somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

জিএম হারুন -অর -রশিদ
আমার কারো কাছে নেই কোন অভিমানের দেনাপাওনা, নেই কোন কষ্টের হিসাব, তবুও লুকিয়ে থাকা হাহাকার পরম যতনে আগলে রাখি-- প্রথম পাওয়া চিঠির মত, আমি এই রকমই বন্ধু ।

নীলা’পা একজনই হয়

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



উবারের ভাড়া মিটিয়ে গাড়ি থেকে নেমে আশেপাশের ঘর বাড়ির দিকে কৌতুহলে ভরে তাকাল বাদল। বিকেলের বিষণ্ন আলোতে সবই অপরিচিত লাগছে তার কাছে । প্রায় বিশ বছর পরে যাত্রাবাড়ির ওয়াসা গলির এই মহল্লায় ফিরলো সে ।তার জন্ম আর বেড়ে উঠা এই মহল্লায় তিনটি ভাড়া বাড়িতে।


গলির মুখের সে‌ই টেইলার্সের দোকানটা এখনও আছে।মালিকের নাম খুব স্পষ্ট মনে আছে জাব্বার। তারা বন্ধুরা মিলে এই দোকানের ভিতরে দিনকে দিন আড্ডা মেরেছে।

বাদল টেইলার্সের দোকানটার সামনে এসে দাঁড়ালো, সাইনবোর্ডের লেখাটা একেবারে অস্পষ্ট হয়ে যাওয়া ‘ব্রাইট টেইলার্স’ নামটা সে পড়তে পারলে।যতোটুকু চোখ দিয়ে পড়লো তারচেয়ে বেশি হয়তো স্মৃতি থেকেই দোকানের নামটা পড়লো। বেশির ভাগ অংশ সাদা হয়ে যাওয়া দাড়ি মুখে নিয়ে একজন মনোযোগ দিয়ে কাপড় কাটছে,

বাদল জাব্বারকে চিনতে পারলো,

সালাম দিয়ে বললো- কেমন আছেন জাব্বার ভাই?


জাব্বার হাতের কেঁচিটা রেখে বাদলের হাসিমাখা মুখের দিকে জিজ্ঞাসার দৃষ্টিতে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলো,

তারপর হঠাৎই করেই উচ্ছাসিত কন্ঠে বলে উঠলো -বাদল ভাই না? আমাদের বাদল ভাই!

বাদল সম্মতি জানিয়ে মুখের হাসিটা আরো বিস্তৃতি করতেই জাব্বার দোকানের ভিতর থেকে একরকম উড়ে এসেই বাদলকে বুকে টেনে নিয়ে বললো,

-বাদল ভাই এতোদিন পর আসলেন, এভাবে কেউ ভুলে যায় ছোট্টবেলার বন্ধুবান্ধব আর ভাই বেরাদের।

বাদল হাসিটা ধরে রেখেই বলল- ভুলিনিতো কিছুই, এই যে আপনাকে চিনলাম,

সবার কথাই মনে পড়ে। দেশেই ফিরলাম প্রায় বার তেরো বছর পর।


কোথায় ছিলেন এতোদিন?

আপনার আব্বা আম্মা কেমন আছেন?

সংসারের অবস্থা কি?

বাদল বললো সময় দিন আস্তে আস্তে বলি?

ডিবি -ওয়ান ভিসা পেয়ে আমেরিকায় চলে গিয়েছিলাম, পরে আব্বা আম্মাকে নিয়ে গেছি।দেশে আসা হয়নি প্রায় ষোল বছর।

সংসারের কথাটা সে পাশ কাঁটিয়ে চলে গেলো।



জাব্বার মোবাইলে ফোন দিল কয়েকটা ।

বললো আজ দোকান বন্ধ, আপনার সাথে গল্প চলবে , বলেই দোকানের সাটার অর্ধেক নামিয়ে দিলো।

কিছুক্ষনের মধ্যে‌ই এ‌ই মহল্লার ছোট্ট বেলার বন্ধু কাইউম, ছোট লিটন, বড় লিটন, রুবিন, স্বপন এসে হাজির।কতো কথাই যে শুরু হলো, চা সিগারেট ‌অনবরত চলতে লাগলো, গল্প আর শেষ হয় না।

