আমার আগের পোষ্টে আমি বলেছিলাম কিভাবে একটি মেয়ে ধর্ষনের হাত হতে বাঁচার জন্য কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে পারে , আজকে আমি বলবো কিভাবে একটি ছেলে নিজেকে ধর্ষক হওয়ার হাত হতে বাঁচাতে সচেতন হতে পারে । সাধারনত চাহিদার পরিমান খুব বেশি হলে এবং চারিত্রিক দিক দুর্বল হলে এবং মনুষত্য বোধ লোপ পেলে খুব সহজে আপ্নার অথবা আমার দ্বারা একটি ধর্ষন সংঘটিত হতে পারে । আমি একটি বিষয় বিশ্বাস করি সমাজে আমাদের মাঝে অনেকেই আছে যারা ” সুযোগের অভাবে সৎ মানুষ ! “ পছন্দমতো কোন নারী সুবিধামতো অনিরাপদ ভাবে পাচ্ছে না দেখে এখনও তাদের ধর্ষক হওয়ার দুর্ভাগ্য হয় নাই !
আসুন পয়েন্ট গুলো জেনে নিতে চেষ্টা করি , কারও মাথায় আরও পয়েন্ট আসলে মন্তব্যে লিখে দিবেন ।এখানে এমন কিছু পয়েন্ট লেখা হয়েছে যা আমি কোথাও লিখিত আকারে এমন একত্রিতভাবে দেখি নাই তাই এখানে লিখলাম। ইভ টিজিং এর কিছু বিষয় এখানে চলে আসতে পারে কারন ইভটিজিং হলো ধর্ষনের খালাতোভাই !
উত্তেজক খাদ্য পরিহার করা :
আপ্নি জানেন ? বিভিন্য ধরনের মাদক আছে যা গ্রহন করলে আপ্নাকে সাময়ীক ভাবে মারাত্বক পরিমান উত্তেজিত করে তুলতে পারে । মাদক গ্রহনের পরে একটি মানুষ তার হিতাহিত জ্ঞান হাড়িয়ে ফেলে আর অই অবস্থায় সে যদি উত্তেজিত থাকে আর অনিরাপদভাবে একটি মেয়েকে দেখে তাইলেই কাম সারছে ! তখন অই লোকটির দ্বারা ধর্ষন সংঘটিত হতে পারে বা অসফল একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনার জন্ম দিতে পারে । তাই এসব উত্তেজক মাদক পরিহার করুন ।শুধু যে মাদক তা কিন্তু নয় !!!! বাজারে সহজলভ্য কিছু এনার্জি ড্রিংক পাওয়া যায় যা খুব বেশি পরিমান নেশা নেশা ভাব না আনলেও আপ্নাকে ১০ মিনিটের মধ্যে প্রচুর পরিমান উত্তেজিত করে তুলবে , এবং ঐ সময় আপ্নার চাহিদা মেটাতে আপ্নি পুরোপুরি পাগল হয়ে যাবেন , আসলে এমন ভাবেই কিছু উপাদান দিয়ে এনার্জি ড্রিংক গুলা তৈরি করা হইছে । আর কিছু প্রাকৃতিক খাদ্য আছে যা আমরা সাধারনত সরল মনেই খাই , এগুলোর পরিমান বেশি হয়ে গেলে আপ্নি উত্তেজনা নিয়ন্ত্রনে ব্যার্থ হতে পারেন , যেমন : চড়ুই পাখির মাংশ , ( ....বাকি গুলার নাম কইলাম না নেগেটিভ মারকেটিং হইতে পারে )
নিজের ব্যাক্তিত্বকে সন্মান করুন :
আপ্নি নিজেকে নিজে সন্মান করতে শিখুন এই হিসাবে যে , আপ্নি একজন ভালো গুনি ব্যাক্তি, ভালো ছাত্র , নির্ভরশীল কর্মচারি , সফল ব্যাবসায়ী , ফেমাস সমাজ কর্মি । এতে একটা উপকার হবে আপ্নার আত্মবিশ্বাস বারবে আর এমন গুনী ব্যাক্তির দ্বারা ধর্ষনের মতো জঘন্য কাজ মানায় না এটা ভাবতে থাকুন দেখবেন অনেকটা নিয়ন্ত্রন সফল ফলাফল পাবেন ।
পারলে দ্রুত বিয়ে করুন :
দেখুন চাহিদা সকলেরই আছে এটাই প্রকৃতির নিয়ম , তবে সেটা মেটানোর জন্য সঠিক পথ অবলম্বন করুন । দ্রুত একটি বিয়ে করুন , নিজের স্ত্রীকে শুধু মাত্র একজন চাহিদা পুরনের পার্টনার হিসাবে না ভেবে জীবনের পার্টনার হিসাবে ভাবতে শিখে যাবেন স্বয়ংক্রিয় ভাবে। ব্যাস ঝামেলা হতে রেহাই পেয়ে যাবেন ।
