
চট্টগ্রামের হোটেল পেনিন্সুয়ালার রুফটপ থেকে পড়ন্ত বিকেলে চট্টগ্রাম শহরের দৃশ্য। ছবিটি আমার মুবাইল থেকে তুলা।
ভ্রমণ যারা ভালোবাসেন তারা সম্ভবত অল্প অল্প করে সঞ্চয় করেন বছরে অন্তত ১/২ বার যেন ঘুরতে যেতে পারেন। বড়লোকরা যখন ইচ্ছা তখন দেশে কিংবা বিদেশে ঘুরতে যেতে পারেন। কিন্তু আমার মতো যাদের টাকা পয়সা নেই তাদের জন্য দেশই একমাত্র ভরসা।আমরা ভাগ্যবান যে, আমার দেশটা খুবই সুন্দর। আসলে জীবনকে উপভোগ করার জন্য অনেক এক্সপেনসিভ লাইফ লীড করার দরকার নেই। সুন্দর একটি মন ও একজন সত্যিকারের ভালোবাসার মানুষ থাকলে লাইফ ইজ বিউটিফুল।
আর সিম্পলটাই ক্লাসি। কথায় আছনা? "“Simplicity is the ultimate sophistication. "
কোথায় থাকবেন:
ব্লগের যারা চট্টগ্রামে ঘুরতে আসেন তাদের অধিকাংশই আত্নীয়ের বাসায় উঠেন। এতে সাশ্রয় হয় বটে।কারণ চট্টগ্রামে ২ স্টার হোটেলে উঠলেও খাওয়া-দাওয়া সহ জনপ্রতি দৈনিক ২ হাজার টাকা খরচ হবে। ২ স্টার নীচের গুলো থাকার উপযোগী নয়। তবে যাদের একটু সামর্থ্য আছে তাদের হোটেলে উঠায় ভালো। মধ্যবিত্তরা ২৫০০ টাকার মধ্যে চট্টগ্রামের জিইসি ও আর নিজাম রোড রেসিডেন্সিয়াল এরিয়ার ১ নং রোডে হোটেল এম্বাসাডরে উঠবেন।২৫০০ টাকার মধ্যে সিংগেল বেড এর রুম ও ৩২০০ টাকার মধ্যে ডাবল বেড এর রুম পাবেন। বাজেট আরেকটু বেশী থাকলে একই স্থানে হোটেল ওয়েল পার্কে উঠতে পারেন তবে এখানে খাবার খুবই এক্সপেন্সিভ। চট্টগ্রামের জিইসি এরিয়াটা ঢাকার গুলশান বনানীর মতো। আর যারা বড়লোক তারা আমাদের নতুন এনপি রুহেল সাহেবের পেনিনসুলায় উঠে যান। এটা ৪ তারকা হোটেল। ব্লগারদের মধ্যে ব্লগার শূন্য শারমর্মকে নিয়ে এই হোটেলের রুফটপে আড্ডা দিয়েছিলাম। পরিবেশ, বিহেবিয়র, ফুড কোয়ালিটি ১০/১০। এই হোটেলে আছে বার ও শিশা বার। যাদের ওকেশানালি হালকা এগুলো এনজয় করার অভ্যাস আছে তাদের জন্য পারফেক্ট। একদম সিকিউর ও খুবই ক্লাসি। জিইসি ছাড়া অন্যান্য এলাকায় থাকার হোটেল আছে। কিন্তু পরিবেশ অত উন্নত না। খ্যাত টাইপ বেশী। পেনিনসুলার রুফটপ থেকে রাতের চট্টগ্রাম শহরের দৃশ্য দেখলে আপনি নস্টালজিক হয়ে যাবেন। মনে হবে উন্নত বিশ্বের কোন শহর।
কোথায় ঘুরবেন:
কমন জায়গা গুলো যেমন ভাটিয়ারী নেভাল কাপ্তাই সী বিচ, গুলিয়াখালীর সী বীচ এগুলো তো কমন। তবে হাতে সময় কম থাকলে শহরের মধ্যেই - কয়েকটা স্থানে ঘুরতে যেতে পারেন।যেমন: রাত ১০ টার পর বঙ্গবন্ধু ট্রানেল একটা ড্রাইভ দিতে পারেন। পারসোনাল গাড়ি না থাকলে উবার নিতে পারেন। মাটিটা একটা স্পট আছে। শহরের অদূরে কোলাহল মুক্ত পরিবেশে প্রকৃতির কাছাকাছি থাকতে মাটিটা অতুলনীয়। এখানে রিসোর্ট আছে। তবে একটু এক্সপেন্সিভ। কর্ণফুলী ব্রীজ দেখতে যেতে পারেন। অভয় মিত্র ঘাটে যেতে পারেন।যদি আপনি পাহাড় এবং লেক পছন্দ করেন তবে ফয়'স লেক যেতে পারেন। এখানে ৪০০০ থেকে ১০০০০ এর মধ্যে রিসোর্ট ও বাংলো আছে। ভুলেও এখানে খাবেন না। এটা অনেকটা ফ্যান্টাসি কিংডম এর মতো।
কোথায় খাবেন:
যারা বাংলা খাবার পছন্দ করেন তারা জিইসিতেই অনেক গুলো ভালো হোটেল পেয়ে যাবেন। তবে ইফকো কমপ্লেক্স সংলগ্ন জামান হোটেলে খাওয়ার চেষ্টা করবেন। টিক্ষা/কাবাবের জন্য স্টেডিয়াম সংলগ্ন রয়েলহাট এখন পর্যন্ত বেশ প্রশংসিত।তাছাড়া একই স্থানে রেড চিলি নামক একটা রেস্টুরেন্ট আছে।রেস্টুরেন্টটি চট্টগ্রাম ৯ থেকে নবনির্বাচিত এমপি মহিউদ্দিন বাচ্চুর। এখানে রাস্তার ধারের একটা স্টলে মালাই চা পাওয়া যায়। মাটির হাড়িতে বিক্রি হয়। খেতে অসাধারণ। মেজবানি পছন্দ করলে - মেজ্জান হাইলি আইয়ুন, হাঁসের মাংস জাতীয় খাবার পছন্দ করলে বীর চট্টলা। অনেক গুলো ভালো রেস্টুরেন্ট আছে। কম খরচে সুস্বাদু খাবারের জন্য জিইসির ইফকো জামান বেস্ট। (এখানে কিন্তু ২ জামান হোটেল, ইফকো কমপ্লেক্স এর জামানেই যাবেন)|






১ নং ছবিতে - চট্টগ্রাম হোটেল পেনিন্সুয়ালার রুফটপ থেকে। একটি ছবি কর্নফুলী ব্রীজ ঘাটের। বাকি ছবিগুলো মাটিটার।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:১২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



