somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কাল সাপ

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ ভোর ৪:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বন্ধুরা,
মাঝ রাতে লেখার শুরুতে তোমাদের দিলাম আমার কলঙ্কীত ভালবাসার বিষাক্ত পিয়ালা নিংড়ানো বিশুদ্ধ সব টুকু ভালবাসা।আমার লেখায় অনেক ভুল,উল্টা-পাল্টা হতে পারে কারন আমি অনেক বছর পৃথিবীর মধ্যে থেকেও অন্য কোন গ্রহে ছিলাম।এখনও ঘোর কাটে নি ।মানষিক ভাবে ভিষন অসুস্হ আমি।আমার এই লেখাকে কোন সাহিত্য মনে করবেন না।এটা এক মৃত কবির বেদনা গাথা বাস্তব ছফর নামা।
যতন করে রতন ভেবে বুকের মাঝে একটা কাল সাপ পুষেছিলাম ভালবাসার দুধ কলা দিয়ে।বছর বার আগের কথা। তখন আমি কলেজে সবে মাত্র প্রখম বর্ষের ছাত্র।অনেক প্রেমিক পূঁজারী আমার । আবাল্য কাল থেকে শুনে আসছি শরীর রুপের বন্দনা গীত।কত চোখের শিৎকার হাতের বদ ইশারা। কোন দিন ধরা দিইনি কারো মুঠো হাতের বন্ধী প্রজাপতি হয়ে।অস্হনিও মনে হয়নি বাড়ন্ত বসন্ত। শরীর থেকে মনের দাবি অনেক বেশি । ভালোবাসতাম সবুজ ঘাস,পাট কাঠীর পরে বসা ফড়ীং।আদুরে আকাশ ।বৃষ্টি শেষের রংধনু ।কবিতার মায়া মুগ্ধকর জোছনা সুরভীত রাত।আমি সুন্দর্য় পিয়াসী রাক্ষস কামড়িয়ে কামড়িয়ে খায় আমার ছোট পৃথিবীর বুপ রস ,শদ্ব,গন্ধ।

হঠাৎ সব আমার একটা কালসাপের হ্রদয়রক্ত চোষা কামড়ে কামড়ে রক্তাক্ত হয়ে গেল সবুজের বাহরি মাঠ।হারিয়ে ফেললাম আমাকে নীল বিষের পিয়ালায়।কখন যেন কেটে গেছে আমার রংগীন ঘুড়ীর সুতা।সব কিছু উড়ে গেছে ঘূর্ণি বাকের শুক্ন পাতার মত।সাদা আকাশ অসম্ভব কালো মেঘে ডেকে গেছে। সৈকতে জলের তুফান।মরুভূমি আসার স্বপ্নময় সোনালী মাঠ।
আমি আজ কবিতা লিখতে পারিনা হারিয়ে গেছে উপমা, ছন্দরে মাজা বাঁকা চলন।পড়তে পারি না ঘুরতে পারিনা । জীবনে সকল আদন্দের সুন্দর পথে কখন যে দুঃখের ধূলা এসে ঢেকে দিয়ে গেছে দিপ্ত পায়ের ছাপ চোখ ঝলমলে রোদ্দুর আমি বুঝতে পারিনী।বান্ধবীরা বলে পাগলী।ডাক্তার বলে মানষিক রুগি কেউ কেউ বলে জেনের আছর করেছে।আর কত ধারনা গবেষনা মতামত মাতা-মাতি কানা-কানি।ছ্যাক খেয়ে কলজে শুখিয়ে গেছে প্রায বলে মামাত ভাই আর ও অনেক বন্ধু।শুধু আমি জানি ,তোমরা জানলে আর জানে আমার প্রান প্রিয় ভগবান।কেন আমার এ অবস্হা।কাল চিন্তা ছাড়া কিছু করতে পারিনা।সমস্ত সময় কুত্তির চিন্তা চেতনা আমাকে আমার সব কিছুকে রাহুর মত গ্রাস করে রাখে।আমার দেহ মনে শক্তিহীন স্বপ্নরে বসবাস।বুকের ভিটার পরে শুধু কুকুর পায়ের বিষাক্ত কখার ছাপ।

