হিন্দু ভাই বোনদের বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা। আমাদের এই বাংলাদেশ। হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান পাহাড়ি সমতল কিংবা মুসলিম। সবাই মিলে এই দেশ। সং্খ্যলঘু বা সং্খ্যগুরু নামক জঘন্য বিষয় আমার ভালো লাগেন। আমি একজন মডারেট মুসিলিম। আমার ধর্ম আমারে শিক্ষা দেয় অন্য ধর্মের লোকেদের সম্মান করা আমার ঈমানী দায়িত্ব। কারণ ইহা আমার রবের নির্দেশ। যদি আমি তা না মানি তাহলে আমি মুসলিমই না। অন্য একটি ধর্মের লোকেরা পুজা সেলিব্রেট করছে সেখানে গিয়ে ইসলামি গান গাওয়া শুধু পুজা পালনকারী দের প্রতি অত্যাচারই না বরং সরাসরি পবিত্র দ্বীন ইসলামকে অসম্মান অবমাননা ও হেয় প্রতিপন্ন করা।
প্রিয় হিন্দু ভাই-বোন গণ,
অনুগ্রহ অনুগ্রহ করে বাংলাদেশের কথিত ইসলামি দলগুলোকে দিয়ে ইসলাম ধর্মকে মূল্যায়ন করবেন না। আমরা মুসলিমগণ নবী মুহাম্মদ স: কে নবী রাসুল ও নেতা মানি। তিনি বলেছেন যারা অমুসলিম দের উপর অত্যাচার ও জুলুম করে তারা আল্লাহ ইসলাম ও নবীর দুষমন। আমরা ডে অফ জাজমেন্টে বিশ্বাস করি। মুহাম্মদ স: বলেছেন - ডে অফ জাজমেন্ট এ তিনি সে মুসলিম দের বিরুদ্ধে সাক্ষী দিবেন যারা অমুসলিম দের উপর অত্যাচার করেছে।
আপনারা যদি মিডল ইস্টে ঘুরতে যান দেখবেন সেসব দেশে অন্য ধর্মের লোকেদের সর্বোচ্চ সম্মান ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। বিশেষ করে আপনি যদি দুবাই যান সেখানে ল্যাংটা হাটলেও আপনি নিরাপদ।
আমি জানি আপনারা এই পূজায় ভালো নেই। ভারাক্রান্ত মন। জঙ্গি হামলার ভয় আপনাদের মন ভরে পুজা করতে দেয়নি। কিন্তু আপনারা ধৈর্য্য হারা হবেন না। জালিমের পতন অনিবার্য। শুধু কিছু সময়ের অপেক্ষা। জীবন একটাই। মৃত্যু অনিবার্য। দেখুন ঢাবিয়ান নামক একজন হত্যার উদ্দেশ্যে তার সাথে যাদের মতের অমিল তাদের তালিকা প্রস্তুত করেছে। হাসিনার পতনের পরের দিন ভুয়া মফিজ নামক একজন মন্তব্য করছিল "কেউ যেন পোস্ট ও মন্তব্য ডিলিট করতে না পারে"। তারপরও দেখুন আমি নিজের নামে লিখছি। কারণ আমি জানি আমার মওত ঠিক সেভাবে হবে যেভাবে আল্লাহ আমার মওত লিখে রাখছেন। আর এটাই ঈমান।
ছবি- আমি।
আমার সাথে কয়েকজন হিন্দু সহকর্মী কাজ করেন। আমরা যেমন ঈদের ড্রেস এর জন্য একসাইটেড থাকি, ওরাও পুরা বছর পূজার জন্য অপেক্ষা করে। পুজার জন্য স্পেশাল শাড়ি কিনে। উপরে দেয়া ছবিটি দেখুন। বাঙালী নারী কোন উৎসবে যখন শাড়ি পরে তাকে অপরূপা লাগে। কিন্তু অধিকাংশ মৌলবাদীরা যেহেতু পুরুষের প্রতি এডিকটেড তাই নারীর সৌন্দর্যের প্রতি জেলাস।
মন্টপে গিয়ে ইসলামি গজল গাওয়া,কট্টর উগ্রবাদী হয়েও তাদের মন্টপে গিয়ে মন্ত্র পড়া ভন্ডামি ও নষ্টামি। অনুগ্রহ করে ভন্ড ও নষ্ট ও কোরানের নির্দেশ অমান্যকারীদের দিয়ে ইসলামকে জাজ করবেন না।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১২:১৮