সবাইকে থামিয়ে বাদল হঠাৎ বলে উঠলো,

-তোরা একটু গল্প কর, আমি গলিটা একটু একা একা ঘুরে আসি, জাস্ট বিশ- তিরিশ মিনিট।


বাদল গলির ভিতর ঢুকে পড়লো, অন্য কোথাও না তাকিয়ে সোজা গলির শেষ মাথায় তেতালা বাড়ির নিচে এসে দাঁড়ালো।এই বাড়িতেই সে বালক থেকে কিশোর হয়ে যুবকের দিকে যাওয়া শুরু করছিলো।

বাদল তেতালার বারান্দার দিকে তাকিয়ে আনমনে একটা সিগারেট ধরালো। তারপর সিগারেট এর ধুয়ার মধ্যে সিনেমার মতো ছবির রিলে সেই দিনগুলো ভেসে উঠলো চোখের সামনে।


ডানদিকের নিচতলার দুরুমের ঘরে‌ই থাকতো বাদল’রা,। বাবা মা সহ তিনজনের সংসার।বাবা ছোট্ট চাকুরী করতো, টানাটানির সংসার ছিলো সবসময়েই , মা শুধু বলতো -ঠিক মতো লেখাপড়া করিস বাবা, আমাদের আর কোন চাওয়া নেই। তুইই আমাদের ভবিষ্যত।

বাড়িওযালার একমাত্র মেয়ে ছিলেন নীলা’পা।

বয়সে বাদলের চেয়ে চার -পাঁচ বছর বড় হবে। যথেষ্ট রকম সুন্দরী, ফর্সা আর লম্বা ছিলেন।

এই মহল্লার, আশে পাশের মহল্লার কতো যুবক যে সারাদিন ঘুর ঘুর করতো শুধু নীলা’পাকে একবার দেখার জন্য। নীলা’পা পাত্তাই দিতো না কাউকে।

ঘন্টার পর ঘন্টাও অনেককে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছে সে- তবুও কাউকেই নীলা’পা চোখ তুলেও দেখতো না।

পাশের গলির প্রিন্স ভাই ফ্যানে ঝুলে আত্মহত্যা করেছিলো এক বিষণ্ন বিকেলে। সবাই বলাবলি করছিলো প্রিন্স ভাই নীলা’পাকে প্রেমের চিঠি লিখেছিলো, সেই চিঠি পেয়ে নীলা’পা প্রিন্স ভাইকে খুব অপমান করেছিলো। তার জন্যই নাকি প্রিন্স ভাই ফ্যানে ঝুলে আত্মহত্যা করেছিলো। বাদলের শুধু মনে আছে প্রিন্স ভাইয়ের জিহ্বাটা বীভৎসভাবে আধাহাতের মতো বের হয়ে ছিলো। অনেকদিন রাতে ঘুমোতে গেলেই স্বপ্নে প্রিন্স ভাইয়ের জিহ্বাটা তার ঘুম ভেঙে দিতো, অঘুমে রাখতো।

নীলা’পা শুধু বাদলকেই একটু পাত্তা দিতো নিজেদের ভাড়াটিয়া বলে,‌অনেকটা অধিকার ফলাতো।

বাদলকে দিয়ে ঘরে বাইরে ফুট ফরমাস খাটাতো, সে যেনো তৈরী হয়েই থাকতো নীলা’পা কখন ডাকবে আর সে ছুটে গিয়ে তার অস্তিত্ব জানান দিবে।

বাদল তখন সম্ভবত মেট্রিক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলো,। নীলা’পা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মনোবিদ্যা নিয়ে ২য় বর্ষে পড়ছিলো। সেই সময় নীলা’পার জন্য পর পর অনেকগুলো বিয়ের প্রস্তাব আসছিলো.

নীলা’পা কোন একটা খুঁত বের করে সব প্রস্তাবই নাকচ করে দিতো। উনার বাবা মা শেষ পর্যন্ত হাল ছেড়ে দিয়েছিলো। উনার মা দু-তিনদিন রাগ করে না খেয়েও দেখেছেন তবুও উনার মেয়ের মতামত বদলাতে পারেনি।

বাদল একদিন না বুঝে‌ই নীলা’পার কাছে জানতে চাইলো-

তোমার নাকি বিয়ের কথা চলছে? , তুমি রাজী হয়ওনা কেনো?, সবাই কি দেখতে খারাপ?

