আমরা পৃথিবীর একমাত্র জাতী যারা নিজেদের স্বাধীনতার জন্য একই সাথে নিজস্ব ভাষায় কথা বলার জন্য প্রাণ দিয়েছি। এখানে মুসলিম হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান চাকমা মারমা তথা উপজাতীরা সুখে শান্তিতে বসবাস করে। উপমহাদেশের অসাম্প্রদায়িক দেশ হিসেবে ভারত, খাপোলাস্থান,বার্মা থেকে আমরা এগিয়ে। ৫% জঙ্গি রাজাকার ছাড়া ৯৫% মানুষ উৎসব এলে একত্রে মজা করে। এক যুগ আগেও আমরা - "গ্রামের নওজোয়ান হিন্দু মুসলমানরা মিলে বাউলা গান মুর্শিদি গাইতাম"। কিন্তু অত্যন্ত দু:খের বিষয় ৫% জঙ্গি রাজাকারেরা ঈদ পূজা বৈশাখ এলে এমন একটা অবস্থা করে যে, দেখে মনে হয় কেউ যেন ঈদের জামা কাপড়, বৈশাখের ডাক-ঢোল, পূজার প্রতিমা, দেশের ঐতিহ্য ভাষ্কর্য গুলো ওদের পেছন দিক দিয়ে ঢুকায় দেয়। এই রাজাকার জঙ্গি গোষ্টীর মতে গান হারাম, আনন্দ হারাম, মেলা হারাম,আলপনা হারাম, গায়ে হলুদ হারাম, নাচ হারাম, নাটক হারাম, হিন্দু-মুসলিম বন্ধুত্ব হারাম, প্রেম হারাম, ভালোবাসা হারাম, বিয়ে হারাম, ফেসবুকিং হারাম, ব্লগিং হারাম। রাজাকারের বাচ্চারা তাহলে হালাল কি কি একটা লিস্ট দে।
আসলে বড় অভাগা জাতী আমরা। মৌলবাদী নামক এই অভিশাপ আমাদের জাতীর ঘাড়ে চেপে বসে অনবরত পেছনে টানছে। পৃথিবী যখন দিনে দিনে কুসংস্কার অন্ধকারকে জয় করে চাঁদের মত একটা একটা গ্রহ উপগ্রহকে জয় করছে তখন মৌলবাদী রাজাকার জঙ্গিরা দেশের তরুণ প্রজন্মের একটি বড় অংশকে ব্রেন ওয়াশ করে অন্ধকারে নিমজ্জিত করছে। মসজিদের ভেতর বোমা মেরে মুসল্লি হত্যা, বাস পুড়ে মানুষ হত্যা, শিশু ববলৎকার, বৈশাখী মেলায় বোমা হামলা, বটতলায় কোরানকে বিক্রি করে জঙ্গিবাদ কায়েম, কন্যা সন্তানদের আইয়ামে জাহেলিয়ান দের মতো গৃহবন্ধী (সম্ভব হলে জিবীত কবর দিত), কুকুর বিড়াল হত্যা, মোটাদাগে এমন কোন পাপাচার নেই এই খাপোলারা করেনা। এই জঙ্গি দের অধিকাংশ মুখুশ পড়া। এফ গ্রেডের মাদ্রাসা ক্লাসের জঙ্গিরা সুশীল শিক্ষিত ভেক ধরে, ফেক আইডি থেকে জঙ্গিবাদ ও দেশদ্রোহিতা মূলক কার্যক্রম চালায়। নিজদের বক্তব্যের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে আই ডি গুলোর নামের সাথে বিভিন্ন নামি দামি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম যুক্ত করে দেয়। পরিচয় দেয় ইউরোপ আমেরিকায় থাকে।
১লা বৈশাখে কটা কর্পোরেট কোম্পানি মিলে একটি সড়ক রঙ করেছে। এই বো*চু* রা হাউ কাউ শুরু করছে।অথচ এই জঙ্গি রাজাকার গোষ্ঠী সমকামিতা কিংবা শিশু বলৎকার করে ব্যবহৃত কনডম জানালা দিয়ে ছুড়ে ফেলছে। কোন এক কোমলপ্রাণ এতিম শিশুকে ধর্ষণ করতে করতে সমকামিতা স্প্রেড এর অভিযোগে আড়ং বয়কট এর ডাক দিয়েছে। সড়ক আলপনা এর বিরোধিতা কারী রাজাকার জঙ্গি দের উদ্দেশ্যে ব্লগার হাসান কালবৈশাখী ভাই এর চমৎকার মন্তব্য এখানে তুলে ধরছি - "পহেলা বৈশাখ সফল হয়েছে। মঙ্গল শোভাযাত্রাও সফল।
সমস্যা হচ্ছে দেশের ৫% মৌলবাদি। এদের জ্বলছে।
জাতিয়তাবাদি বা বিএনপির বৈশাখ বিরোধিতার কথা না, ২০২০ পর্যন্ত করে নি। যারা বিএনপি সেজে অন্তরে আলবদর তন্ত্র লালন করে তাদের কথা আলাদা।
এরা সরাসরি পহেলা বৈশাখের বিরোধিতা করতে পারতেছে না। তাই আমাদের দেশের কিছু ভন্ড ধর্মান্ধ আর বুয়েট মাদ্রাসার কিছু মৌলবি পরিবেশ বিশেষজ্ঞ হনুমান বিশেষজ্ঞ সেজেছে।
চুলকানির আরেক জায়গা হচ্ছে আলপনার মতো জিনিস। আলপনার ভিতরেও কট্টর মোল্লাদের মত হিন্দুয়ানী খুৃঁজে'
শুধু আলপনাই না, এদের আরো অনেক কিছুতেই সমস্য।
জাতীয় সংগিতে আপত্তি, রবীন্দ্রনাথ রবীন্দ্র সংগিতেও
জাতীয় পতাকায়ও আপত্তি মুক্তিযুদ্ধ, ১৬ ডিসেম্ব্র ৭ইমার্চ নিয়েও বিতর্ক, ৩০ লাখ গণহত্যার সংখা নিয়েও আপত্তি। মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সহায়তা নিয়েও চক্রান্ত খুজে। আর প্রচন্ড নারী বিরোধিতা, নারীর পোষাক নিয়েতো আছেই।
বঙ্গবন্ধুকেও বেয়াদবের মত নাম ধরে ডাকে। "
ছবি গুলো দেখুন। ছবিতে লিনা। ১ লা বৈশাখ উপলক্ষে বাঙালী ললনারা শাড়ি পরলে, মাথায় ফুল দিলে কি অতুলনীয় লাগে। বছরের ১ টা দিন সব ধর্মের লোক মিলে একটু মজা করলে ছাগুদের কোন ক্ষতি নেই। অথচ চিরদুঃখী বাঙালী জাতীর এই সামান্য সুখ/আনন্দ ছোটলোক জঙ্গি রাজাকার দের সহ্য হয়না। এদের উদ্দেশ্যে মাওলানা ভাষানী আক্ষেপ করে বলেছেন - "শোনো ধর্ম আর দেশ মিলাইতে যাইয়োনা, পরে ফুলের নাম কী দিবা? ফাতেমা-চূড়া? "
আসুন জঙ্গি,রাজাকার, কাঠমোল্লা ও বিম্পি ভেক ধরা রাজাকার দের কানে ধরে পাকিস্তান পাঠিয়ে একটি অসাম্প্রদায়িক, কুসংস্কার মুক্ত, স্মার্ট ও স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ি।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৩