বিশ্বজুড়ে অনুপ্রেরণীয় শীর্ষ ১০ বাংলাদেশির তালিকা প্রকাশ করেছে 'ব্রিটিশ বাংলাদেশি পাওয়ার অ্যান্ড ইন্সপিরেশন'। লন্ডন ভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠান ব্রিটিশ পার্লামেন্টের কমনওয়েলথ রুমে এই তালিকা প্রকাশ করে। সে তালিকায় স্থান পাওয়া বাংলাদেশিদের নাম বিশ্বজুড়েই সমাদৃত হয়েছে বিগত বছরগুলোতে। শিক্ষা, সমাজের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন থেকে শুরু করে মানবাধিকার নিশ্চিতকরণ ও ক্রীড়াসহ প্রায় সব ক্ষেত্রেই বাংলাদেশি তারকাদের ভূয়সী প্রশংসা করা হয়। সেই তালিকা ধরেই বিশ্বের সেরা ১০ অনুপ্রেরণীয় বাংলাদেশি নিয়ে আজকের এই পোস্ট.।.।।।
১ - ড. মুহাম্মদ ইউনূস
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশি নোবেল পুরস্কারজয়ী অর্থনীতিবিদ। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভেন্টারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি বিষয়ে পড়াশোনা করেন। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি বাংলাদেশের পক্ষে বিদেশে জনমত গড়ে তোলা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা প্রদানের জন্য সাংগঠনিক কাজে নিয়োজিত ছিলেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতির শিক্ষক থাকাকালে প্রফেসর ইউনূস ক্ষুদ্রঋণ ধারণার প্রবর্তন করেন। ইউনূস দরিদ্রতার বিরুদ্ধে তার সংগ্রাম শুরু করেন ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে সংঘটিত দুর্ভিক্ষের সময়। তিনি বুঝতে পারেন স্বল্প পরিমাণে ঋণ দরিদ্র মানুষের জীবনমান উন্নয়নে অত্যন্ত কার্যকরী হতে পারে। ১৯৭৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন দরিদ্র বাংলাদেশিদের মধ্যে ঋণ দেওয়ার জন্য। তখন থেকে গ্রামীণ ব্যাংক ৫.৩ মিলিয়ন ঋণগ্রহীতার মধ্যে ৫.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ প্রদান করে। ঋণের টাকা ফেরত নিশ্চিত করার জন্য গ্রামীণ ব্যাংক সংহতি দল পদ্ধতি ব্যবহার করে। একটি অনানুষ্ঠানিক ছোট দল একত্রে ঋণের জন্য আবেদন করে এবং এর সদস্যরা একে অন্যের জামিনদার হিসেবে থাকে এবং একে অন্যের উন্নয়নে সাহায্য করে। ব্যাংকের পরিধি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দরিদ্রকে রক্ষা করার জন্য ব্যাংক অন্যান্য পদ্ধতিও প্রয়োগ করে। ক্ষুদ্রঋণের সঙ্গে যোগ হয় গৃহঋণ, মৎস্য খামার এবং সেচ ঋণপ্রকল্পসহ অন্যান্য ব্যাংকিং ব্যবস্থা। অর্থনৈতিক উন্নয়নে গ্রামীণ ব্যাংকের সাফল্য উন্নত বিশ্ব এমনকি যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য শিল্পোন্নত দেশগুলো গ্রামীণের এই মডেল ব্যবহার করতে উদ্বুদ্ধ হয়।
২ - জাভেদ করিম
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত জাভেদ করিম ১৯৭৯ সালে জার্মানিতে জন্মগ্রহণ করেন। ২০০৫ সালে সাদ হারলি ও স্টিভ চেনের সঙ্গে মিলে জাভেদ করিম জনপ্রিয় ভিডিও বিনিময় ওয়েবসাইট ইউটিউব তৈরি করেন। তিনি ২০০৭ সালের ১৩ মে ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি বক্তৃতা দেন। সেই বক্তৃতায় বলেন, অনেকে হয়তো জেনে খুশিই হবে যে, ইউটিউব তোমাদের থেকে আমার বেশি সময় নষ্ট করেছে! যে কারও থেকে বেশি সময় ভিডিও দেখার জন্য বেশি সময় নষ্ট হয়েছে।