বাদলের আজও মনে আছে তোমার সেই উত্তর,

কী রকম ভয়ংকর উত্তর ছিল সেটা তার জন্য,

নীলা’পা বুঝতেই পারনি!

“ তুই আরেকটু বড়ো হ,

তোকেই একদিন বিয়ে করবো।"


বাদল প্রচন্ড ভয় পেয়েছিলো সেই কথায়,

সেই বারও সে অঘুমে রাত কাটাতো দিনকে দিন।

তারপর থেকে নীলা’পাকে দেখলেই বাদলের অস্থিরতা বেড়ে যেত।

‌‌অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছিলো নীলা’পাদের তেতালায় ওঠা,

অথচ পড়া লেখার ফাকে সারাদিন নালী’পার কথাই ভাবতো

আশেপাশের বন্ধুদের কাউকেই বলতে পারিনি আর জানতেও দেয়নি তার এই গোপন অসুখের খবর।

অনেকদিন নীলা’পার সাথে কথাই হয়নি,

মাঝে মাঝে গলি দিয়ে হাঁটতে গিয়ে তেতালার বারান্দায় তাকালে চোখাচুখি হতো, নীলা’পা নির্লিপ্ত ভাবে চোখ ঘুরিয়ে অন্য দিকে তাকাত। যেনো বাদল নামে কাউকে চিনেই না। বাদলের তখন খুব অপমানিত মনে হতো।মনে হতো ভাড়াটিয়া বলে হয়তো তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করছে তাকে নীলা’পা।


বাদল তখন কলেজ পাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য দিনরাত পড়ছে,

একদিন ঠিক সন্ধ্যে বেলা নীলা’পাদের কাজের মেয়েটি তাদের ঘরে আসলো, বাদলকে বললো

-আপা আপনাকে এখনই ডাকছেন,

কি একটা জরুরী দরকার

ছাদে যেতে বলেছে।

তেতালার ছাদের সিঁড়ির মরা আলোর অ‌ন্ধকার ঘরে যেতেই বাদল দেখলো নীলা’পা নিশ্চুপ তার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে।

কাছে যেতেই আচমকা বাদলকে বুকে জড়িয়ে ধরে নীলা বললো -“ চল পালিয়ে যাই, বিয়ে করবো তোকে।"

বাদলের সারা শরীর থরথর করে কাঁপছিলো তখন,

অজানা ভয়ে, নাকি জীবনে প্রথম কোন নারীর শরীরের স্পর্শে,

বাদল আজও বুঝতে পারিনি।

বাদল কাঁপতে কাঁপতে সেদিন শুধু বলেছিলো,

-“নীলা’পা,

আমার অনেক পড়া বাকি

বাবা আমাকে এখনই খুঁজবে।"


কোনোমতে দৌড়ে পালিয়ে এসেছিলো সে সেদিন।

আর দেখা হয়নি নীলা’পার সাথে কোনোদিন,

কিছুদিন পরই বাদলরা বাসা বদল করে অন্য শহরে চলে গিয়েছিলো তার বাবার চাকুরীর বদলির কারনে আর বাদল চলে গিয়েছিলে অন্য শহরের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির কারনে।


বিদায় নেবার সময় নীলী’পাকে বলে যাবার জন্য বাদল কতো চেষ্টাই না করেছিলে,

তবুও নীলা’পা দেখা দেয়নি একবারের জন্যও।


প্রায় বিশ বছর পর বাদল আবার সেই বাড়ির নিচে দাঁড়িয়ে তেতালার বারান্দায় দিকে তাকালো।রাস্তার বাতির আলোতেও বুঝা যায় যত্নহীন বাড়ি। আস্তর খসে পড়ছে, কতো বছর আগে এই বাড়ির রঙ করা হয়েছে বলা মুশকিল।

আরেকটা সিগারেট জ্বলাতে গিয়ে কি মনে করে তৃতীয় তলার কলিং বেলটা চাপ দিলো।

বেল বেজেছে কিনা বুঝা গেলনা।

তবুও একজন মহিলা তেতালার বারান্দা দিয়ে উকি দিয়ে জানতে চাইলো,

কে? কাকে চান?

বাদল নিজের নামটা বলে বললো

নীল’পা আছেন?

