somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সীমান্তে বিএসএফ-এর হত্যাকাণ্ড’ বিষয়ে পাঠচক্রে হামলার প্রতিবাদে সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত(রিপোস্ট)

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
সীমান্তে বিএসএফ-এর হত্যাকাণ্ড’ বিষয়ে পাঠচক্রে হামলার প্রতিবাদে সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত

পাঠচক্রে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের হমালার প্তিবাদে আজ ২৫ জানু ১১ বেলা ১১টায় অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এক প্রতিবাদ ও সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ২২ জানুয়ারি ১১ সীমান্তে বিএসএফ-এর হত্যাকাণ্ড’ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু ভবনে ছাত্র গণমঞ্চ আয়োজিত এক পাঠচক্রে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা হমালা করে এবং সভা পণ্ড করে দেয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশে ছাত্রলীগের নৈরাজ্য ও ফ্যাসিবাদী দমন-পীড়নসহ এই হামলার প্রতিবাদে এবং দায়ীদের শাস্তির দাবীতে ছাত্র গণমঞ্চ এই সংহতি সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন, ছাত্র গণমঞ্চের সমন্বয়ক স্যামুয়েল সাঈদ এবং সভা পরিচালনা করেন সহ-সমন্বযক সান্তনু সুমন।
সমাবেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, দেশ বরেণ্য লেখক-শিল্পী-সংস্কৃতি কর্মী-সাংবাদিক-বুদ্ধিজীবী, রাজনৈতিক সংগঠনসহ ছাত্র, সাংস্কৃতিক, নারী সংগঠনের নেতৃব্ন্দৃ সংহতি জানান। তাঁরা ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে বলেন, ভারত সীমান্তে বাংলাদেশের নাগরিকদের হত্যা করা হবে আর দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে তা নিয়ে আলোচনা করা যাবে নাÑ আমরা আসলে কোন দেশে বসবাস করি, ভারতে না বাংলাদেশে? বক্তারা তেলগ্যাসসহ জাতীয় সম্পদ বিদেশীদের হাতে তুলে দেয়া, হাসিনা-মনমোহন গোলামী চুক্তিসহ বিভিন্ন ঘটনা তুলে ধরে বলেন, এই সরকার মার্কিন-ভারতের তাবেদারি করছে। তাঁরা বলেন, জরুরী অবস্থার মধ্যেও ঘরোয়া রাজনীতির চল ছিল। আর এখন পাঠচক্রের মত সাধারণ কর্মকাণ্ড পর্যন্ত করা যাচ্ছে না- নির্বাচনের মাধ্যমে এটা কি গণতন্ত্র না কি ফ্যাসিবাদ কায়েম হয়েছে? ছাত্র-শিক্ষকদের উপর ছাত্রলীগের নির্যাতন, আন্দোলনকারীদের দমন-পীড়নসহ সারাদেশে ছাত্রলীগ-যুবলীগের নৈরাজ্য ও সন্ত্রাসের উল্লেখ করে বক্তরা বলেন, পাঠচক্রে ন্যাক্কারজনক হামলার আজ তিন দিন হতে চলল অথচ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ঘুমিয়ে আছে। তারা অবিলম্বে সুমন, শরীফ, তারেকসহ হামলার সাথে জড়িতদের বহিষ্কার ও শাস্তির দাবি জানিয়ে বলেন, প্রশাসনের এ ঘুম ভাঙ্গাতে হবে। প্রশাসনের উপর এখনও জরুরী অবস্থার ভুত চেপে বসে আছে। তারা গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়েছে। এ ভুত তাড়াতে হবে। এ জন্য বক্তারা বৃহত্তর ও ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের আহ্বান জানান।
সমাবেশে সংহতি যারা সংহতি জানিয়েছেন:
সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন, পানি বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী ম. ইনামুল হক, সমূদ্র বিষয়ক বিশেষজ্ঞ নূর মোহাম্মদ, ডা. টি আলী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের শিক্ষকবৃন্দের মধ্যে অধ্যাপক আকমল হোসেন, রুবাইয়্যাত ফেরদৌস।
রাজনৈতিক সংগঠন ও নেতৃবৃন্দের মধ্যে সংহতি জানিযেছেন, ফয়জুল হাকিম-জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল, শিবলী কাইয়ুম-নয়া গণতান্ত্রিক গণমোর্চা, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল- বাসদ মহানগর কমিটির সদস্য ফখরুদ্দিন কবির আতিক, গণসংহতি আন্দোলনের সংগঠক ফিরোজ আহমেদ, জাতীয় গণফ্রন্ট এর সংগঠক আবু তাহের, বিপ্লবী নারী সংহতির দপ্তর সম্পাদক জান্নাতুল মরিয়ম, কমিউনিস্ট লীগ এর সংগঠক তৈমুর খান অপু, ল্যাম্পপোস্ট এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য প্রিন্স এবং জাতীয় গণতান্ত্রিক গণমঞ্চের আহ্বায়ক মাসুদ খান।
সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহের মধ্যে সংহতি জানান, গণ সংস্কৃতি ফ্রন্ট, সমগীত, প্রপদ এর মনোজ দে,মার্কসবাদের প্রথম পাঠের সদস্য হাওয়া,ছবির লড়াই, চিৎকার, গণমুক্তির গানের দল, জাহাঙ্গীরনগর চলচিত্র সংসদ, বাংলাদেশ স্বাধীন চলচিত্র আন্দোলন, বিজ্ঞান চেতনা পরিষদ।
ছাত্র সংগঠনসমূহের মধ্যে সংহতি জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি আরফিুল ইসলাম, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ঢাবি শাখার সভাপতি স্নেহাদ্রি চক্রবর্ত্তী, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ফয়সাল ফারুক অভি, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন এর মহানগর শাখার সভাপতি মিনহাজ আহমেদ, বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলন, জাতীয় ছাত্রদল এর সাধারন সম্পাদক আতিকুর রহমান টিটু, সংস্কৃতরি নয়া সেতুর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নিত্যানন্দ পাল।
অন্যান্য সংগঠনের মধ্যে সংহতি জানান, তেলগ্যাস বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি, মওলানা ভাসানী পরিষদ, মুভ ফর ওয়ার্লড।
সমাবেশে উপস্থিত না থেকেও সংহতি জানিয়েছেন, তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব ও জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের পক্ষ থেকে লিখিত সংহতি বক্তব্য পাঠ করেন মেহেদী হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগেরে শিক্ষক জোবাইদা নাসরিন, খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান ইনসটিটিউটের অধ্যাপক মোঃ আখতারুজ্জামান,দর্শন বিভাগের অধ্যাপক হারুন রশিদ, নাট্যকলা বিভাগের অধ্যাপক ইসরাফিল শাহীন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক কবি মোহাম্মদ রফিক, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক স্বাধীন সেন, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক নাসিম আক্তার হোসাইন, নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক সায়েমা খাতুন ও নাসরিন খন্দকার, দর্শন বিভাগের শিক্ষক রায়হান রাইন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শ্যামল শীল, কথা সাহিত্যিক অদিতি ফাল্গুনি এবং লেখক সাহিত্যিক ফারুক ওয়াসিফ।

বার্তা প্রেরক,


সান্তনু সুমন
সহ-সমন্বয়ক, ছাত্র গণমঞ্চ
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)

০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

×