অন্য উপায় অবলম্বন করুন :
হয়তো অর্থনৈতিক যোগ্যতা বা অন্যান্য কারনে আপ্নি বিয়ে করতে পারছেন না ! আর যদি নিশ্চিত হোন যে বিয়ে করাই আপ্নার একমাত্র মুক্তির পথ তবে দ্রুত বিয়ে করার যোগ্যতা অর্জন করুন ! কারন নিজে বিয়ের যোগ্যতা অর্জন করবেন না আবার সখের তোলা আশি টাকা ভাববেন সেটা তো হতে পারে না !!! হ্যা আর একটা উপায় আছে ! আপ্নি একজন ডাক্তারের সরনাপন্য হতে পারেন ! তিনি আপ্নাকে কিছু উপায় বলে দিবেন যা আপ্নাকে সাময়ীক ভাবে নিজেকে নিয়ন্ত্রনে সাহায্য করবে । অবশ্য এমন টাইপ উপায় জানতে ডাক্তারের কাছে যেতে হয় না , কিছু দুষ্টু বন্ধু থাকলে তারাই টিপ্স দিয়ে দেয় অবশ্য সেটা নিরাপদ হয় না ।
ধর্মীয় অনুশাশন মেনে চলুন :
কোন ধর্মই ধর্ষন বা ইভটিজিং টাইপ আচরনকে সমর্থন করে না , আপ্নি যে ধর্মেরই হোন না কেন , আপ্নি আপ্নার ধর্ম গ্রন্থের এই জাতীয় অধ্যায় গুলো ভালো ভাবে পড়ে দেখবেন , এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করবেন , যদি আপ্নি ধর্মের প্রতি অনুগত হোন তবে আপ্নার জন্য এমন স্পর্ষ কাতর বিষয়টিকে নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব হবে ।
উত্তেজক প্রবন্ধ পরিহার করুন:
অনলাইনে অথবা অফলাইনে কিছু প্রবন্ধ বা গল্পের বই পাওয়া যায় যেখানে মানুষের এই অতি স্পর্ষকাতর বিষয়গুলোকে খুব বেশি পরিমানে ব্যাখ্যা করে গল্প সাজানো হয় ! আমরা কম বেশি সকলেই এই জাতীয় বই পড়েছি । এই সব বইতে মানুষের গোপন স্পর্ষকাতর বিষয় সমুহ প্রকাশ করে পাঠককে উত্তেজীত করে তোলা হয় ! এর ফলাফল হতে পারে ধর্ষনের মতো একটি ঘৃন্য কাজ । তাই পাতলা সেন্ডেলের নামে নামকরন করা এই পুস্তক সমুহ পঠনে অভ্যস্ত থাকলে এখনই এই অভ্যেস পরিহার করুন ।
উত্তেজক ভিডু দেখা বন্ধ করুন :
নেটে অথবা সিডি বা ডিভিডিতে কিছু মুভি আছে যেগুলাতে কুনু নাচ গান নাই ! কুনু মাইরপিট নাই অথবা নাই কোন ভালো গল্পের উপস্থিতি সেখানে শুধু মাত্র মনুষ্য জাতীর আদি ও গোপন বিষয়কে প্রাধান্য দেয়া হয় । এছাড়াও কিছু মুভি আছে যাতে অভিনেত্রির উত্তেজক পোশাক বা উত্তেজক দৃশ্য থাকে , নিজের ঈমান বা পুরুষত্বের উপর নিয়ন্ত্রন ক্ষমতা দুর্বল হলে এগুলো দেখা পরিহার করুন ।
পথে ঘাটে উত্তেজক পোশাকের নারীর দিকে তাকাবেন না :
এটা একটি খুবই বিতর্কের বিষয় যে , নারীর পোশাক দেখে ছেলেরা উত্তেজীত হয়ে অনেক অঘটন ঘটায় ! গত পোষ্টে আমি বলেছি নারী পথে ঘাটে তার আচরনে সকলকে বুঝিয়ে দিবে যে সে অশ্লিলতাকে প্র্রশ্রয় দেয় না তেমনি পুরুষরাও তাদের দৃষ্টি অন্য দিকে ফিরিয়ে নিয়ে বুঝিয়ে দিতে পারে অশ্লিলতাকে তারাও প্রশ্রয় দেয় না । ভাইরে একটা জিনিস বুঝেন , টিভির যে চ্যানেল বেশি বেশি দেখবেন সেটার প্রচার ততো বেশি হবে , তাই উত্তেজক পোশাকের নারীর দিকে না তাকিয়ে মুখ ফিরিয়ে রাস্তায় হাটুন দেকবেন সেও লজ্জা পেয়ে এমন পোশাক পরবে না ! এতে দুইটা লাভ হবে নিজেও উত্তেজিত হলেন না আর সেই অবুঝ নারীও কিছুটা শালীন পোশাকের ধারনা সম্পর্কে বুঝতে পারলো ।
