
ছবিতে যাকে দেখতে পাচ্ছেন সে একটা পাগলি। ইমোশানাল ফুল আর কি। সে বাংলাদেশের মতো একটি দেশে জন্ম নিয়ে মেয়ে হিমু হতে চায়। এমন বেকুব মেয়ে আর আছে? বলেনতো? বিস্তারিত ভেতরের আলোচনা হয়েছে। আমার পাঠকদের উদ্দেশ্যে বরাবরের মতো অনুরোধ আপনি যদি একজন নারী বিদ্বেষী হোন অনুগ্রহ করে পোস্টটি এড়িয়ে যান। কারণ পোস্টটি আপনাকে কষ্ট দিতে পারে।
একটি মেয়ে। জিন্স টপস পরে।দেখতে স্মার্ট। ব্যাকগ্রাউন্ড ইংলিশ মিডিয়াম।কিন্তু রেপড হচ্ছে।আরেকটি মেয়ে ওয়েস্টার্ন এর সাথে হিজাব করে। সেও দেখতে স্মার্ট। বাংলা মিডিয়াম। সেও রেপড হচ্ছে। আর অন্য একজন বোরকা নেকাব দুইটাই পরে।দেখতে কেমন বুঝার উপায় পর্যন্ত নেই। সেও রেপড হচ্ছে। আসলে ড্রেসাপ খুবই ইম্পর্ট্যান্ট। হিজাব করলে কেউ যেমন আনস্মার্ট না ঠিক তেমনি ওয়েস্টার্ন পড়লেও কেও অধার্মিক না। প্রভু মহাগ্রন্থ আল কোরানে পর্দার কথা বলেছেন। আসলে আমার মনে হয় তিনি যে পর্দার কথা বলেছেন সেটা আসলে সাংকেতিক রূপ। তিনি পর্দা বলতে নিজের মগজ ও যৌনাঙ্গকে সংযত রাখতে বলেছেন।
খেয়াল করলে দেখবেন - একজন ধর্ষকের কাছে নারী কি ড্রেস পরছে এটা কখনই মেটার করেনা। ধর্ষক সুযোগ পেলে নারী পুরুষ শিশু বৃদ্ধা সবাইকে রেপ করতে চিন্তা করেনা কারণ তার মগজের পর্দা উঠে গেছে। ফলে তা বিকৃত হয়ে গেসে। আবার এই ব্লগের যেকোন ব্লগারের সামনে যদি কোন মেয়ে বিকিনি পরেও ঘুরে বেড়ায় কেউ রেপ করবেনা। কারণ এখানে সবাই নিজেদের মগজকে কন্ট্রোল রাখার মতো শিক্ষিত ও বিবেকবোধ সম্পন্ন। একজন বিকৃত মগজের রেপিস্ট বোরখা পড়া কোন মেয়েকে রস্তায় একা পেলে রেপ করবে। অন্যদিকে একজন সুস্থ মস্তিস্কের মানুষ কখনোই সে কাজ করবেনা। পুরা ব্যাপারটি হলো মাইন্ডসেট এর। আর বিজ্ঞান বলছে মানুষের মন মগজের সাথে একনিষ্ঠ ভাবে সংযুক্ত। ব্রেন বা মগজ বিহীন মনের কোন নিজস্বতা নেই। তাই যারা বলে ধর্ষণের জন্য পোশাক দায়ী ওরাও একপ্রকার বিকৃত মস্তিষ্কের ধর্ষক সমতুল্য। যদিও আমরা তাদের মানসিক বিকারগ্রস্ত বলি আসলে শব্দটি হবে মগজিক বিকারগ্রস্ত।
একজন ধর্ষণ করছে অন্যজন নিরীহ পোষাকের দোষ দিয়ে ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধকে আড়াল করছে। ফলে দুইটাই ধর্ষক। একজন নিজে ধর্ষন করছে আরেকজন ধর্ষনকারীর অপরাধ আড়াল করতে মরিয়া। যারা ধর্ষণের জন্য পোশাককে দায়ী করে ওদেরকে আমরা মৌলবাদী বললেও মানসিক থুক্কু মগজিক বিকারগ্রস্ত কিন্তু বলিনা।
ছবিতে যাকে দেখতে পাচ্ছেন তার খুব ইচ্ছা সে হিমু হবে। মধ্যরাতে পকেট বিহীন হলুদ পাঞ্জাবি পরে খালি পায়ে হাটবে। রাস্তাঘাটে অস্বাভাবিক আচরণ ও কথা বলায় পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে যাবে। থানায় যাওয়ার পর সে অসির সাথে রসিকতা করবে। একপর্যায়ে ওসি মনে করবে ও পাগল। তারপর ছেড়ে দিবে। হিমু যেমন রূপাকে ভালোবাসে কিন্তু কখনোই বিয়ে করেনা বা ডেট করেনা কারণ মহাপুরুষগণ কখনো প্রেম বিবাহ এগুলো করেনা, ঠিক তেমনি তারও একটা বয়ফ্রেন্ড থাকবে। যাকে রাত দুটো'ই ফোন সে বের হতে বলবে। বের হয়ে দেখবে সে নিরুদ্দেশ হয়ে গেসে। তারপর বলবে - হিমুরা কখনোই বয়ফ্রেন্ড এর সাথে রাতের শহরে হাত একা হাঁটেনা।এগুলো নরমাল প্রেমিক প্রেমিকার কাজ। মহাপুরুষ সাধারণ মানুষের মতো আচরণ করলে চলবে। এক কথায় হুবুহু হিমু যেমন সেও তেমন হবে। ২/৩ দিন হিমুর মতো লাইফ লিড করার পর সে বুঝলো আমাদের দেশে মেয়েদের হিমু হওয়া অসম্ভব। কারণ এখানে একটি মেয়ে রাতের বেলা হলুদ পাঞ্জাবি পড়ে খালি পায়ে হলুদ পাঞ্জাবি পরে হাঁটলে ধর্ষকরা এর পরের দিন জাতীকে মেয়েটির লাশ উপহার দিবে। পত্রিকার শিরোনাম গুলো কি হবে জানিনা। তবে এই দেশের বিকৃত মস্তিষ্কের জঘন্য মানসিক রোগীরা বলবে - "ভালোই হইছে -রাতের বেলা ঘুরে বেড়াবে অথচ ধর্ষণ করবেনা তা হয় নাকি। অর্থাৎ সব দোষ দিবে হিমু হতে চাওয়া মেয়েটার। ধর্ষকগণ অত্যন্ত নিরীহ ও নিরপরাধ। রাস্তায় একা ঘুরে বেড়ান মেয়েদের রেপ করা ধর্ষকদের অধিকার "
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:৩০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



