সুন্দরবন থেকে শুরু করে পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলা, বরিশাল, নোয়াখালি, চট্টগ্রাম হয়ে সৈকত শহর কক্সবাজার এবং উপকূলের অদূরবর্তী দ্বীপগুলো এই ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবের শিকার। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের মধ্যে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ১৮০ কিলোমিটার।
‘সিডর’ আঘাত করার সঙ্গে সঙ্গেই সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরিশালসহ উপকূলীয় জেলাগুলোতে জাতীয় গ্রীড বন্ধ করে দেয়া হয়। অনেক জায়গায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় মোবাইল ও ল্যান্ডফোনের সংযোগ। বাতাসের তাণ্ডবে সুন্দরবনের একটি বড় অংশে ব্যাপক ক্ষতির আশংকা করা হচ্ছে। দুবলারচর ও হিরণ পয়েন্টের সঙ্গে ওয়্যারলেস যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন থাকায় বোঝা যাচ্ছে না সেখানে কি হয়েছে।
দুবলার চরে রাশমেলা থাকায় সেখানে আটকা পড়েছে পুন্যার্থী, কোস্টগার্ড, জেলে ও বাওয়ালীসহ প্রায় ১৫ হাজার লোক। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পটুয়াখালীর নিচু এলাকা ৫ থেকে ৬ ফুট জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়। অনেক স্থানেই বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে। লক্ষ্মীপুরের চর গজারিয়ায় দুই শ’রও বেশি কাঁচা বাড়িঘর ভেঙে গেছে। চট্টগ্রামে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে বিধ্বস্ত হয়েছে বহু বাড়িঘর। বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকেছে অনেক এলাকায়। ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই মহেশখালী, কুতুবদিয়া ও সন্ধ্যা ৬টা থেকে কক্সবাজার শহরে শুরু হয় দমকা ও ঝড়ো হাওয়া। বাতাসের তীব্রতা কমে গেলেও গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে সেখানে। স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৭-৮ ফুট বেশি উচ্চতায় প্লাবিত হয়েছে উপকূলবর্তী এলাকা। সেন্টমার্টিন দ্বীপে বিদেশিসহ আটকা পড়েছে অনেক পর্যটক। মায়ানমারের এক নাগরিকসহ ৫ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে সেন্টমার্টিন থেকে।
ঘুর্ণিঝড়ের গতি মন্থর হয়ে এলেও বৃষ্টি কমেনি। দেশব্যাপী বৃষ্টিপাত ও দমকা হাওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। বরিশালে ৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।