মানুষের একটা সহজাত প্রবৃত্তি হলো, প্রতিপক্ষকে ঘৃণা করা।
কিন্তু ঘৃণা মহামারি ও সংক্রমক, তাই ঘৃণাটা শুধু প্রতিপক্ষের প্রতিই ফিক্সড থাকে না, প্রতিপক্ষের পছন্দগুলোকে অপছন্দ ও অপছন্দগুলোকে পছন্দ করতে শুরু করে। এজন্যই প্রবাদ আছে, শত্রুর শত্রু আমার বন্ধু!
বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিরোধীতায় ঘৃণা ঢুকে যাওয়ায় একটা বিরাট সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।
কিছু ইতরসম বুদ্ধিজীবিদের সহায়তায় আওয়ামী লীগ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মুক্তিযুদ্ধের উপর দৃষ্টিকটু দখলদারি স্থাপন করায়, লীগের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষগুলো মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কিছুটা বিব্রত অনুভব করে। যেমন, ইসলাম ধর্মের প্রতি বিএনপি'র পরিষ্কার ভালবাসা থাকায় লীগ ইসলাম ধর্ম নিয়ে বিব্রতবোধ করে। যদিও বিএনপিই প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের দল এবং মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনার বাস্তবায়নকারী তবুও দেখা যায় বিএনপি'র সমর্থকেরা সার্বিকভাবে মুক্তিযুদ্ধের বিষয়ে প্রকাশ্য স্বতস্ফুর্তা কিছুটা কম দেখায়। ঠিক যে কারনে লীগের অনেকেই ব্যাক্তিজীবনে ধার্মিক হলেও প্রকাশ্যে ইসলাম বিরোধী আচরন করে।
এটা হচ্ছে মূলত ঘৃণা চর্চার কারনে। আমাদের মাঝে যদি ঘৃণার বদলে প্রতিযোগীসুলভ মনোভাব থাকতো তাহলে কিন্তু ধর্ম ও মুক্তিযুদ্ধের মত সার্বজনীন বিষয়গুলো সর্বজন শ্রদ্ধেয় হয়ে থাকতো।
আল্লাহ'র রহমতে আমি ঘৃণামুক্ত থাকতে অনেক চেষ্টা করি। তার ফলও কিছুটা পেয়েছি মনে হয়, আমি বিএনপি'র রাজনীতিকে সমর্থন করি, চেতনায় ইসলামকে ধারনের চেষ্টা করি এবং মুক্তিযুদ্ধ আমার সর্বোচ্চ গর্ব বলে জানি, রাজাকারদের বিচার চাই কিন্তু বিচারের নামে প্রহসনের বিরোধীতাও করি।
ঘৃণা খুব খারাপ জিনিস। এটা সরাসরি শয়তানের ইন্ধন। এই ঘৃণা আমাদের কাউকে জয়ী করে না, আমাদের বিচার-বুদ্ধি সব লোপ করে দেয়। এর চর্চায় জয় হয় শয়তানের আর পরাজয় হয় আমাদের বাংলাদেশের।
আসেন ভাই, দলমত নির্বিশেষে প্রতিপক্ষকে যুক্তি ও ন্যায়ের পথে মোকাবেলা করি, ঘৃণা পরিহার করি। বাংলাদেশকে জিতাই।