
থার্টি ফাস্ট নাইটে মদ খাইনা, আতসবাজি ফাটাইনা, মেয়ে নিয়ে চিল করিনা, পার্টিতে যাইনা। ৩১ তারিখ রাত ১১.৫০ মিনিটে দুই রাকাত সালাতুত তাওবা বা তওবার নামাজ পড়ি। বরাবর ১১.৫৫ টাই দুই রাকাত শুকরিয়ার নামাজ পড়ি। ১২.০০ টাই দুই রাকাত হাজতের নামাজ পড়ি।এটা শুধু আমি না, আমার পুরা পরিবার মেনে চলে। বোন খুব ভালো কেক বানায়। বড় একটা কেক কাটা হয়।মিষ্টি আনা হয়। সবাই মজা করে খাই।
আমি প্রগতিশীলতার পক্ষে। তবে যে প্রগতিশীলতা যুব সমাজকে নেশার প্রতি আকৃষ্ট করে, মেয়ে নিয়ে হোটেলে রাত কাটাতে উদ্ভুদ্ধ করে, স্বামী/স্ত্রী থাকার পরও পরকিয়া প্রেম করে একজন মানুষকে ঠকানোর ইন্ধন যোগায় আমি সে প্রগতিশীলতাকে ঘৃণা করি।
যদিও আমরা কাঠমোল্লাদের খ্যাত বলি, তবুও আমার মতে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ খ্যাত হলো তারা, যারা নিউ ইয়ার সেলিব্রেট করতে আতসবাজি ফাটাইয়া প্রচন্ড শব্দ দূষণ করে। শব্দ দূষণের যন্ত্রনায় নীড়ে ফেরা ঘুমন্ড পশু পাখিরা ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে, অসুস্থ রোগীদের কষ্ট হয়, হৃদ রোগে আক্রান্ত মানুষ গুলোর মৃত্যু হয়। সারাদিন খেটে খাওয়া মানুষ গুলো মাঝরাতে ঘুম ভাঙ্গিয়ে কষ্ট দেয়। নিজে মজা করতে গিয়ে স্রষ্টার সৃষ্টিকে যারা কষ্ট দেয় তাদের মতো আনস্মার্ট আর খ্যাত আর কে আছে?মোল্লারা ওয়াজের নামে মাইক বাজিয়ে হাউকাউ করে শব্দ দূষণ করে, মানুষের ঘুমের ডিস্টার্ব করে কথিত প্রগতিশীলরা গান বাজিয়ে বাজি ফাটিয়ে শব্দ দুষণ করে মানুষ ও জীবজন্তুর ও শিশুদের ক্ষতি করে। প্রার্থক্যটা কোথায়?

অনেক বড় বড় পার্টিতে আমন্ত্রিত হই। ২০১৫ সালের পর থেকে কখনোই উপরোক্ত নিয়ম ছাড়া থার্টি ফার্স্ট নাইট সেলিব্রেট করিনি। ভবিষ্যতে করারও কোন সম্ভাবনা নেই।
যাই হোক সামুর সকল ব্লগার, পাঠক ও মডারেশনের সবাইকে ইংরেজি নতুন বছরের শুভেচ্ছা। মডারেশনের কাছে বরাবরের মতো এবারও একটাই চাওয়া - ছাগু কাটমোল্লা হিংসুক ও সিন্ডিকেট মুক্ত ব্লগ চাই। প্রতিবার ব্লগার চাঁদগাজী যখন আনব্যান হোন আমি খানা পিনার পোস্ট দিয়ে মজা করি। এইবার আমি নিজেই নীতিমালাতে আসার ফলে পোস্ট দেয়া হয়নি। ভাবলাম আজ বছরের শেষ দিন। ব্লগে উস্তাদ চাঁদগাজীর ফ্রন্ট পেজ ব্যান মুক্ত হওয়া উপলক্ষে হালকা খানাপিনার আয়োজন হোক। চাঁদগাজীকে নিয়ে পোস্ট দিলে একজন ব্লগার খুব জেলাস হন। উনি তার কয়েকটি মাল্টি থেকে চাঁদগাজীর ব্লগিং যারা ভালোবাসেন তাদের চাঁদগাজীর চামচা - চেলাচেমেন্ডা ইত্যাদি সম্বোধন করেন। কিন্তু চাঁদগাজীর ব্লগিং যারা ভালোবাসেন তারা খুব চালাক। চামচা চেলাচেমেন্ডা এসব শব্দ প্রয়োগের কারণ যে হিংসা তা সহজে বুঝে যান এবং এগুলো কার মাল্টি সেগুলোও জানেন। ফলে তেমন পাত্তা পায়না।
যাই হোক একটু খানাপিনা হয়ে যাক।

কেক বানিয়েছে বোন - সোহামনি।

চট্টগ্রামে ছোট খাট দাওয়াতে গেলেও এতটুকু আয়োজন আপনার জন্য করা হবে।



শীতে গরম গরম ভাপা পিঠা না হলে চলে চলে?

মাটির পাতিলের ভেতর যখন গরম গরম তেহারী ঢুকিয়ে দেয়া হত তখন উহা খাওয়ার লোভ আরও বেড়ে যায়।

কবি সেলিম আনোয়ার হাঁসের মাংসের কথা মনে করাতে পোস্টে চট্টগ্রামের ঐতিহ্য বাহী রেস্টুরেন্ট বীর চট্টলার হাঁসের মাংস যুক্ত করছি। বাংলা খাবারের জন্য বীর চট্টলা অতুলনীয়।
পরিশেষে কাউকে কষ্ট দিলে (জামাত শিবির মানিসিকতার লোকজন ছাড়া) আমি স্যরি। সবাইকে হ্যাপি নিউ ইয়ার - ২০২৪।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:২৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