অনেকে খেয়াল করেছ, বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ডিগ্রি প্রদান অনুষ্ঠানে যেসব বক্তা আসেন তাদের মধ্যে আমি সর্বকনিষ্ঠ। এর ভালো-মন্দ দুটো দিকই আছে। খারাপ দিক হলো, বয়সের কারণে আমি তোমাদের জীবন সম্পর্কে গভীর কোনো দর্শনের ধারণা দিতে পারব না। না পারার কারণ হিসেবে বলা যায় আমি নিজেই সেই ধারণা খুঁজে বেড়াচ্ছি। ভালো দিক হলো, তোমরা এবং আমি বয়সে একই প্রজন্মের। তার মানে দাঁড়ায়, আমি যে সুযোগ পেয়েছি, যা শিখতে পেরেছি, তা এখনো প্রয়োগ করার সুযোগ আছে। তিন বছর আগে আমি যে সুযোগ পেয়েছি, যেসব ধারণা প্রয়োগ করেছি তা তোমরা এখনো একইভাবে প্রয়োগ করার সুযোগ ও সময় পাবে। মিনেসোটার হাইস্কুলে পড়ার সময় আমি পৃথিবীর প্রথম জনপ্রিয় ইন্টারনেট ওয়েব ব্রাউজার মোজাইকের কথা শুনি এবং ব্যবহারের সুযোগ পাই।
৩ - স্যার ফজলে হাসান আবেদ
স্যার ফজলে হাসান আবেদ কেসিএমজি একজন বাংলাদেশি সমাজকর্মী এবং বিশ্বের বৃহত্তম বেসরকারি সংগঠন ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান। সামাজিক উন্নয়নে তার অসামান্য ভূমিকার জন্য তিনি র্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কার, জাতিসংঘ উন্নয়ন সংস্থার মাহবুবুল হক পুরস্কার এবং গেটস ফাউন্ডেশনের বিশ্বস্বাস্থ্য পুরস্কার লাভ করেছেন। দারিদ্র্য বিমোচন এবং দরিদ্রের ক্ষমতায়নে বিশেষ ভূমিকার স্বীকৃতিস্বরূপ ব্রিটিশ সরকার তাকে নাইটহুড ভূষিত করে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিষয়ে ও পরে ব্রিটেনের গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। পরে তিনি শেল অয়েল কোম্পানিতে অর্থনৈতিক কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন। ১৯৭০ সালে ফজলে হাসান আবেদ বাংলাদেশের ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে আক্রান্ত দুস্থ মানুষের সাহায্যে ত্রাণ কর্মকাণ্ডে জড়িত হন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালের ১৭ জানুয়ারি তিনি দেশে ফিরে আসেন। এভাবেই স্বাধীন বাংলাদেশের দরিদ্র, অসহায়, সব হারানো মানুষের ত্রাণ ও পুনর্বাসনকল্পে তিনি বিশেষ অবদান রাখেন। উগান্ডা, তানজানিয়া, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, পাকিস্তানসহ ব্র্যাক বর্তমানে ১১টি দেশে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বাংলাদেশে জনস্বাস্থ্য, প্রাথমিক শিক্ষা, উচ্চশিক্ষা বিস্তারে ব্র্যাক বিশেষ অবদান রেখেছে।
৪ - সালমান খান
সালমান খান একজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন প্রকৌশলী এবং 'খান একাডেমি'র প্রতিষ্ঠাতা। খান একাডেমি একটি উন্মুক্ত অনলাইনভিত্তিক ও অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। তার স্বপ্নের যাত্রা শুরু হয় নিজ বাসার ছোট অফিস থেকে। এই শিক্ষাবিদ প্রাতিষ্ঠানিক বিষয়, বিশেষত গণিত ও বিজ্ঞানের ওপর ৩ হাজারের অধিক ভিডিও তৈরি করেছেন। ২০১২ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত ইউটিউবে খান একাডেমির চ্যানেলটি ৩৫৫০০০ এর অধিক গ্রাহককে আকৃষ্ট করেছে। ২০১২ সালে মার্কিন পত্রিকা টাইম-এর জরিপে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির বার্ষিক তালিকার একটি উল্লেখযোগ্য নাম, খান একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সালমান আমিন খান। সালমান ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি) থেকে গণিত এবং তড়িৎ প্রকৌশল ও কম্পিউটার বিজ্ঞান এ দুই বিষয়ের ওপর স্নাতক করেন। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তড়িৎ প্রকৌশল ও কম্পিউটার বিজ্ঞানের ওপর স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন সালমান। অসাধারণ সব পরিকল্পনা জনসম্মুখে আনার জন্য গুগল ঘোষণা করে 'প্রজেক্ট টেন টু দ্য হানড্রেড' নামে ১০ মিলিয়ন ডলারের পুরস্কার দেয়। ২০১০ সালে সালমান মাইক্রোসফট টেক অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন।