প্রায় পাঁচমিনিট পর উপর থেকে একটি দঁড়ি ঝুলিয়ে নিচে পাঠালো সেই মহিলা

-চাবি লাগানো আছে, তালা খুলে তিনতলায় চলে আসুন।


বাদল তিনতলার সিঁড়ি ভেঙে উঠছে, মনে হচ্ছে সে কোন পাহাড়ের চূড়ায় উঠছে, পা যেনো চলছে না, বারবার থেমে যাচ্ছে। মনে হলো অনন্ত সময় পর সে তিনতলার দরজায় এসে দাঁড়ালো। মহিলা তাকে ড্রয়িং রুমে বসতে বলে ভিতরে চলে গেলো। বাদল ড্রয়িং রুমের চারিদিকে ঘাড় ঘুরিয়ে দেখলো, দেয়াল থেকে শুরু করে ফার্নিচারগুলো কেমন মলিন মলিন চেহারা নিয়ে মন খারাপ করে আছে। কেউ যে ঠিকমতো যত্নআত্তি করেনা দেখলেই বুঝা যায়।


-“এতোদিন পর এলি?”


বাদল একরকম চমকে সোফা থেকে মুখ তুলে উপরের দিকে তাকাল,

খুবই আশাহত এবং মনোবেদনা নিয়ে সে দেখল নীলা’পা দাঁড়িয়ে পাশে ‌অথচ মুখে মেসতার কালো দাগ আর কুচকানো কপাল চেহারায় - সেই ঝলক , ‌অহংকার, লাবন্য কিছুই নেই

যেমনটা নেই এই বাড়ির দেয়ালের রং ঝলসে আস্তর খসে পুরোনো হয়ে যাওয়া আর যত্নআত্তির অভাবে মলিন হয়ে যাওয়া এই ড্রয়িং রুমের।


একসময় এই মহল্লার সবচেয়ে বেশি লম্বা মেয়েটা বয়সের অনেক আগেই এখন অনেকটা কুঁজো হয়ে গেছে মনে হলো ।

শরীরও অনেক ভারী লাগছে,

নীলা’পাকে নিজের প্রতি যত্নহীন মনে হলো অনেকদিন ধরে!


-তবুও তো আসলাম,

কেমন আছো নীলা’পা?

-এই তুই যেমন দেখছিস - নীলা অনেকটা আবেগহীন কন্ঠে বললো,

তুইতো অনেক বড় হয়ে গেছিস। আগের চেয়েও লম্বা হয়েছিস। কতো বছর পর দেখলাম? বিশ বছর একশো তিন দিন পর।

ঠিক আছে না।

বাদল খুবই আশ্চর্য হয়ে গেলো নীলা’পার কথা শুনে।

বাদল নীলা’পার চোখের দিকে না তাকিয়েই বললো

-এই বাড়ির বাকি মানুষ কোথায়?

বাকি কোন মানুষই নাই এই বাড়িতে - নীলা ‌অনেকটা বিষণ্ন স্বরে বললো

-বাবা মা অনেক আগেই মারা গেছেন।

বাদল খুবই উৎসুক কন্ঠে বললো-

তোমার সংসার?

নীলা’পা বাদলের চোখের দিকে সরাসরি তাকিয়ে বললো

সংসার করা হয়নি আমার,

তোকেতো একবার বলেছিলাম -চল পালিয়ে বিয়ে করি , তুইই পালিয়ে গেলি ভয়ে ,

আর কাউকে বিয়ে করতে ইচ্ছে জাগেনি বাকি জীবনে।

কোনরকম অস্বস্তি ছাড়ই নীলা’পা আরেকবার বাদলের বুকে সেই একই পুরোনো জং ধরা চাকু নির্মম ভাবে গেথে দিলো অনায়াসে।

বাদল খুবই তাড়াহুড়া করে উঠে দাঁড়ালো,

বললো নীলা’পা আজ আসি, আমার জন্য অপেক্ষা করছে সবাই জাব্বার ভাইয়ের দোকানে।

নীলা ঠিকই বুঝতে পারলো বাদল সেই বিশ বছর আগের মতো‌ই তার কাছ থেকে আবারো পালিয়ে বাঁচতে চাচ্ছে।

নীলা শুধু একটা উপহাসের হাসি দিয়ে বললো- যা, আবার যদি কখনো মনে পড়ে দেখতে আসিস আমি একা একা কেমনে থাকি।

