১.
"স্মৃতি কথন"
ধূলি ধুসর স্মৃতির আড়ালে
কোন একদিন হয়তো
বাদল দিনের সুর্যের মত
তোমার মনের আকাশে
উকি মেরে, মুচকি হেসে বলবো..
মনে কি পড়ে আমায়?
তুমি হয়তো আপ্লুত হবে
হারিয়ে যাওয়া দিনের কথা ভেবে
সুখ স্মৃতিতে মগ্ন হবে..
আমাদেরও এক সময় বসন্ত ছিলো
বৃষ্টি ভেজা শেষ বিকেলে রঙধনু ছিলো
ঠান্ডা শীতের রাতে, স্পর্শের উষ্ণতা ছিলো
জোছনার বন্যায় ভেসে যাওয়া চাঁদ ছিলো
রুপালী স্নানের শেষে ঘরে ফেরা রাত ছিলো
কৃষ্ণচুড়ার বুক জুড়ে আগুন ছিলো
উড়ে যাওয়া বকের ফেলে যাওয়া
সাদা পালকে পরতে পরতে মায়া ছিলো
ছিলো ফুলে ফুলে রঙীন প্রজাপতির ডানায়
কোকিলের কুহ কুহ ডাকে
তোমার আমার আদর মাখা পরম মমতায়
এক টুকরো নিখাদ ভালবাসা।
অথবা...
অপসৃয়মান সন্ধার বিষন্নতা
ভীর করবে তোমার মনে
আর অবেলায় জেগে উঠা স্মৃতিগুলো কে
বিতৃষ্ণায় পাশ কাটিয়ে যাবে ভ্রু কুচকে
বদ্ব করবে মন বাড়ীর সব কটা জানালা সপাটে
নিঃসীম আকুতি সব অগ্রাহ্য হবে
যা কিছু অতীত সবই হবে তুচ্ছ
যা কিছু বর্তমান তা নিয়েই
শুধু তোমার বেঁচে থাকা..।
২.
"ক্ষমা"
অদ্ভুত! এক আধারে ডুবে আছে মন
বিপন্ন, বিষন্ন, বিভিষীকায় বিভ্রান্ত
চেতনা আজ রবে পালিয়ে, করেছে পণ
এ মনে আজ পাপ আছে
তাপ আছে, আছে ক্লেদ গ্লানি
প্রায়শ্চিত্ত আজ অস্পৃশ্য
শাস্তিটাই সঙ্গী আছে জানি..
আত্ম দহনের আশ্লেষে
গলায় ঢেলেছি গরল
সতৃষ্ণ কন্ঠনালী পুড়ছে
ক্ষমা প্রার্থনার কোরাসে
রক্তে বেজে উঠেছে দামামা
কাঁপছে শরীর থরথরে
আত্মটা যাবে উড়ে
দেহটাই রবে শুধু পড়ে।
ক্ষমা কি পাবো?
না কি নই আমি ক্ষম?
ক্ষীণালোক, ক্ষীণশ্বাসে, ক্ষীণ আশা
সবকিছুরও পর বেঁচে রবে
তোমার আমার ভালবাসা..।