
প্রিয় ব্লগার ও পাঠক সমীপে:
এই পোস্টটি মৌলবাদী বা মোল্লা মানসিকতার পঠকদের জন্য নয়। এই পোস্ট আপনাকে কষ্ট দিতে পারে তাই দয়া করে পোস্টটি এড়িয়ে যান।
উপরের ছবিতে যাকে দেখতে পাচ্ছেন সে একজন সিংগেল মাদার ও দেশের বিখ্যাত ও আন্তর্জাতিক মানের একজন ডিজে এর জিএফ।শুধুমাত্র মডেল হওয়ার অপরাধে ১ম সংসার ভেঙ্গেছে। সেদিন দ্যা বিজনেস স্টান্ডার্ড এ দেখলাম ঢাকায় লিভিং কস্ট টরন্টো, মন্ট্রিল ও লিভসন এর কাছাকাছি। এখন উপরের সিংগেল মাদার যদি নিজের মেয়েকে নিয়ে সম্মানের সাথে মাথা উঁচু করে বাঁচার জন্য মডেলিংকে প্রফেশন হিসেবে বেছে নেয় - মোল্লারা মনগড়া ফতুয়া দিচ্ছে ওদের ইনকাম হারাম।
পোস্টের শুরুতে আমার পাঠকদের মনে করিয়ে দিতে হচ্ছে যে - এটা ২০২৪ সাল। ১৪০০ বছর আগের বিশ্বের সাথে বর্তমান বিশ্ব মিলবেনা। ১৪০০ বছর আগে ডিজে নামক কোন শব্দ পর্যন্ত উৎপত্তি হয়নি।কিন্তু ২০২৪ এ ডিজে একটা প্রফেশান।
ডিজে সোনিকার নাম অনেকেই শোনেছেন - ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিসে - " ডিজে এবং প্রস্টিটিউট দুইটা আলাদা প্রফেশন। আমাদের দেশের মানুষ প্রস্টিটিউট দের কে ডিজে মনে করে আর ডিজে কে প্রস্টিটিউট মনে করে।
যারা প্রস্টিটিউশন পেশার সাথে জড়িত তারা প্রকাশ্যে আসুন।ব্লা ব্লা ব্লা -"।
আসলে সে তার সব পোস্টে নোংরা মানসিকতার বস্তি ক্লাসের মোল্লা লোকজনের মন্তব্যে খুবই বিরক্ত। কথা নাই বার্তা নাই হুট করে -;কমেন্ট করছে - প্রস - নটি - নষ্টা। আমাদের অধিকাংশ সেলিব্রিটি এগুলো নিয়ে বোদারড না। পাত্তাই দেয়না। কিন্তু কতক্ষণ সহ্য করা যায় ! পরিমনি সেই যে তার পোস্টে কমেন্ট অপশন বন্ধ করছে এখনো ওপেন করেনি নোংরা মন্তব্যকারীদের যন্ত্রণাতে। তার একটাই অপরাধ সে সিনেমা করে, একজন নায়িকা।
এই ব্লগের কথা বলি। এই ব্লগে ৩৫/৪০ জন এক্টিভ ব্লগার আছি আমরা। আমি মিডিয়া ও এই প্রফেশন এর লোকজন নিয়ে লিখি। মোল্লাদের নোংরামির বিরুদ্ধে লিখি। শুধু মাত্র মোল্লা মানসিকতার ও উগ্রবাদী জঙ্গি টাইপের লোকদের মত মন্তব্য করায় আমাকে ১৩ জনকে ব্লক করে রাখতে হইছে। ১০ জন আমার পোস্টে অপছন্দ, বিরক্তি, ঘৃণা ও হিংসার কারণে মন্তব্য করেনা। বাকি থাকে ১২-২০ জন। এবার হিসেব করুন ১৮ কোটি মানুষের কত % মানুষ মিডিয়া প্রফেশানালদের ও যারা ভন্ড মোল্লাদের নোংরামির বিরুদ্ধে লিখে তাদের অসম্মান করার মানসিকতা সম্পন্ন!
সেদিন আমার খুবই পছন্দের একজন ফ্যাশন মডেল - মাইশাকে নক দিলাম। অবাক হলাম কারণ বয়স কম। মিডিয়া এমন একটা জগৎ এখানে বিয়ে হয়ে গেলেই কাজ কমে যায়।তাই মডেল/নায়িকারা তাড়াতাড়ি বিয়ে করতে চায়না। আর বাচ্চা হয়ে গেলে তো একেবারেই বাদ। এখন অনেকেই জিজ্ঞেস করতে পারেন তাহলে এই প্রফেশানের তো ভবিষ্যৎ নেই। ধারণাটা সঠিক নয়। ফ্যাশন মডেলরা যদি একটু শিক্ষত হয় অর্থাৎ গ্রাজুয়েশন শেষ করে - মারাত্নক স্মার্ট এবং গুড লুকিং হওয়ার কারণে চাকরির অভাব হয়না। এছাড়াও মডেল থাকা কালীন ওরা যে টাকা ইনকাম করে তা দিয়ে নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা ব্রান্ড ক্রিয়েট করে। মডেল হওয়ার বেনিফিট বর্ণনা করতে গেলে বলতে হয় - আপনি দেখবেন বাংলাদেশের সি-গ্রেড মডেল দের জামাইও কোটিপতি। মাইশার কথা বলছিলাম। সে বাংলাদেশের এ গ্রেড মডেল। হানিমুনে থাইল্যান্ড গেসে। সবচেয়ে এক্সপেন্সিভ হোটেল বুক করছে জামাই এর সাথে। একটা শুটের জন্য নক দিলাম। রেসপন্স নেই ৩ দিন। হোয়াটস এপে নক দিলাম। সীন করছে। বলে ভাইয়া আমি থাইল্যান্ড জামাই এর সাথে। বিয়ে করছে দেশের এক শীর্ষ স্থানীয় শিল্পপতির ছেলেকে। তার স্টাগল এর কথা আমি জানি। বাংলাদেশের মতো একটি দেশে যেখানে অর্ধেকেরও বেশী মানুষ কোন না কোনভাবে মৌলবাদী সেখানে মডেলিংকে প্রফেশন হিসেবে নেয়া খুবই চ্যালেঞ্জিং। সে রিল্পাই দিল ভাইয়া আর মডেলিং করবনা। আসলে বিয়ে হয়ে গেসে শ্বশুর বাড়ীর কেউ চাইনা। অনেক আত্নীয় স্বজন নাকি ছি: ছি: করছে মডেল বিয়ে করায়! তাই মডেলিং ছেড়ে দিসে। সত্যি সেলুকাস বড়ই বিচিত্র এই দেশ।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:০৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