৫ - করভি রাখশান্দ
জাগো ফাউন্ডেশন আর করভি রাখশান্দ- দুটি যেন একে অন্যের পরিপূরক। স্বপ্নবাজ তারুণ্যের চোখে দেখা সময়কে বদলে দেওয়ার অদম্য স্বপ্নের মেশানো যে জাগো ফাউন্ডেশনের যাত্রা শুরু হয়েছিল তাতেই বিস্ময়ে বিমূঢ় হতে হয়েছে সবাইকে। এ তরুণের গল্প আর দশজন সাধারণ বাঙালির মতো হলেও কঠোর শ্রম আর স্বপ্নকে বাস্তবে নামিয়ে আনার যে প্রেরণা তার ভেতরে রয়েছে তাতেই বিশ্বের দরবারে নতুন করে উপস্থাপন হয়েছে তাকে। করভি রাখশান্দের হাত ধরেই জাগোর পথচলা শুরু। করভি রাখশান্দ এবং তার কিছু বন্ধু বন্যাকবলিত মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়ান এবং বাড়িয়ে দেন সাহায্যের হাত। তাদের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের দারিদ্র্যকে একটি নতুন নাম দেওয়া এবং তার জন্য এই প্রতিষ্ঠান নিঃস্বার্থে কাজ করে গেয়েছে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল অক্ষরজ্ঞানহীন শিশুদের সুশিক্ষার ব্যবস্থা ও অপুষ্ট শিশুদের পুনর্বাসন নিশ্চিত করা। এখন এটি বাংলাদশের একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান যেখানে অত্যাধুনিক মানসম্মত শিক্ষা দেওয়া হয়। ১৭ জন ছাত্রছাত্রী নিয়ে শুরু হয় এই 'জাগো ফাউন্ডেশন স্কুল'। যারা বঞ্চিত তাদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করাই জাগোর মূল উদ্দেশ্য। এই তরুণের সাফল্যের পথচলাকে বিশ্বের তরুণদের কাছে রোল মডেল হিসেবেই দেখা হয়।
৬ - সারা হোসেন
ব্যারিস্টার সারা হোসেন একজন মানবাধিকার কর্মী হিসেবে বিশ্বজুড়ে সুপরিচিত। বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের অনারারি পরিচালক তিনি। তার বর্ণাঢ্য শিক্ষাজীবন রয়েছে। মিডল টেম্পল, লন্ডন স্কুল অব ওরিয়েন্টার অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজ এবং ইউনিভার্সিটি অব অঙ্ফোর্ড থেকেও তিনি ডিগ্রি অর্জন করেন। একজন মানবাধিকার কর্মী হিসেবে তিনি দেশ ও দেশের বাইরে সুপরিচিতি লাভ করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে মৌলবাদের বিপক্ষে তিনি সোচ্চার। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে তার সুস্পষ্ট অবস্থান বিশেষভাবে আলোচিত দেশের প্রায় প্রতিটি মিডিয়ায়। দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন, দুর্নীতি বন্ধসহ সব শ্রেণীর মানুষের কাছে মানবাধিকার পেঁৗছে দিতে তিনি সরব থেকেছেন। একজন আইনজীবী হিসেবেও তিনি সুখ্যাত। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল-এর সাবেক কর্মকর্তা গীতা সেহগেলের নতুন ইনস্টিটিউট সেন্টার ফর সেক্যুলার স্পেসেও সম্প্রতি তিনি নাম লিখিয়েছেন। মৌলবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর প্রত্যয়ে এই আইনজীবী লড়াই করে যাচ্ছেন।
৭ - সাকিব আল হাসান
সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের সম্মান ও গৌরবের অন্যতম উজ্জ্বল নক্ষত্র। বাংলাদেশের পতাকাকে বিশ্বদরবারে তুলে ধরতে তার খেলার নৈপুণ্য তুলে ধরেছেন। বাংলাদেশের ক্রিকেটকে তিনি নতুনভাবে উপস্থাপন করেছেন বিশ্ববাসীর সামনে। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের খেতাব অর্জন করার গৌরব তাকে খ্যাতির শীর্ষে পেঁৗছে দিয়েছে।