সে আমাকে কখন কোন দিন ভুল করেও শান্তি দেয় নি।আমাকে মানুষ বলেই মনে করেনী।আঘাতের পর আঘাত করেছে র্র্নিবিচারে কষ্ট দিয়েছে। আশ্চর্শ রকম অহং কার তার যা আমার কল্পনা অতীত।আমার সর্ব সত্তা দিয়ে প্রামান করেছি আমি তাকে ভালোবাসি কিন্তু প্রতিবার ব্যর্থ হয়েছি।নিজেকে আমি নিজে ঘৃনা করি বুঝাতে পারিনা।আমার অসমাপ্ত পৃথিবীতে কোন সমস্যা নেই।আমি হাত বাড়ালেই পেতে পারি যে কোন র্দূলব হরিণ,মমতার প্রান্তর ।

অনেক বড় মহান কোন স্বপ্ন নিয়ে আমার বেড়ে উঠা।
আজ যখন মরিচিকার ঘুড়া ধূলা চোখের রেটিনা থেকে সরালাম তাকিয়ে দেখি আমার বসন্তরে বারটা চক-চকে বছর খেয়ে ফেলেছে চেটে চেটে।আমি তাকে ঘৃনা করি তার ছোবলের মূর্তিতে জুতা মারি। আমার মেধা-মনন চ্নিতা-চেতনা,চিবিয়ে চিবিয়ে খেয়েছে।আমি বাঁচতে চাই আমাকে তুমি বাচতে দাও হে করুনা ময় মায়াবি আলোর পৃথিবী।আমাকে সে জেনে শুনে প্রতি দিনে রাতে হ্রদয়ের বিছানায় ছেড়ে দিত যন্ত্রনা ছার পোকা সারা রাত দিন কুটি-কুটি করে কেটে খেয়েছে ভালবাসার গল্প দলিল পত্র।বিশ্বাস করেন কত টা বছর আমি ঘুমতে পারি না।কত কেঁদেছি তা আর লিখতে পারব না।ভিঁজে গেছে চুরা বিছানার কাথা বালিশ, লেপ-তোষক,মুখের মাঠ,চোখের পালকের সারি-সারি নিরব ঘাস।
আমার এক জীবনের চুড়ান্ত ভালোবাসা এখন খোবে পরিনত হয়েছে।স্রোল পয়জন দিয়ে দিয়ে আমাকে রিক্ত করে দিয়েছে।মৃত্যুর বিছানায় আমি গড়া-গড়ি করছি অবাক কান্ড সে আমাকে বাচাবে না ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় কবরের কুপে।এমন মানবতাহিন অমানবিক মানুষের জন্ম হতে পারে আমি ভাবতে পারি না।ভগবান তোমার অসীম করুনা বহু রুপ।তুমিতো জান আমার অবিশপ্ত জীবনের পান্ডলিপি কত কষ্টরে কালিতে লেখা।নাকি তুমিও পড়তে পারনা জন্ম অন্ধ অক্ষর চেননা।তোমাকে দাড়াতে হবে আমার আদালতের কাঠগড়ায় কিছু প্রশ্নের উত্তর তোমাকে দিতেই হবে যদি জীবন দশাতে সমাধান না হয়। অসমাপ্ত.....
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৪:৩৪
১০টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:২৫

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

বন্ডাই সৈকতের হামলাস্থল। ছবি: রয়টার্স

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই সৈকত এলাকায় ইহুদিদের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সমবেত মানুষের ওপর দুই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অতর্কিতে গুলি চালিয়েছে। এতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমাণ নন বলা কুফুরী

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৪



সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৫। আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই।তিনি চিরঞ্জীব চির বিদ্যমাণ।তাঁকে তন্দ্রা অথবা নিদ্রা স্পর্শ করে না।আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সমস্তই... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিজয়ের আগে রাজাকারের গুলিতে নিহত আফজাল

লিখেছেন প্রামানিক, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:১৩


ঘটনা স্থল গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি থানার উড়িয়া ইউনিয়নের গুণভরি ওয়াপদা বাঁধ।

১৯৭১সালের ১৬ই ডিসেম্বরের কয়েক দিন আগের ঘটনা। আফজাল নামের ভদ্রলোক এসেছিলেন শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে। আমাদের পাশের গ্রামেই তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫৫ বছর আগে কি ঘটেছে, উহা কি ইডিয়টদের মনে থাকে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৮




ব্লগের অনেক প্রশ্নফাঁস ( Gen-F ) ১ দিন আগে পড়া নিউটনের ২য় সুত্রের প্রমাণ মনে করতে পারে না বলেই ফাঁসকরা প্রশ্নপত্র কিনে, বইয়ের পাতা কেটে পরীক্ষার হলে নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯


দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×