সামারেই তার সাথে অনেক আলোচনা হয়েছে ইরান ও বিশ্ব রাজনীতি সম্পর্কে। রাজনৈতিক সচেতন এবং বন্ধুবৎসল মেয়েটি তার বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট ছিল। তার বক্তব্যে'র কিছু ভিডিও দেখিয়েছিল গত নির্বাচনের আগে।দেখলাম তার বক্তব্য বিরোধী দলীয় নেতার দৃষ্টি পর্যন্ত আকর্ষন করেছিল ।
কিন্তু বেচারী আজ ভয়াবহ বিপদে!
স্নাতক শেষ হওয়ায় এবছরই তার কথা ছিল জার্মানিতে মাস্টার্স করতে যাওয়ার। কিন্তু ওর সার্টিফিকেট আটকে দেয়া হয়েছে! সরকারী প্রতিটা অফিসে ঘুরেও সে জানতে পারছে না কি কারনে তার সার্টিফিকেট পাচ্ছে না সে। তাকে বলা হচ্ছে যে সে পাশ করেছে কিন্তু কাগজ পত্রের কি সমস্যা? বা কেনই সে হাতে পাচ্ছে না, এ বিষয়ে কোন জবাব পাচ্ছে বেচারী!
সে আগে ব্লগেও লেখতো, এবং অনেক বেশী এ্যাক্টিভ ছিল।কিছুদিন আগে যখন ইরানে বিরোধীদল রাস্তায় নামে তখন আমি তাকে সাবধান করি যে এই সময়ে কিছু না করতে এবং ব্লগিং সহ অন্যান্য প্রতিবাদ থেকে দুরে থাকতে কারন ইরানের ভেতর বসবাস করে এসব করা ঝুকিপূর্ণ তাছাড়া সে দেশের বাইরে চলেই যাচ্ছে সুতরাং বাইরে থেকে কাজ করতে পারবে।
কেন যেন বেচারী আমার কথা শুনেছিল। সে অপেক্ষায় ছিল ইরান থেকে বের হবার জন্য, কিন্তু চুড়ান্ত বিপদটা কাটলো না! তাই আমার মনটাও অনেক খারাপ।
ইরানকে আমি সমর্থন করি আদর্শগত এবং আহমেদানিজাদ এর ব্যাক্তিত্বের কারনে কিন্তু এভাবে দমন নীতি গ্রহন করে কোথাও কোন সরকার টিকতে পারে নাই। এ বিষয়টি না বুঝলে তো হবে না।
তেহরানে অবস্থিত জার্মান এ্যাম্বেসীতে এপয়েন্টমেন্ট নিয়ে বসে আছে ৪৪ হাজার ইরানী!!!
বাংলাদেশী আমিও বুঝি যে এটা স্বাভাবিক পরিস্থিতি না, আশা করি প্রেসিডেন্ট আহমেদিনিজাদ সঠিক নেতৃত্ব দিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে তুলবে!!!
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জুন, ২০১১ দুপুর ২:১১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




