শ্রদ্ধেয় তিমন বাড়ৈ,
আপোনার জনৈক পোস্টে আপনি একখানা গল্প লিখিয়াছেন যাহা নিম্নরূপ।
************************************
নাপিত হিশাবে খা. খোরসেদের যশ ক্ষ্যাতির কমতি ছিল না ।
ইয়দ ব্যাতীত মহল্লায় নবজাতকের চুল কাটা থেকে শুরু করে লফিক শেহমানের বাহুমুল অথবা গুপণ কেশ কাটায় যখন দখ্যতা দেখাইল - তখন নাপিত হৈতে সে সু-শীল রূপ লাভ করিল ।
আরজতপারার টীনা ভবনের দৈনিকের সেরা কিচ্ছালিখক হৈয়াও যাহা সে পায় নাই, তাহা গুরুজী ড়ইশুদ্দিনের কেশের উকুন বাছিয়া অনায়াসে পাইয়া গেল । অত:পর কেশ কাটার বাইরে এইখানে ঐখানে ফোঁড়া কাটাও শুরু করিল । ১ম ১ম গুরু ড়ইশুদ্দিন সমবিহারে লইয়া যাইত । প্রতীতি তে কমতি ছিল না মোটেও ।
একদা এক সাহিত্য সম্পাদক আযীযাড্ডায় ৩ দিন না আসায় গুরু ড়ইসুদ্দিন তাহাকে দর্শনে চলিল। পেছনে তলপিতলপা লইয়া সুশীল খোরশেদ । অসুস্থ্য সম্পাদকের ঘরে ঢুকিয়া গুরু কহিলো - পেয়ারা বেশি বেশি খাইলে পেটে বেথা ত করবেই! ইহার পর নানাবিধ আলোচনা শেষে তাহারা গুরু-শিষ্য নাখালপাড়ার গঞ্জিকাসরে ফিরিয়া আসিল ।
খোরশেদ বুঝিল না, পেয়ারা খাওয়ার রহস্য ক্যাম্নে কী?
ড়ইসুদ্দিনের মাথার চুল থেকে একটা উকুন এনে আঙুলে পিষে মারতে মারতে বলল - গুরু বুঝিলেন কি প্রকারে তিঁনি পিয়ারা ভক্ষণ করিয়াছেন?
ড়ইশুদ্দিন থাপ্পড় দিয়া কহিল - 'দেখিস নাই, খাটের তলায় অনেক পিয়ারার চোকলা ছড়াইয়া ছিল?'
খোরশেদ বশ মানিল। গুরূর প্রনাম লইয়া কহিলো - 'জানার বাকী অনেক কিছু গুরু /'
দিন পার হৈয়া যায়। খোরশেদ ক্রমশ সুশীল হৈয়া উঠে। নতুন নতুন কিলাব হয় - খোরশেদকে কেউ ডাকেনা। কেশরাজিকর্তনে তাহার দিনপাত ঘঠে । সেইবার এক জম্মন ফিরতা লেখকের ইংরেজি লেখা লৈয়া আলোচনা হইলো বেশ । গুরু ড়ইসুদ্দিন আবার ঐ বৈঠকের চৌকিদার । খোরশেদ হিংশায় জ্বলিয়া পুড়িয়া গেল। হাভাইত্যা মনু লইয়া লেখা ড়ইশু ক্যামনে পেন্নাম করে ? ঘরে গিয়া দেখে ড়ইশুদ্দিন শুইয়া আছে। তাহার পেটে ব্যাথা । খোরশেদ খাটের তলায় তাকাইয়া দেখিল - চার জোড়া ছেঁড়া চটি পড়িয়া আছে । নিমিষেই খোরশেদ গুরুর গায়ে ঝাপাইয়া পড়িল, কহিল - 'গুরু তুমি চ্যান্ডেল খাইলা কোন দুক্ষে?'
গুরু জাগিয়া উঠিল এবং কানে কানে কিছু বলিল, কী বলিল তাহা দূর হইতে শুনা গেল না। তবে লোকজন জানে - সুশীল খোরশেদ আপাতত: কাঁছি হাতে জম্মানফিরতা লিখকের নাভীমুল কেশ কাটিতে আর্জি পেশ করিয়াছে ।
************************************
উক্ত গল্পখানা লইয়া এই অধমের কিয়দখানা পরোশ্নো ছিল। যদি অনুমতি দিতেন তাহা হইলে উহা এইখানে আলোচিত হইতে পারে।
বিনীত নিবেদক,
হাইগ্যানী হাবা ব্যবিলন জন ০০৭