দৃশ্য ১ :
যেমন করেই হোক আমাদের ট্রানজিট চাই..
কিন্তু জনগন তো এর বিপরিতে। আর জনগন মানে ভোট। আর ভোট মানে ক্ষমতা।
তাহলে উপায় ??
সাজ ঘরের কথাবার্তা : (গগগগও হর - ষিব শংকড়)
চিন্তা করো না। উপায় পেয়ে গেছি।
কি ?
তোমাদের তিস্তার পানি চুক্তিতো ঠিকই হয়ে গেছে।
হ্যাঁ।
তো পানিটা এখন একটু ঘোলা করেতে হবে। আর তোমরা যখন পানি ঘোলা না করার দাবি করবে, তখন তোমরা বলবে বা আমরা বলবো, পানি ঘোলা করব না আগের মত হয়ে যাবে কিন্তু টানজিৎ শর্তের মাঝে ফেলে দেব। তখন আর তোমাদের জনগন দোষ দিতে পারবে না।
বা: তোমাদের বুদ্ধির তারিফ না করে পারছি না......
দৃশ্য ২ :
সামান্য এক নদীর পানি ভাগের বদৌলতে হাতিয়ে নেব টানজিৎ। বেকুবের দল এর জন আমরা তোদের সব নদীর বাঁধ খুলে দিতেও রাজি থাকতাম। নেপাল ভুটান সব। এইটা পাইলে তগরে আর দরকার নাই। তহন যেমতে কমু অমতে না হইলে.... হেগর বাংলা মায়ের শরীরে গড়াগড়ী খাবে আমার ...
দিদি তোমাকে কিন্তু এর জন্য একটু মমতাহীন এর চরিত্রে অভিনয় করতে হবে।
আর চুক্তি করলেই কি পানি অগরে দিমু নাকি। ফারাক্কার পানির চুক্তিতো দেখছো। তুমি কোন চিন্তা করো না।
শুধু বল কবে ?
যাবার দুই, এক দিন আগে হলেই ভালো হয়। অন্য সময়তো বিএসএফকে দিয়ে দুচারটা লাশ ফেলে দিতাম। কিন্তু ফেলানির ....। ওরা কেমন ছাগু টাইপ জানো। হয়তো তোমার কাছে বন্দর ইউজ করার পারমিশন চেলাম আর তখন ওরা বলবে ... দেখেন সীমান্তে গোলাগুলি বন্ধ করেন, নাইলে কিন্তু বন্দর ....সস্তায় কাম শেষ।
দৃশ্য ৩ :
পশ্চিম বাংলার লোকেরা কম পানি পায়। আমাদের পানি বাড়িয়ে নাদিলে বড় ভাইয়ার সাথে আমি যাবো না। এ্যাঁ এ্যাঁ ভ্যাঁ ভ্যাঁ..
দৃশ্য ৪ :
হে! হে! আমরা তিসতার পানি না খাইয়া, টানজিৎ দিমুনা। আমাগরে কি বেকুব পাইছে? আগে তিসতা পরে টানজিৎ।
জনগন- হ ..হ.. তিস্তা না দিলে টানজিৎ দেয়া যাবে না।
সাবাশ ! এই দেখ...সব লাইনে চইলা আইছে।
দৃশ্য ৫ : (শেষ দৃশ্যপট)
অবশেষে তিস্তার পানির বিনিময়ে বাংলাদেশের টানজিৎ প্রদান এর সমঝোতা। সুদীর্ঘ সময়ের ঝুলন্ত টানজিৎ ইস্যুর সফল সমাধান। বাংলাদেশের কূটনিতিকরা সাফল্যের নতুন মাইলফলক যোগ করলেন ইতিহাসের পাতায়।
ক্লিক! ক্লিক! লাইট! ক্যামেরা! ১শন!
পর্দার পেছনে :
হা! আসল খেলা খেলে গোল তো দিলাম আমরা।
_______________________________________________
মেসির জাদুর অন্তরালে মনমোহনের সম্মোহন