যাযাবর,
কত বছর ধরে লিখে যাচ্ছি দিন রাত অথচ জানিনা কোন ঠিকানা তোমার। কখনও জানেতেও পারবো না নি:শ্চিত জেন ও লিখি।ব্যস্তময় দিন কেটে যায় ব্যস্ত থাকার ছলনায় ।রাত যে কাটে না বিশাল বড় দিগন্ত জোড়া আকাশের মত মনে হয়।তোমার শরীর আমার কমল বুকের পরে প্রেমিক শিশুর জেগে থেকে ঘ্যান ঘ্যানায়।প্রবীন পাহাড়ের মত ভারি সময়ের বোঝা। এত হতাশার প্রদ্বীব জেলে ও তোমাকে জানায মংগল দ্বীপের নিশুতি রাতের সব টুকু শুভেচছা..!!
।আর কি পাব না নম্র রোদের বিকালে প্রসাধ নেওয়া হতের প্রেমিক পরষ।কি করব মন য়ে মানে না।বেহায়া কথা শোনে না।পথে পথে খুঁজি তোমার স্মৃতি বিজড়ীত নগ্ন পায়ের ছাপ। য়ৌবনের প্রথম বসেন্তে মুকিলিত ফুল তুমি ফুটতে দিলে না ছড়াতে পারেনী আবিরীত সৌরভ।কোন অভিয়োগ নেই আছে অভিমান ব্যথা ভরা বৃষ্টি ভেজা চোখ।রয়ে গেছে একার সাথে একার যুদ্ধ নিজের বোঝা পড়া।আত্নঅভিমান।
তোমরা তো খারাপ থাকনা তাই জানতে চাইলাম না কেমন আছ? আমার টবে ফোটা দূরলব বুনো ফুল। এখন তুমি কোথায় আছ কি করছো তা কোন দিন চিন্তা ও করতে পারবো না আমার এমনই সীমাবব্দতা।যে খানেই থাক যেভাবেই থাক শুধু ভাল থেক সুখে থেক সুনদর থেক মহামায়ার কাছে গভীর রাতে এই প্রর্থনা মোর ।
এখন রাত কটা বাঁজে তোমার দিব্য চক্ষু কি অনুমান করতে পারে।আচছা এই গভীর রাতে তুমি কি ক্রান্তি বিহীন পায়ে হাটছো মাঠ কে মাঠ না কি স্বপ্নাতুর ঘুমে বিভোর কোন গাছের নিচে। আশ্রয নিয়েছো কি কোন বাড়ীতে আজ।আমাদের বাড়ীর মত।সে খানে কি আমার মত কোন যুবতির নিদ্রাবিহীন রাত কাটছে খোলা বাতায়নে প্রতিক্ষার প্রহর গুনে গুনে।কত শত প্প্রশ্ন উত্তর ছাড়া কৌতুহল খেলা করে রোজ রাতে।মাথা মস্তক ভর্তি উল্টা পাল্টা কল্পনায় গড়ে উঠে ভবঘুরের ঘর বসতী।আমি ঘুমেতে পারি না কিয়ে অব্রক্ত য়ন্ত্র না।হে ভগবান- আমি কাউকে বলে বুঝাতে পারবোনা কিয়ে বেদনা। অন্তর জামি তুমিত অন্তত জান।কত নিঘুম রাত ভিঁজে গেছে বিরহীর চোখের জলে ।চিঠির শদ্বের টিলা দিন দিন পাহাড়ে পরিনত হচেছ।স্মৃতির শাখা প্রশাখায় ডাল পালা গজিয়ে আস্ত একটা বট গাছের শিকড় বাকড় এখন আমার হ্রদয়ে।
তোমার কি মনে পড়েনা পথের মাঝে কুড়িয়ে পাওয়া সামান্য এই খনিক ভালোবাসার কথা।আমি বুঝি মনকে বুঝাতে পারিনা।তোমার জন্ম মায়াকে উপেক্ষ করে মহামায়ার পথে ছোটা আমাকে বলেছিলে সেদিন সূষ্য হেলে পড়া বিকালে। কেউ কি কখনও পেয়েছে সেই আদ্ব শক্তি মহামায়ার দেখা। তুমি মানুষ যাযাবর। তোমার ও আছে কাম, প্রেম, মহ,সুখ,দুঃখ বিয়োগ ব্যথা। নিজের মধ্যে ভান ধরে বসে আছো জলের গ্লাস থেকে জল নেওয়ার সময় তোমার মোন কি চাইনি আমার মেহেদি রাংগা হাতের পরষ পেতে। আমিতো পড়তে পেরেছিলাম ভালবাসা বন্চিত সাধকের চোখের ভাষা। ব্যকুল হ্রদয়ের মরুভূমিতে জেগে উঠা অনাদি কালের পিপাসা। তোমার চোরা বুকে বাজেনি কি সানায়ের মধুময় সুর আদি রসের বিহবল রাগ। আদর, সোহাগ বন্চীত স্বজন ছাড়া মুখের মলিন মায়ায় আঁকা ছবি খানি বড় জীবন্ত হয়ে কথা বলে প্রতি রাতে আমাকে টেনে নেয় লোমস বুকের খাটে। থর থর করে কেপে উঠে আমার কুমারীত্ব লালিত পাতলা ঠোট,অভূত পূর্ব এক অনুরণের শিহরণ জাগে মাতাল চোখে কামনার জল জলে কাজল। অন্য রকম এক অসাড়তার আলোড়ন বযে চলে শরীরের । মাদকীয় জোছনা নারা সব নেমে আসে প্রেমিক পুরুষের অবাধ্য হাতের দুষ্ট আঙুল চিরুনী হয়ে বিলি কাটে অসংজত রাতের এলোমেল চুলে।আমি হারিয়ে ফেলি আমাকে।
ভোরের ডাইনি শকুন র্সূষ্য আসছে আমার স্বতীন এর মত তেড়ে।ঘুমন্ত চোখেরা আর একটু পরে ইটবে জেগে ।পৃথিবীর চোখে ফুটবে আলোর সকাল।কর্ম ব্যস্ত মানুষ নেমে পড়বে জীবন সংসারের মিছিলে।বলো যায়াবর আমার দিন কাটবে কি করে ।ভালো থেক সুখে থেক জীবনের পথে পথে। সকাল দুপুর কিংবা রাতে।সকল মানুষের সাথে।অশেষ রেখে শেষ করলাম।
ইতি,
তোমার ক্ষনিক ভালোবাসার.-
তীর্থ পথ............
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১:২৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




