২০০৯ সালে আমি প্রথম ফেসবুক একাউন্ট ওপেন করি। তখন ফেসবুকে যত খুশি ততো ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট পাঠানো যেতো। ফেক আই ডির ছড়াছড়ি। ছেলেরা মেয়েদের আই ডি চালাতো। তখন তো এতো অভিজ্ঞ ছিলাম না। আর ফেসবুক এতো ইউজার ফ্রেন্ডলি ছিলোনা। অদ্ভুত সব নামে আর পরিচয়ে সাইকোরা ভুয়া একাউন্ট খুলতো। এরা ফেক আইডি থেকে ছেলে মেয়েদের সাথে প্রতারণা করতো।
আমার ফেসবুকের অভিজ্ঞতা খুব বাজে। প্রথম আইডি ডি এক্টিভেট করে দিতে হয়েছিল কারণ শত শত ফেক আই ডির যন্ত্রণা। যত দিন যেতে লাগলো তত সবাই অভিজ্ঞতা অর্জন করতে লাগলো। এখন ফেসবুকে প্রতারণা করা, মেয়ে সাজা, ছেলে সাজা সম্ভব নয়। ফেসবুকে চাপাবাজি করা যায়না। প্রোফাইল পিক, ইনফো না দিলে কেউ ফ্রেন্ডলিস্টে এড করে না সম্ভবত।আমি অন্তত করিনা।
তবে এখন ফেক আই ডি নেই ফেবুতে তবে প্রচন্ড ছাগু ও কাঠমোল্লা আছে। এদের নিম্ন মানের স্ট্যাটাস, অযাচিত গালি, ব্যক্তি আক্রমণ, গীবত, নিজেরা নিজেরা কামড়া কামড়ি, মতের অমিল হলেই নোংরা কটাক্ষ, রিপোর্ট করে আই ডি ডিজেবল করে দেয়া, মোটমাট এমন কোন নোংরামি নেই এরা করেনা। এরা ফাস্ট মেয়েদের গালি দেয়, হিজাব না পরলে গালি দেয়, জামাত শিবির মৌলবাদী না হলে জোট বেঁধে গালি দেয়। এমন কি নিজেদের দলের কেউ পর্দা না করলেও ব্যক্তি আক্রমণ গালি ও ট্যাগ দেয়। এদের আইডিন্টিফাই করার সবচেয়ে কার্যকরী ও সহজ পদ্ধতি হলো অন্যের ব্যক্তিগত অধিকার ও বিষয়ে নির্লজ্জ নাক গলাবেই।
এদের অত্যন্ত ঘৃণ্য একটা কাজ হচ্ছে মিথ্যাচার ও গোজব ছড়ানো। মানুষের নামে মিথ্যা বদনাম রটানো। হিংসাত্মক হওয়া এদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য।এরা কুৎসা রটানোতে খুবই একটিভ। সারাদিন রাত এদের একটাই কাজ এর নামে ওরে, ওর নামে এরে লাগানো। মানুষে মানুষ বিচ্ছেদ সৃষ্টি করা। এদের এগুলো একসময় মানসিক যন্ত্রণা দিত। এখন এরকম কেউ করলে খুশি হই কারণ শিক্ষিত ও মেধাবীরা বুঝে গেসে এরা সাইকো হিংসুক। কোন ভালো মানুষ অহেতুক অন্যের পেছনে লাগবেনা। গীবত করবেনা।
মূলত যারা ব্যক্তি জীবনে খুবই আনহ্যাপি ও একা, খালি কলসি, এবং ক্লাসলেস তারাই অনলাইনে ফেক আই ডি থেকে মুই কি হনুরে ভাব ধরে অন্যের পেছনে লেগে ক্ষতি করে, মিথ্যা রটায়, গীবত করে।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৪৬