
ছবিতে - শিরিন শেলা।
রক্ষণশীল মুসলিম পরিবারের অনেক প্রতিভাকে বিকশিত হতে দেয়া হয়না। আমি একজনকে চিনি যে শত বাঁধা বিপত্তি অতিক্রম করে নিজ লক্ষ্যে পৌছাইছে।একজন ছাত্র বা ছাত্রী যখন বুয়েটে চান্স পায় তখন সে স্বপ্ন দেখে বিশ্ব সেরা না হলেও দেশের একজন স্বনাম ধন্য ইঞ্জিনিয়ার হবে। একটি মেয়ে যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিজিক্স এ চান্স পায় তখন তার স্বপ্ন থাকে ফিজিক্স এর উপর স্পেশালিষ্ট হবে।দেশের শীর্ষস্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো থেকে যখন কেউ মডেলিং এ এবং বিনোদন জগতে আসে তখন আমি তাদের খুব সম্মান করি। এরা আমার কাছে অসাধারণ মানুষ।
অপি করিম এখন পর্যন্ত সবার খুবই প্রিয় একজন অভিনেত্রী যে বুয়েটিয়ান ছিল। কতো অসাধারণ অভিনয় করেন তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। অপি করিম অভিনিত প্রতিটি টেলিফিল্ম নাটক সুন্দর।
সুন্দরী প্রতিযোগিতার আয়োজরা যখন ট্যালেন্ট বের না করে বিতর্কে জড়িয়ে যাচ্ছে, বা এসব প্রতিযোগিতা থেকে যারা চ্যাম্পিয়ন রানার্স আপ হচ্ছে তারা সালমান মুক্তাদির দের পাল্লায় পড়ে জেসিয়ার মতো ভুল করে নিজের ক্যারিয়ার নিজেই নষ্ট করছে, তখন ২০১৯ এ মিস ইউনিভার্স এর ক্রাউন পরা একজন সত্যিকারের ট্যালেন্ট পায় বাংলাদেশের মানুষ।ওর নাম শিরিন আকতার শেলা। শিরিন আক্তার শিলা হলেন একজন বাংলাদেশি মডেল যিনি মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ ২০১৯ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
এই মেয়েটি পড়ালেখার পাশাপাশি মডেলিং এ অসম্ভব ট্যালেন্ট। একজন পড়ালেখা বেশিদূর না করা মডেল যে ট্যালেন্ট হতে পারেনা তা নয়। বরং দেশের দশজন টপ মডেলের মধ্যে ৮ জন পড়ালেখায় ভালো করেনি বা কন্টিনিউ করেনি। তবে যারা পড়ালেখা এবং মডেলিং একসাথে করেছে তারা আসলেই একটু বেশি ট্যালেন্ট এবং এক্সট্রা অরডিনারী। যেমন 'পিয়া জান্নাতুল' ২০১০ সাল থেকে ২০২২ ওর মতো র্যাম্প মডেল পাওয়া যায়নি। ফ্যাশন র্যাম্প মডেল হিসেবে সে অদ্বিতীয়া বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত। সে বর্তমান সময়ে দেশের একমাত্র ইন্টারন্যাশনাল মডেল। এতো অসাধারণ মডেল যে, এমনি কোথাও দাঁড়ালে বা বসলে মনে হবে মডেলিং এর জন্য পোস দিচ্ছে।
মাত্র ২৩ বছর বয়সী ৫.১১ ইইঞ্চি লম্বা শিরিন সত্যি অসাধারণ। টিভি বিজ্ঞাপন এবং বিলবোর্ডে সে খুবই পরিচিত মুখ। আমি যখন ক্লাস এইটে পড়ি তখন সে মাত্র পৃথিবীতে এসেছে। এই বয়সেই যারা ফ্যাশন মডেলিং ববর্তমানে খুবই ভালো করছেন তাদের টপ ৫ জনের মধ্য থেকে শিরিন শেলা একজন। এমন অনেক ট্যালেন্ট আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে আছে। কিন্তু আমাদের সমাজ রক্ষণশীল। অধিকাংশ মানুষ ধার্মিক।পান থেকে চুন কষলেও ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে মামলা করে রক্ষণশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।এখানে মেধা বিকশিত হবে কিভাবে?
এই মেধাবী মেয়েটি চরকির 'এই বিল্ডিং এ মেয়ে নিষেধ' ওয়েব সিরিজে 'মেছো ভুত'চরিত্র অভিনয় করেছে। এবং চরকি এওয়ার্ড ২০২২ এ 'পাওয়ার হাউজ অফ টুমোরো' এওয়ার্ড এর জন্য মনোনীত হয়েছে। এই ইয়াং ট্যালেন্টকে ভোট দিয়ে এওয়ার্ডটি জিততে সহযোগিতা করুন।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:২৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




