দেখার মত অনেক কিছুই আছে এখানে।বিশেষ করে নির্জন বীচে বসে সাগরের দিকে তাকিয়ে একটা দিন সহজেই কাটিয়ে দিতে পারেন।এ সময় হয়ত চোখে পড়বে জেলেদের মাছ ধরা ,গাংচিলের ওড়াউড়ি,সৈকতে শুটকি শুকানোর ব্যাস্ততা।
গাংচিল
আনমনে হাটতে হাটতে মিশে যান প্রকৃতির মাঝে
কুতুবদিয়ার সবচেয়ে বড় আকর্ষণ বাংলাদেশের একমাত্র বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র ।উৎপাদন ক্ষমতা ১ মেগাওয়াট।
বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র
এছাড়াও আছে বাতিঘর যা ব্রিটিশদের সময়ে স্থাপন করা হয়েছিল।তবে সেই প্রাচীন বাতিঘরের দেখা মিলবে না।সাগরে তলিয়ে গেছে।বর্তমানের বাতিঘর আর মোবাইলের টাওয়ার এর
বাতিঘরের সামনের বীচ
পাশাপাশি লবণ চাষীদের ব্যাস্ততাও চোখে পড়বে আপনার।
লবণ ক্ষেত
লবণ চাষের জন্য লোনা পানির খাল
পির সাহেবের নাম কুতুবউদ্দিন। বিশাল এলাকা জুড়ে মাজার কমপ্লেক্স।সম্ভবত তার নামেই দ্বীপের নাম কুতুবদিয়া।
বিদ্যুৎ নেই তাই সোলার প্যানেলই ভরসা।কারণ বায়ুবিদ্যুত কেন্দ্র চালু নেই।
ইউনিয়ন পরিষদ ভবন
সবচেয়ে মজার ছবিটা দিতে পারছি না।একটা পলিটিক্যাল শ্লোগান ছিল
"ঘষা আখতারের রেহাই নাই
রাজপথ ছাড়ি নাই "
ঘষা কারও নাম হতে পারে?
যেভাবে যাবেনঃ
ঢাকা/চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের গাড়ি চকরিয়া হয়ে যায়।এখানে নেমে CNG/ লোকাল বাস/টেম্পুতে করে মগনামা ঘাট।ভাড়া নেবে রিজার্ভ CNG এর জন্য ১৫০-২০০ টাকা।এরপর বোটে করে ৩০ মিনিটের যাত্রায় পৌছে যাবেন কুতুবদিয়ায়।
এছাড়া চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট টার্মিনাল থেকে মগনামা ঘাটের উদ্দেশ্যে প্রতি ঘন্টায় বাস ছাড়ে।
কুতবদিয়ার প্রবেশদ্বার মগনামা ঘাট
কুতুবদিয়ার ঘাটে নেমে রিক্সা নিয়ে প্রথমেই চলে যান বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্রে।ভাড়া নেবে সর্বোচ্চ ৩০-৪০ টাকা।
সেখানে গাংচিল আর সাগরের সৌন্দর্য উপভোগ করুন।সাথে সাদা টারবাইনগুলোর সৌন্দর্য আরেক মাত্রা যোগ করবে।
মোটামুটই এখানেই আপনার কুতুবদিয়া ভ্রমন শেষ।এরপর যদি ইছা থাকে তাহলে বাতিঘর,পীরের মাজার,লবণ/শুটকির চাষ দেখতে পারেন।
তারপর সুর্য ডোবার আগেই চলে আসুন মগনামায়।
মগনামা থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্য শেষ বাস ছাড়ে সন্ধ্যা ৫।৩০ এর দিকে।
চলেন আমার সাথে ,
ঘুরে আসি
আলিকদম গুহা ঘুরে আসুন এখান থেকে ট্রাভেলগঃ আলি কদম গুহা -আলির সুরং
রাঙ্গামাটির পথে হেটে হেটে
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:২১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