তাতখনিক ভাবে নিজেকে শাস্তি দিন :
অনেক সময় আপ্নার মাথায় দুষ্টু বুদ্ধি চলে আসতে পারে ! কিছুই করার নাই এটা আসবেই , ঠিক অই মুহুর্তে নিজেকে শাস্তি দিন , কইস্সা নিজের গালে একটা চড় লাগান ! (প্রয়োজনে লোক চুক্ষুর আড়ালে গিয়ে নইলে সবাই পাগল ভাবতে পারে ) এর পর নিজেকে নিজে শাষন করুন , নিজের মন কে বোঝান , এভাবে কিছু দিন ট্রাই করলে নিজেকে নিয়ন্ত্রন করতে সফল হবেন ।
বেশি বেশি পরিশ্রম করুন :
সারাদিন খাইবেন ঘুমাইবেন আর নেট চালাইবেন এইটা তো হইতে পারে না ! দেখবেন এমন অলস সময় অতিবাহিত করার সময়তেই দুষ্টু চিন্তা গুলো মাথায় বেশি আসে , কারন কি জানেন ? অলস মস্তিস্ক শয়তানের হেডঅফিস , আপ্নার গ্রহন করা খাদ্য দ্রব্যর কারনে আপ্নি যখন শারীরিক ভাবে উপযুক্ত হয়েছেন তখনই আপ্নার মস্তিস্ক আপ্নাকে এই উপযুক্ততা প্রমানের জন্য চাপ দিতে থাকবে আর আপ্নি হয়তো তখন নিজেকে সফল করতে ঝাপিয়ে পরবেন ! তাই নিয়মিত পরিশ্রম করুন , যে পরিমান এনার্জি শইলে ঢুকছে সেটা ব্যায় করে ফেলুন ব্যাস্ততার কারনে আপ্নার মাথা থেকে দুস্টু চিন্তা চলে যাবে ।
মেয়েদের প্রতি সন্মান জনক ভাবনা রাখুন :
মেয়ে মানুষ মায়ের জাত , এই কথা সবসময় মনে রাখবেন , তাদের অবস্থান ও আপ্নার সাথে তাদের সম্পর্কের ধরন অনুযায়ী সন্মান করতে শিখুন । ভেবে দেখুন যার যার অবস্থানে সঠিকভাবে সন্মান দিতে গেলে ধর্ষনের কোন বিষয় কিন্তু স্থান পায় না ! তাহলে নিজেকে বোঝাতে চেষ্টা করুন কেন আপ্নি অই মেয়েকে ধর্ষন করবেন ? এভাবে যুক্তি দিয়ে সময়টাকে নষ্ট করতে থাকুন এর মধ্যে সেই মেয়ে নিজেই নিরাপদ দুরত্বে চলে যাবে আর আপ্নিও ধর্ষনে ব্যার্থ একজন সফল চরিত্রবান মানুষ হতে পারবেন ।
নিজের অবস্থানকে ধর্ষন উপযোগিভাবে তৈরি না করা :
বাসায় একা আছেন আর আছে বাসার কাজের মেয়েটা , ব্যাস রাতের বেলা আপ্নার ঈমানের ব্যান্ডউইথ কমে গেলো আর আপ্নিও আর্নল্ড সোয়াজ নিগারেরে ইসটাইলে শত্রুর উপর ঝাপিয়ে পরার মতো করে মেয়েটার উপর ঝাপ দিলেন ! তাই কখনোই নিজের উপর আত্ববিশ্বাস কম থাকলে ধর্ষন উপযোগি পরিবেশে কোন মেয়ে মানুষের সাথে অবস্থান করবেন না ।
একডজন টিপ্স দিলাম নিজেকে ধর্ষক হওয়ার হাত হতে বাঁচাতে কতোটা সফল হবে তা জানি না , তবে ধর্ষক হওয়ার হাত হতে নিজেকে বাঁচাতে আপ্নার পারিবারিক শিক্ষা ও সামাজিক পরিবেশ বড় একটা প্রভাব ফেলে তারপরও আপ্নার ভেতর মনুষত্য থাকলে আপ্নি চাইলেও ধর্ষক হতে পারবেন না , অবশ্য পারবেন কিনা এটা ট্রাই না করাই ভালো ।
ঘুড্ডির পাইলট ৯ নং সেক্টরের সাবসেক্টরে অবস্থান করায় কমেন্ট এর রিপ্লাই দিতে দেড়ি হতে পারে কারন এখানের নেট ইসপিড ভয়াবহ !
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:০৪