তার জন্ম ১৯৮৭ সালের ২৪ মার্চ, মাগুরায়। ২০০৬ সালের আগস্ট মাসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে অভিষেক তার। তিনি বাঁ হাতি মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান এবং বাঁহাতি অর্থোডঙ্ স্পিনার। বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি)-এর সাবেক শিক্ষার্থী হিসেবে সাকিব অলরাউন্ড নৈপুণ্যে দর্শকদের চোখ ধাঁধিয়ে দিচ্ছেন বেশ কয়েকবছর ধরেই। তার খেলার মান আর ধারাবাহিকতা তাকে নিয়ে গেছে এক নতুন উচ্চতায়। এ কারণেই সমালোচকরাও একবাক্যে স্বীকার করে নিয়েছেন, তিনিই দলের অন্যতম নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড়। তাকে প্রায়ই দর্শকরা 'দ্য ওয়ান ম্যান আর্মি' বলে মেনে থাকেন খেলার মাঠে। তরুণ বয়সেই খেলায় নাম লেখান তিনি। জাতীয় দলে নাম লেখানোর পর তার পারফরম্যান্স নিয়ে কখানো প্রশ্ন উঠেনি। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার হয়ে তিনি যোগ্যতার পরিচয় রেখে চলেছেন।
টেস্ট ও ওয়ান্ডে ছাড়াও টি-২০ সব ধরনের ক্রিকেটে তার পারফরম্যান্স ক্রীড়া সমালোচক থেকে শুরু করে সাধারণ ক্রিকেটপ্রেমী দর্শকদের কাছেও সমাদৃত। গত কয়েক বছরে তার ধারাবাহিক ক্রীড়া নৈপুণ্যের কারণে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের জায়গাটি বেশ শক্তভাবেই দখল করে আছেন তিনি।
৮ - ওমর ইশরাক
মেডট্রোনিক করপোরেশনের চেয়ারম্যান ও এঙ্িিকউটিভ অফিসার ওমর ইশরাকের খ্যাতি ছড়িয়ে আছে সারা বিশ্বে। বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বের দরবারে তিনি ভূয়সী প্রশংসিত। তিনি মেডট্রোনিকের চেয়ারম্যান হিসেবে যাত্রা শুরু করেন ২০১১ সালের ১৩ জুনে। এরপর থেকেই তাকে আলাদা করে দেখতে শুরু করে বিশ্ববাসী। এ ছাড়া তিনি জেনারেল ইলেকট্রিক কোম্পানির ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবেও কাজ করেছেন। জিই হেলথকেয়ার লিমিটেডের ক্লিনিক্যাল সিস্টেমের প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখেন। ২০০৯ সালে জানুয়ারি অবধি হেলথকেয়ার সিস্টেমের প্রধান হিসেবে তার কর্মময় জীবন একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। তার হাত ধরেই দুনিয়া দেখে জিই আল্ট্রা সাউন্ড, মনিটরিং সলিউশন, কার্ডিওলজি, বোন ডেনসিটোমেট্রি, ম্যাটারনাল ইনফ্যান্টসহ বহু আধুনিক চিকিৎসার উন্নয়ন। আল্ট্রা সাউন্ড টেকনোলজিকে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে দিতে তার দক্ষতা ও দূরদর্শী ব্যবসায়িক জ্ঞানের সমাদর করেছে বিশ্ববাসী।
৯ - সুমাইয়া কাজী
সুমাইয়া কাজী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশি মার্কিন নাগরিক। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এবং ক্লাউট প্রকাশ করা বিশ্বের সেরা প্রভাবশালী ৫০ উদ্যোক্তার তালিকায়ও তার জায়গা হয়। তার পৈতৃক বাড়ি বাংলাদেশের ফেনীর জেলা শহরে। জন্ম, বেড়ে ওঠা যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে। ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার বার্কলে থেকে মার্কেটিং এবং স্ট্যাটেজিক প্লানিংয়ে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। ২০০৫ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন 'কালচারাল কানেক্ট ডটকম' (টিসিসিসি) নামের প্রতিষ্ঠান। টিসিসিসি থেকে প্রকাশিত হচ্ছে পাঁচটি সাপ্তাহিক ই-ম্যাগাজিন। ম্যাগাজিনগুলো হচ্ছে দ্য দেশি কানেক্ট, দ্য মিডলইস্ট কানেক্ট, দ্য এশিয়া কানেক্ট, দ্য ল্যাটিন কানেক্ট, দা আফ্রিকান কানেক্ট। ২০০৬ সালেও বিজনেস উইক ম্যাগাজিন কর্তৃক আমেরিকায় অনূধর্্ব ২৫ বছর বয়সী সেরা উদ্যোক্তার তালিকায় স্থান পান সুমাইয়া কাজী। ওই বছর সেই ম্যাগাজিনে প্রকাশিত বিশ্বের সেরা ৭৫ জন মহিলা উদ্যোক্তার একজন নির্বাচিত হন তিনি।