বাদল দ্রুত সিঁড়ি দিয়ে নেমে আসলো , তারপর কোনদিকে না তাকিয়ে সোজা হাঁটতে লাগলো , ‌অথচ সে টের পাচ্ছে তিন তলা থেকে দুটি চোখ তাকে দেখছে যতক্ষণ দেখা যায়।

বাদল নিজের উপর প্রচন্ড ঘৃনা আর করুনা নিয়ে মনে মনে বললো-


নীলা’পা,

-দেশের কতো কিছু বদলে গেলো এই বিশ বছরে,

রাষ্ট্র ক্ষমতা বদল হলো কয়েকবার,

মুদ্রাস্ফীতি ‌অনেক বেড়েছে গেছো,

ঢাকা শহর চারদিকে বাড়ছে প্রতিদিনই,

আমার শরীর বিশ বছরে আগের চেয়ে তিন ইঞ্চি লম্বা হয়েছে,

শুধু আমার বয়সটাই তোমার চেয়ে একটুও বাড়েনি বলে-

আমারও একজীবনে বিয়ে করা হয়ে উঠেনি।


বুকের ভিতরে পৃথিবীর সব বিষণ্ন পারমানবিক হাহাকার জড়ো করে বাদল হঠাৎ করেই মহল্লার সব নিরবতা নষ্ট করে বুকের সব শক্তি দিয়ে চিৎকার করে বলে উঠলো-


“নীলা’পা

আমাকে ক্ষমা করো,

কেনো আমি এই জীবনে তোমার চেয়ে বয়সে বড় হলাম না?

—-///——///—-

সর্বশেষ এডিট : ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:০৪
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইউনূস সরকার- অন্তবর্তীকালীন, আপদকালীন না কি গণশত্রু রাষ্ট্রযন্ত্র?

লিখেছেন রাবব১৯৭১, ১৯ শে জুলাই, ২০২৫ সকাল ৮:৫০

ইউনূস সরকার –অন্তবর্তীকালীন, আপদকালীন না কি গণশত্রু রাষ্ট্রযন্ত্র?
আজকের বাংলাদেশ এক অস্থির, আতঙ্কিত ও শোষণমুখর সময় পার করছে। রাজনৈতিকভাবে যে সরকার বর্তমানে রাষ্ট্রক্ষমতায়, তারা নিজেদের পরিচয় দিচ্ছে ‘অন্তবর্তীকালীন’ সরকার হিসেবে। আবার... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রিয় কন্যা আমার- ৮০

লিখেছেন রাজীব নুর, ১৯ শে জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১:২৬



প্রিয় কন্যা আমার-
সেদিন খুব সাহসের একটা কাজ করে ফেলেছি। আমি এবং তোমার মা সাতার জানি না। তুমিও সাতার জানো না। বিকেলে আমরা তূরাগ নদীর পাশ দিয়ে হাঁটছিলাম। তোমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ১৬ বছরে রাজনৈতিক স্পেস না পাওয়া জামায়াতের এমন সমাবেশ ‘অবিশ্বাস্য’:

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৯





বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আজকের জাতীয় সমাবেশকে ‘অবিশ্বাস্য’ আখ্যায়িত করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ। তিনি মনে করেন, এ সমাবেশ বাংলাদেশের... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিয়মিত জোয়ার ভাটার ঢেউ আর সুনামির ঢেউ আলাদা

লিখেছেন অপলক , ১৯ শে জুলাই, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩১



সব কিছু একটা রিদমে চলে। সেই রিদম ভেঙ্গে গেলে ধ্বংস বা পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী। তখন শুধু সময়ের অপেক্ষা করতে হয়। নিয়মিত জোয়ার ভাটার ঢেউয়ে পরিবেশ-প্রতিবেশ এবং জীব বৈচিত্র একটা সমন্বয়ের... ...বাকিটুকু পড়ুন

“নুহাশ পল্লীর যাদুকর“

লিখেছেন আহেমদ ইউসুফ, ১৯ শে জুলাই, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪৮

এইখানে শুয়ে আছে স্বপ্নের কারিগর
আবেগের ফেরি করে, হৃদয়ে ঝড় তুলে
থেমে গেছে এক যাদুকর।
নুহাশ পল্লীতে মিশে আছে একাকার।

হিমুর চোখে জল, মিসিরের শোকানল
শুভ্রর শুদ্ধতা, রুপার কোমল মন,
আজও ঠিক অম্লান।

হাজারো ভক্তের মনে
মিশে আছ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×