বন্ধুরা,
মাঝ রাতে লেখার শুরুতে তোমাদের দিলাম আমার কলঙ্কীত ভালবাসার বিষাক্ত পিয়ালা নিংড়ানো বিশুদ্ধ সব টুকু ভালবাসা।আমার লেখায় অনেক ভুল,উল্টা-পাল্টা হতে পারে কারন আমি অনেক বছর পৃথিবীর মধ্যে থেকেও অন্য কোন গ্রহে ছিলাম।এখনও ঘোর কাটে নি ।মানষিক ভাবে ভিষন অসুস্হ আমি।আমার এই লেখাকে কোন সাহিত্য মনে করবেন না।এটা এক মৃত কবির বেদনা গাথা বাস্তব ছফর নামা।
যতন করে রতন ভেবে বুকের মাঝে একটা কাল সাপ পুষেছিলাম ভালবাসার দুধ কলা দিয়ে।বছর বার আগের কথা। তখন আমি কলেজে সবে মাত্র প্রখম বর্ষের ছাত্র।অনেক প্রেমিক পূঁজারী আমার । আবাল্য কাল থেকে শুনে আসছি শরীর রুপের বন্দনা গীত।কত চোখের শিৎকার হাতের বদ ইশারা। কোন দিন ধরা দিইনি কারো মুঠো হাতের বন্ধী প্রজাপতি হয়ে।অস্হনিও মনে হয়নি বাড়ন্ত বসন্ত। শরীর থেকে মনের দাবি অনেক বেশি । ভালোবাসতাম সবুজ ঘাস,পাট কাঠীর পরে বসা ফড়ীং।আদুরে আকাশ ।বৃষ্টি শেষের রংধনু ।কবিতার মায়া মুগ্ধকর জোছনা সুরভীত রাত।আমি সুন্দর্য় পিয়াসী রাক্ষস কামড়িয়ে কামড়িয়ে খায় আমার ছোট পৃথিবীর বুপ রস ,শদ্ব,গন্ধ।
হঠাৎ সব আমার একটা কালসাপের হ্রদয়রক্ত চোষা কামড়ে কামড়ে রক্তাক্ত হয়ে গেল সবুজের বাহরি মাঠ।হারিয়ে ফেললাম আমাকে নীল বিষের পিয়ালায়।কখন যেন কেটে গেছে আমার রংগীন ঘুড়ীর সুতা।সব কিছু উড়ে গেছে ঘূর্ণি বাকের শুক্ন পাতার মত।সাদা আকাশ অসম্ভব কালো মেঘে ডেকে গেছে। সৈকতে জলের তুফান।মরুভূমি আসার স্বপ্নময় সোনালী মাঠ।
আমি আজ কবিতা লিখতে পারিনা হারিয়ে গেছে উপমা, ছন্দরে মাজা বাঁকা চলন।পড়তে পারি না ঘুরতে পারিনা । জীবনে সকল আদন্দের সুন্দর পথে কখন যে দুঃখের ধূলা এসে ঢেকে দিয়ে গেছে দিপ্ত পায়ের ছাপ চোখ ঝলমলে রোদ্দুর আমি বুঝতে পারিনী।বান্ধবীরা বলে পাগলী।ডাক্তার বলে মানষিক রুগি কেউ কেউ বলে জেনের আছর করেছে।আর কত ধারনা গবেষনা মতামত মাতা-মাতি কানা-কানি।ছ্যাক খেয়ে কলজে শুখিয়ে গেছে প্রায বলে মামাত ভাই আর ও অনেক বন্ধু।শুধু আমি জানি ,তোমরা জানলে আর জানে আমার প্রান প্রিয় ভগবান।কেন আমার এ অবস্হা।কাল চিন্তা ছাড়া কিছু করতে পারিনা।সমস্ত সময় কুত্তির চিন্তা চেতনা আমাকে আমার সব কিছুকে রাহুর মত গ্রাস করে রাখে।আমার দেহ মনে শক্তিহীন স্বপ্নরে বসবাস।বুকের ভিটার পরে শুধু কুকুর পায়ের বিষাক্ত কখার ছাপ।
সে আমাকে কখন কোন দিন ভুল করেও শান্তি দেয় নি।আমাকে মানুষ বলেই মনে করেনী।আঘাতের পর আঘাত করেছে র্র্নিবিচারে কষ্ট দিয়েছে। আশ্চর্শ রকম অহং কার তার যা আমার কল্পনা অতীত।আমার সর্ব সত্তা দিয়ে প্রামান করেছি আমি তাকে ভালোবাসি কিন্তু প্রতিবার ব্যর্থ হয়েছি।নিজেকে আমি নিজে ঘৃনা করি বুঝাতে পারিনা।আমার অসমাপ্ত পৃথিবীতে কোন সমস্যা নেই।আমি হাত বাড়ালেই পেতে পারি যে কোন র্দূলব হরিণ,মমতার প্রান্তর ।
অনেক বড় মহান কোন স্বপ্ন নিয়ে আমার বেড়ে উঠা।
আজ যখন মরিচিকার ঘুড়া ধূলা চোখের রেটিনা থেকে সরালাম তাকিয়ে দেখি আমার বসন্তরে বারটা চক-চকে বছর খেয়ে ফেলেছে চেটে চেটে।আমি তাকে ঘৃনা করি তার ছোবলের মূর্তিতে জুতা মারি। আমার মেধা-মনন চ্নিতা-চেতনা,চিবিয়ে চিবিয়ে খেয়েছে।আমি বাঁচতে চাই আমাকে তুমি বাচতে দাও হে করুনা ময় মায়াবি আলোর পৃথিবী।আমাকে সে জেনে শুনে প্রতি দিনে রাতে হ্রদয়ের বিছানায় ছেড়ে দিত যন্ত্রনা ছার পোকা সারা রাত দিন কুটি-কুটি করে কেটে খেয়েছে ভালবাসার গল্প দলিল পত্র।বিশ্বাস করেন কত টা বছর আমি ঘুমতে পারি না।কত কেঁদেছি তা আর লিখতে পারব না।ভিঁজে গেছে চুরা বিছানার কাথা বালিশ, লেপ-তোষক,মুখের মাঠ,চোখের পালকের সারি-সারি নিরব ঘাস।
আমার এক জীবনের চুড়ান্ত ভালোবাসা এখন খোবে পরিনত হয়েছে।স্রোল পয়জন দিয়ে দিয়ে আমাকে রিক্ত করে দিয়েছে।মৃত্যুর বিছানায় আমি গড়া-গড়ি করছি অবাক কান্ড সে আমাকে বাচাবে না ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় কবরের কুপে।এমন মানবতাহিন অমানবিক মানুষের জন্ম হতে পারে আমি ভাবতে পারি না।ভগবান তোমার অসীম করুনা বহু রুপ।তুমিতো জান আমার অবিশপ্ত জীবনের পান্ডলিপি কত কষ্টরে কালিতে লেখা।নাকি তুমিও পড়তে পারনা জন্ম অন্ধ অক্ষর চেননা।তোমাকে দাড়াতে হবে আমার আদালতের কাঠগড়ায় কিছু প্রশ্নের উত্তর তোমাকে দিতেই হবে যদি জীবন দশাতে সমাধান না হয়। অসমাপ্ত.....
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৪:৩৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




