somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রসঙ্গঃ আমার ইশ্বর বিশ্বাস :D:D

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বানী ১:
আস্তিকমাত্রই অবিজ্ঞানমনস্ক একেকটা আস্ত ছাগল :| যে কিনা এই সাধারণ বিষয়টাই বোঝেনা যে ইশ্বর এই মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেননি। এটা সৃষ্টি হয়েছে সম্পূর্ণ অটোমেটিক্যাললি B-)। একেবারে নিখাদ নির্ভেজাল কম্প্লিট সায়েন্স। কোন আজাইড়া মিরাকলের খাদ বা ভ্যাজাল এতে একেবারেই নাই।

বানী: ২
নাস্তিক মানেই অনুভূতিবোধহীন রামপাঁঠা :-* যারা এই সুশৃঙ্খল মহাবিশ্ব যে কোন মহাশক্তির হাতের ছোঁয়া ছাড়া এত নিপূণভাবে সৃষ্টি ও পরিচালনা সম্ভব নয়- তাই অনুধাবন করতে পারেনা। ;)
-----------------------
এটাই হলো আস্তিক নাস্তিকের সারবত্তা। আরেকটা বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ আর তা হলো বিজ্ঞান ও মহাস্রষ্টা পরস্পর সাংঘর্ষিক দু'টো বিষয় :-& । হয় স্রষ্টা মানো, নয় বিজ্ঞানকে আঁকড়ে ধরো । একসাথে দু'টো নিয়ে টানাহেঁচড়া করবে? উঁহু বাবা, সেটি হচ্ছেনা X( X(। তাই, অনেক আস্তিক ধর্মগ্রন্থে কিভাবে বিজ্ঞান আছে তা নিয়ে লেখে আর তা দেখে নাস্তিকেরা ঝা ঝা করে ওঠে, 'তাদের বিজ্ঞান' নিয়ে টানাহেঁচড়া করা নিয়ে।

অনেকেই বলে স্রষ্টাকে মেনে নেয়া মানে বিজ্ঞানের যুগে বসে বিজ্ঞানকে ও তার অবদানকে অস্বীকার করা।

এখন প্রশ্ন হলো আমি একজন আস্তিক। আবার আমি একজন সাহিত্য ও বিজ্ঞানমনস্ক মানুষ। তাহলে কি আমি ১ম ক্যাটাগরিতে পড়ি? /:) /:) যুক্তিতো তাই বলে। :|:| এখন উপায় কি? শেষে আমি আমার মতো আর কোন ছাগল স্রস্টায় বিশ্বাস করতেন কি না খুঁজতে গেলাম আন্তর্জাতিক ছাগল চরানো চারন ভুমিতে। :D :D

চারণভুমিতে গিয়ে দেখলাম, যে বিজ্ঞান ও স্রষ্টা নিয়ে এতো দ্বন্দ্ব, ব্যক্তিজীবনে সেই স্রষ্টাকে আঁকড়ে ধরেই অসংখ্য 'ছাগল' বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রায় প্রভুত উল্লেখযোগ্য ভুমিকা রেখেছেন ও রেখে চলেছেন। :#) এতোগুলোর নাম এখানে বলা সম্ভবনা, লিঙ্কে যান । এই দ্বৈততার মাঝে সফলভাবে বাস করেও অনেকেই আবার 'নোবেল' নামক একপ্রকার মেডেল ও জিতেছেন বিজ্ঞানে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ । উনাদের মাঠময় ঘাস খেয়ে বেড়াবার সময় সেইসব মেডেলে রবির কিরণছ্বটা লেগে আমার চোখ ধাঁধিয়ে গেল। B-) আরেকটা লিঙ্ক বিবিসিকে দেয়া ডঃ ফ্রান্সিস কলিন এর সাক্ষাতকার।

মাঠের অন্যদিকে এবার নজর দিলাম একটু। ওমা, এবার দেখি এখানে শুধু ময়লা টুপি ও ছুল্লুদাড়িবিশিষ্ট ব্যাক্তিই নয় স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও তাঁর সুদীর্ঘ সুপক্ক শ্রশ্রুরাজি দোলায়ে দোলায়ে পরমানন্দে ব্রাহ্ম ঘাস (বাঁশ না) ভক্ষন করছেন :-B :-B । উনাকে দেখে বুকে যে কি বল পেলাম বলবার অপেক্ষা রাখেনা। এরপর একে একে দেখি মাঠে কবি নজরুল, জীবনানন্দদাস, অতুলপ্রসাদ, ডিএল রায়, রজনীকান্ত এঁরাও মহানন্দে ঘাস খাচ্ছেন। আবার আরেকদিকে দেখি সেক্সপীয়ার, ওয়ার্ডসওয়ার্থ, কোলরিজ, শেলী, টমাস গ্রে, আলফ্রেড টেনিসন আরও অনেকে।

এত মহা মহা ছাগলদের মাঠে দেখে বেশ ভালই লাগলো :D। যাক বাবা। ঘাস লাতা পাতা সমৃদ্ধ চারণভুমিতে আমি শুধু একাই বিচরণ করিনা। অনেক জ্ঞানী (মহাজ্ঞানীও;)) পরমানন্দে এই মাঠে ঘাস লতাপাতা খেতে ও জাবর কাটতে আসেন। যদিও খোঁয়াড় ছেড়ে এই মাঠে কার্ল মার্ক্স, লেনিন, সালমান রুশদী বা আমাদের প্রিয় তসলিমা নাসরিন, হুমায়ন আজাদ স্যারেরা ঘাস খেতে আসেন না। তাতে কি? তাঁরা না থাকলেও এই মাঠটা যে খুব কম সমৃদ্ধ তা নয়।

কাজেই আমার বিশ্বাসের কারণে আমার মনে ঠিক সেরকম কোন সংকীর্ণতা নেই। ছাগলই না হয় হলাম, নাই বা হলাম রাম পাঁঠা। :|
----------------------------------------
(এটা কাউকে অফেন্ড করবার জন্য লেখা না। স্রেফ একটা রম্য রচনা হিসেবেই বিবচনা করতে অনুরোধ জানাচ্ছি।) তারপরেও অতিসংবেদনশীল কেউ যদি আমার ক্ষেত্রেই বানী ১ অনুসরণ করেন, ধরে নেয়া হবে তিনি বানী ২ মেনে নিয়েই তা করছেন।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:২৫
১৩টি মন্তব্য ১৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তীব্র তাপদাহ চলছে : আমরা কি মানবিক হতে পেরেছি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৯

তীব্র তাপদাহ চলছে : আমরা কি মানবিক হতে পেরেছি ???



আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকির মুখে আছি,
আমাদেরও যার যার অবস্হান থেকে করণীয় ছিল অনেক ।
বলা হয়ে থাকে গাছ না কেটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্যবহারে বংশের পরিচয় নয় ব্যক্তিক পরিচয়।

লিখেছেন এম ডি মুসা, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৫

১ম ধাপঃ

দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে কত মানুষের সাথে দেখা হয়। মানুষের প্রকৃত বৈশিষ্ট্য আসলেই লুকিয়ে রাখে। এভাবেই চলাফেরা করে। মানুষের আভিজাত্য বৈশিষ্ট্য তার বৈশিষ্ট্য। সময়ের সাথে সাথে কেউ কেউ সম্পূর্ণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×