somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মোহাম্মদ গোফরান
জামাত শিবির,ধর্মান্ধ মোল্লা ও একটি নির্দিষ্ট ধর্ম বিদ্বেষী মুক্ত ব্লগ।আপনার প্রতি আমি কেমন ব্যাবহার করব তা আপনার আচরণের উপর নির্ভর করবে।সত্য মিথ্যা যাচাই না করে অন্যের কথার উপর ভিত্তি করে যদি আমার উপর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন,তাহলে আমার বন্ধু হওয়ার দরকার নেই।

প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন?

১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




আমরা পৃথিবীর একমাত্র জাতী যারা নিজেদের স্বাধীনতার জন্য একই সাথে নিজস্ব ভাষায় কথা বলার জন্য প্রাণ দিয়েছি। এখানে মুসলিম হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান চাকমা মারমা তথা উপজাতীরা সুখে শান্তিতে বসবাস করে। উপমহাদেশের অসাম্প্রদায়িক দেশ হিসেবে ভারত, খাপোলাস্থান,বার্মা থেকে আমরা এগিয়ে। ৫% জঙ্গি রাজাকার ছাড়া ৯৫% মানুষ উৎসব এলে একত্রে মজা করে। এক যুগ আগেও আমরা - "গ্রামের নওজোয়ান হিন্দু মুসলমানরা মিলে বাউলা গান মুর্শিদি গাইতাম"। কিন্তু অত্যন্ত দু:খের বিষয় ৫% জঙ্গি রাজাকারেরা ঈদ পূজা বৈশাখ এলে এমন একটা অবস্থা করে যে, দেখে মনে হয় কেউ যেন ঈদের জামা কাপড়, বৈশাখের ডাক-ঢোল, পূজার প্রতিমা, দেশের ঐতিহ্য ভাষ্কর্য গুলো ওদের পেছন দিক দিয়ে ঢুকায় দেয়। এই রাজাকার জঙ্গি গোষ্টীর মতে গান হারাম, আনন্দ হারাম, মেলা হারাম,আলপনা হারাম, গায়ে হলুদ হারাম, নাচ হারাম, নাটক হারাম, হিন্দু-মুসলিম বন্ধুত্ব হারাম, প্রেম হারাম, ভালোবাসা হারাম, বিয়ে হারাম, ফেসবুকিং হারাম, ব্লগিং হারাম। রাজাকারের বাচ্চারা তাহলে হালাল কি কি একটা লিস্ট দে।



আসলে বড় অভাগা জাতী আমরা। মৌলবাদী নামক এই অভিশাপ আমাদের জাতীর ঘাড়ে চেপে বসে অনবরত পেছনে টানছে। পৃথিবী যখন দিনে দিনে কুসংস্কার অন্ধকারকে জয় করে চাঁদের মত একটা একটা গ্রহ উপগ্রহকে জয় করছে তখন মৌলবাদী রাজাকার জঙ্গিরা দেশের তরুণ প্রজন্মের একটি বড় অংশকে ব্রেন ওয়াশ করে অন্ধকারে নিমজ্জিত করছে। মসজিদের ভেতর বোমা মেরে মুসল্লি হত্যা, বাস পুড়ে মানুষ হত্যা, শিশু ববলৎকার, বৈশাখী মেলায় বোমা হামলা, বটতলায় কোরানকে বিক্রি করে জঙ্গিবাদ কায়েম, কন্যা সন্তানদের আইয়ামে জাহেলিয়ান দের মতো গৃহবন্ধী (সম্ভব হলে জিবীত কবর দিত), কুকুর বিড়াল হত্যা, মোটাদাগে এমন কোন পাপাচার নেই এই খাপোলারা করেনা। এই জঙ্গি দের অধিকাংশ মুখুশ পড়া। এফ গ্রেডের মাদ্রাসা ক্লাসের জঙ্গিরা সুশীল শিক্ষিত ভেক ধরে, ফেক আইডি থেকে জঙ্গিবাদ ও দেশদ্রোহিতা মূলক কার্যক্রম চালায়। নিজদের বক্তব্যের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে আই ডি গুলোর নামের সাথে বিভিন্ন নামি দামি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম যুক্ত করে দেয়। পরিচয় দেয় ইউরোপ আমেরিকায় থাকে।


