
শেখ হত্যার পর, আওয়ামী লীগ ৩ ভাগে বিভক্ত হয়েছিলো; শেখ হাসিনা উহাকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলো; পরে তিনি ইডিয়টগিরি করে দলটাকে লাঠিয়াল, চোর-ডাকাত-মাফিয়াদের আস্তানায় পরিণত করেন।
বৃটিশ চলে বাবার সময়, পুরো ভারতকে ১টি রিপাবলিক হিসেবে রেখে যাবার কথা বলেছিলো; কিন্তু মুলত: জিন্নাহের কারণে, সেখানে ২টি দেশ হয়। ২য় দেশ পাকিস্তান ও ইহার পত্তনের ভি্ত্তি তৈরি করেছিলো মুসলিম লীগ; মুসলিম লীগের পত্তন হয়েছিলো বাংগালীদের হাতে ঢাকায় ১৯০৬ সালে, নবাবদের বাড়ীতে। ১৯১৩ সালে জিন্নাহ মুসলিম লীগে যোগ দেয়, ১৯৩০ সালের দিকে সে দলটিকে নিজের কন্নট্রোলে নিয়ে যায় ও ক্রমেই ইহাতে উর্ষুভাষীদের প্রাধ্যান্য বাড়ে। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান হওয়ার পর, ইহাতে বাংগালীদের জন্য স্হান ছিলো না।
তখন বাংগালীদের জন্য ১টি নতুন দল গঠনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে মওলানা; ১৯৪৯ সালে মওলানা আওয়ামী লীগ গঠন করেন। ঠিক সেই সময়েই জিন্নাহ ও লিয়াকত আলী খান উর্দু ভাষা নিয়ে ইডিয়টগিরি শুরু করেছিলো; বাংগালীরা মুসলিম লীগের উপর বিরক্ত হয়ে উঠছিলো।
১৯৫৭ সালে সোহরাওয়ার্দী ও মানিক মিয়া মওলানাকে কৌশলে আওয়ামী লীগ থেকে বের করে দেয়; শেখ সোহরাওয়ার্দীর শিষ্য, তিনি মওলানাকে সাপোর্ট না করে, ক্রিমিনাল সোহরাওরাওয়ার্দীর সাথে চলে যান।
১৯৭৫ সালে পাকিস্তান ও আমেরিকা মিলে জিয়াকে ক্রয় করে ( কিংবা ভয় দেখিয়ে ) শেখ হত্যা করায় ও দেশকে পাকিস্তানী সংস্কৃতিতে নিয়ে যায়।
আওয়ামী লীগ ভেংগে ৩ টুকরা হয়: (১) মালেক উকিলের আওয়ামী লীগ (২) ড: কামাল ও তোফায়েল আহমদের আওয়ামী লীগ (৩) আবদুর রাজ্জাকের আওয়ামী লীগ। ১৯৮১ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে ড: কামালের আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ দেয়া হয় শেখ হাসিনাকে। শেখ হাসিনা ১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৮১ সাল অবধি ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয়ে ছিলো; ১৯৮১ সালের ১৭ই মে বাংলাদেশে আসে। সে আসার পরপরই আওয়ামী লীগে ঐক্য ফিরে আসে; আবদুর রাজ্জাকের গ্রুপ দলে ফিরতে অনেক সময় লেগেছিলো। ৩টি গ্রুপ এক হওয়া অবধি হাসিনার ভুমিকা সঠিক ছিলো।
২০১৪ সালের ভোটের আগের থেকেই শেখ হাসিনা দল থেকে ব্যুরোক্রেট, সরকারী কর্মচারী, পুলিশ ও মিলিটারীর উপর বেশী নির্ভরশীল হতে থাকেন। উনার ভুলের কারণে এই বিখ্যাত রাজনৈতিক দলে ক্রিমিনালরা স্হান করে নিতে থাকে। ২০১৮ সালের দিকে দলে রাজনীতি ছিলো না, দল লাঠিয়াল বাহিনীতে পরিণত হয়।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে নভেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:১১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



