া, ইরাক, ইয়েমেন, লিবিয়া, পকিস্তান দোযখে পরিণত হয়েছে।
বানরগুলো বাংলাদেশকেও ইয়েমেন, লেবানন ও সুদান বানানোর পথে টানছে।
১৯৫৩ সালে মওদুদীর নেতৃত্বে লাহোরে আহমেদিয়া হত্যাকান্ড ঘটায় জামাত ও মুজাহিদরা ( আজকের তৌহিদী জনতা ); লাহোরে মার্শাল দেয়া হয়েছিলো; কমপক্ষে ১১০০ আহমেদিকে হত্যা করা হয়েছিলো; বিচারে মওদুদীর ফাঁসীর রায় হয়। মওদুদীর প্রাণ রক্ষা করে সৌদী বাদশাহ সউদ; সউদ পাকিস্তান সরকারকে ডলার ধরায়ে দেয়।
দেশে জামাতপন্হীদের একাংশ হচ্ছে তৌহিদী জনতা, বা "মব"; এরা জংগী। এরা রাজাকারদের ছোট ভাই ও হত্যাকারী।
ব্লগের লেখা ও কমেন্ট দেখে এই "তৌহিদী জনতার ব্লগারদের" চিহ্নিত করতে পারবেন?
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:১৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



