
২০২৩ সালে যেসব নারীদের সাথে আর পরিচয় হয়েছে ও কাজ করার যুযোগ হয়েছে তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী ভি আই পি হলেন জয়া আহসান।জয়া বর্তমানে বাংলাদেশের সেরা সেলিব্রিটি।এমনকি সুদূর ভারতেও আছে সেরা তারকাদের তালিকায়। আরেকজন নারী বাংলাদেশ ও ভারতে সমাদৃত হয়েছে আজমেরী হক বাঁধন ও নুসরাত ফারিয়া। জয়া ৫০ বছর বয়সেও নিজের সৌন্দর্য ও ফিগার ধরে রাখায় সাথে অসাধারণ অভিনয়ের মাধ্যমে উপমহাদেশে জনপ্রিয়তার শীর্ষে। ডিভোর্স হওয়ার পর আর বিয়েই করেননি। আজমেরী হক বাঁধন একজন সিংগেল মাদার। রেহেনা মরিয়ম নুরে অসাধারণ অভিনয়ের মাধ্যমে কান চলচ্চিত্র পুরষ্কার জয়ী অভিনেত্রী তিনি। ২০২০ সালে সর্বশেষ কাজ হয় উনার সাথে। এরপর নুসরাত ফারিয়া। এই মেয়েটি নাচে গানে অভিনয়ে অনন্যা। সে বাংলাদেশের একমাত্র অভিনেত্রী যে ভারতীয় নায়িকাদের মতো নাচতে পারে। জয়া গতকাল লাইভে এসে বলেছিলেন - থার্টি ফাস্টে বাজি-টাজি ফাইটাইয়া হাউকাউ করে কারও ক্ষতি না করতে। এই নারীটিকে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী দাওয়াত দেন বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে। আমার সাথে নভেম্বরে ফটোশ্যুট করেছে। কোন অহংকার নেই। দেশের ও দেশের মানুষের প্রতি কি অকৃত্রিম ভালোবাসা।উনাকে ঘৃণা করার ১ টাও কারণ নেই। যারা ঘৃণা করে বুঝে নিতে হবে ওরা মোল্লা।

আমি আমার প্রফেশনাল ৩ জন নারীর কথা বললাম। আমাদের দেশে বিভিন্ন প্রফেশনে এরকম লক্ষ লক্ষ নারী আছেন যারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশের মুখ উজ্জ্বল করছেন। তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন তাসলিমা নাসরিন। পুরুষতন্ত্রের বিরুদ্ধে কথা বলায় উনাকে দেশ থেকে বের করে দিয়েছে হিংস্র পুরুষতন্ত্র। এই পুরুষ তন্ত্র বুঝেনা তাদের জন্মই হয় একজন নারীর পেটে।মৌলবাদী গোষ্ঠী মনগড়া ফতুয়াবাজী করে যে, নারীদের জন্ম হয়েছে পুরুষদের সেবা করার জন্য। অথচ আমাদের মা খাদিজা একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। মৌলবাদী কাঠমোল্লা গোষ্ঠী পরিবারের অধিকাংশ মেয়ে এখনো মনে করে ওরা স্বামীর দাসী। অথচ পবিত্র কোরানে আল্লাহ নারী পুরুষ উভয়কেই সমান মর্যাদা দিয়েছে।হিংস্র মৌলবাদী কাঠমোল্লা গোষ্ঠী উনাকে পছন্দ করেনা কেবলমাত্র তিনি আওয়ামী লীগ করেন, জাতীর জনককে সম্মান করেন, বেওয়ারিশ কুকুরদের পক্ষে লিখেন। এদেশের কাঠমোল্লাদের সবচেয়ে বেশী সমস্যা নুসরাত ফারিয়াকে নিয়ে। কারণ সে একটু স্টাইলিশ। নিজের মতো ড্রেসাপ করে। ভারতীয় নায়িকাদের মতো নাচে।
তবে বিভিন্ন সেক্টরে সফল নারীদের ঘৃণা করার মূল কারণ - হলো সফল-সুন্দর-স্মার্ট নারীদের কাছে পাত্তা না পাওয়া। একজন পাইলট নারী মোল্লা শ্রেণির ও সংকীর্ণ মনের কারও সাথে প্রেম করবেনা বা বিয়ে করবেনা। আঙ্গুর ফল টক হওয়ায় সকল সুন্দর ক্লাসি নারীই তাদের শত্রু। অথচ একজন নারীর হৃদয় জয় করতে একটা সুন্দর হৃদয় সবার আগে দরকার।সাথে ভালো ক্যারিয়ারও দরকার। তবে সুন্দরী নারী জয় করার ১ম যোগ্যতাটাই হইল সুন্দর মনের মানুষ হওয়া।
১ম ছবিটি নিজের তুলা। ২য় ছবিটি বাঁধনের ফেবু ওয়াল থেকে।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:৫২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