১লা বৈশাখে কটা কর্পোরেট কোম্পানি মিলে একটি সড়ক রঙ করেছে। এই বো*চু* রা হাউ কাউ শুরু করছে।অথচ এই জঙ্গি রাজাকার গোষ্ঠী সমকামিতা কিংবা শিশু বলৎকার করে ব্যবহৃত কনডম জানালা দিয়ে ছুড়ে ফেলছে। কোন এক কোমলপ্রাণ এতিম শিশুকে ধর্ষণ করতে করতে সমকামিতা স্প্রেড এর অভিযোগে আড়ং বয়কট এর ডাক দিয়েছে। সড়ক আলপনা এর বিরোধিতা কারী রাজাকার জঙ্গি দের উদ্দেশ্যে ব্লগার হাসান কালবৈশাখী ভাই এর চমৎকার মন্তব্য এখানে তুলে ধরছি - "পহেলা বৈশাখ সফল হয়েছে। মঙ্গল শোভাযাত্রাও সফল।
সমস্যা হচ্ছে দেশের ৫% মৌলবাদি। এদের জ্বলছে।
জাতিয়তাবাদি বা বিএনপির বৈশাখ বিরোধিতার কথা না, ২০২০ পর্যন্ত করে নি। যারা বিএনপি সেজে অন্তরে আলবদর তন্ত্র লালন করে তাদের কথা আলাদা।
এরা সরাসরি পহেলা বৈশাখের বিরোধিতা করতে পারতেছে না। তাই আমাদের দেশের কিছু ভন্ড ধর্মান্ধ আর বুয়েট মাদ্রাসার কিছু মৌলবি পরিবেশ বিশেষজ্ঞ হনুমান বিশেষজ্ঞ সেজেছে।

চুলকানির আরেক জায়গা হচ্ছে আলপনার মতো জিনিস। আলপনার ভিতরেও কট্টর মোল্লাদের মত হিন্দুয়ানী খুৃঁজে'

শুধু আলপনাই না, এদের আরো অনেক কিছুতেই সমস্য।

জাতীয় সংগিতে আপত্তি, রবীন্দ্রনাথ রবীন্দ্র সংগিতেও
জাতীয় পতাকায়ও আপত্তি মুক্তিযুদ্ধ, ১৬ ডিসেম্ব্‌র ৭ইমার্চ নিয়েও বিতর্ক, ৩০ লাখ গণহত্যার সংখা নিয়েও আপত্তি। মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সহায়তা নিয়েও চক্রান্ত খুজে। আর প্রচন্ড নারী বিরোধিতা, নারীর পোষাক নিয়েতো আছেই।
বঙ্গবন্ধুকেও বেয়াদবের মত নাম ধরে ডাকে। "


ছবি গুলো দেখুন। ছবিতে লিনা। ১ লা বৈশাখ উপলক্ষে বাঙালী ললনারা শাড়ি পরলে, মাথায় ফুল দিলে কি অতুলনীয় লাগে। বছরের ১ টা দিন সব ধর্মের লোক মিলে একটু মজা করলে ছাগুদের কোন ক্ষতি নেই। অথচ চিরদুঃখী বাঙালী জাতীর এই সামান্য সুখ/আনন্দ ছোটলোক জঙ্গি রাজাকার দের সহ্য হয়না। এদের উদ্দেশ্যে মাওলানা ভাষানী আক্ষেপ করে বলেছেন - "শোনো ধর্ম আর দেশ মিলাইতে যাইয়োনা, পরে ফুলের নাম কী দিবা? ফাতেমা-চূড়া? "

আসুন জঙ্গি,রাজাকার, কাঠমোল্লা ও বিম্পি ভেক ধরা রাজাকার দের কানে ধরে পাকিস্তান পাঠিয়ে একটি অসাম্প্রদায়িক, কুসংস্কার মুক্ত, স্মার্ট ও স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ি।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৩
১৪টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তীব্র তাপদাহ চলছে : আমরা কি মানবিক হতে পেরেছি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৯

তীব্র তাপদাহ চলছে : আমরা কি মানবিক হতে পেরেছি ???



আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকির মুখে আছি,
আমাদেরও যার যার অবস্হান থেকে করণীয় ছিল অনেক ।
বলা হয়ে থাকে গাছ না কেটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্যবহারে বংশের পরিচয় নয় ব্যক্তিক পরিচয়।

লিখেছেন এম ডি মুসা, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৫

১ম ধাপঃ

দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে কত মানুষের সাথে দেখা হয়। মানুষের প্রকৃত বৈশিষ্ট্য আসলেই লুকিয়ে রাখে। এভাবেই চলাফেরা করে। মানুষের আভিজাত্য বৈশিষ্ট্য তার বৈশিষ্ট্য। সময়ের সাথে সাথে কেউ কেউ সম্পূর্ণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×