যে অপরাধের সঙ্গে রাজনৈতিক
সম্পৃক্ততা রয়েছে, সে অপরাধের
অপরাধীরা সাধারণত ধরা পড়ে না। আর
ধরা পড়লেও তারা থেকে যান আড়ালেই।
সম্পৃক্ততা ছিলো না বলেই দুই বছর সুড়ঙ্গ
করে চুরি করে নেয়া সোনালী ব্যাংকের
১৬কোটি টাকাসহ তিন দিনের মাথায়
ধরা পড়েছিলো সুড়ঙ্গ সোহেল।
সে এখনো কিশোরগঞ্জের হাজতে আছে।
আর সম্পৃক্ততা ছিলো বলেই
কোটি টাকা হাতিয়ে ধরা পড়েও
আড়ালে আছেন হলমার্কের তানভীর।
রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা থাকে না বলেই
মফস্বলের
হাজতগুলো ভরে আছে গ্রামাঞ্চলের
খুনিদের দিয়ে।
যারা জমিজমা নিয়ে খুনোখুনি করে।
আর সম্পৃক্ততা আছে বলেই অগণিত
আল্টিমেটামের পরেও সাগর রুনির
খুনিরা আজও উধাও।
আসলে ধর্মীয় বিশ্বাস রাখা না রাখার
অধীকার সবার। তবে আরেকজনের
ধর্মকে খোঁচানোর অধীকার যেমন
কারো নেই, তেমনি কেউ খোঁচালেও
তাকে কোপিয়ে হত্যা করার অধীকারও
কারোর নেই।
অভিজিত রায় এর
খুনিরা অবিলম্বে ধরা পড়ুক। সে হোক
মৌলবাদী খৌনবাদী, কিংবা যে বাদীই
হোক, ধরা পড়তেই হবে।
চিন্তা করে দেখুন, খুনটা হওয়ার
সঙ্গে সঙ্গে হরতাল অবরোধের
রাজনীতিতে তলিয়ে যাওয়া দেশটার
কথা আমরা ভুলে গেছি। ভুলে গেছি বার্ন
ইউনিটে কাতরানো মানুষদের কথা। সব
ভুলে এবার ভাবতে শুরু করেছি আস্তিক-
নাস্তিক বিষয়ক গল্প! ঠিক আরেকটি ঘটনার
পরে আমরা অভিজিত রায়কেও ভুলে যাবো।
সত্যি। যেভাবে ভুলে গেছি সাগর রুনির কথা,
রানা প্লাজার ১৩শ শ্রমিকের লাশের কথা,
তানভীর তাকি'র অসময়ে ঝরে যাওয়ার কথা।
তাই আজকে বলতে ইচ্ছে করছে 'আমরা কি কিউট
জাতি'
হে প্রশাসন, যদি ধরতে না পারো অভিজিত
রায় এর খুনিদের, তবে সত্যিই
আমরা তোমাদের মুখে থুথু দেবো।
আমরা জানতে চাই, খুনিরা আসলে কারা!!!!
.
.
.
(copy from shakir ahsanullah's facebook status)
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:৩৩