শরতের রঙ
হাফেজ আহমেদ
বিজলী তুফান বর্ষা শেষে
ভাদ্র-আশ্বিন মাসে
ডাঙার জলে ডিঙির উপর
শরৎ রানী হাসে।
মাঠের পরে মাঠ পেরিয়ে
আমন ক্ষেতের ধুম
শরৎ এলেই কৃষাণ ক্রোড়ে
নরম নরম ঘুম।
শরৎ এলে শুভ্র মেঘের
ইচ্ছে মতন ঢং
এই শরতে পদ্ম ফুলের
নানান রকম রঙ।
পাকা তালের গন্ধে ভরা
জুঁই শিউলীর মেলা
মিষ্টি রোদে মুগ্ধ করা
আলোছায়ার খেলা।
নদীর বুকে কাশের মায়ায়
টুকরো মেঘের ছবি
সাদা মেঘের সুনীল ছায়ায়
মেতে উঠেন কবি।
__________________
__________________
শুভ্র শরৎ
হাফেজ আহমেদ
সকাল হাসে দূর্বাঘাসে
শিশির কণার ঝিলিকে
শুভ্র কেশে শরৎ এসে
রাঙিয়ে যায় লিলিকে।
মিষ্টি শরৎ সৃষ্টি করে
ঘাসের ডগায় মুক্তা’র
সাদা মেঘের ভেলায় উড়ে
মনের যত সুখ তাঁর।
জুঁই চামেলি শিউলি আর
কাশফুলেরা দোলে
সারস পাখির ডানায় চড়ে
শরৎ রানীর কোলে।
আমন ক্ষেতে কোমল হাসি
তালের গাছে তাল
ভরা নদীর শান্ত ধারায়
উড়ায় মাঝি পাল।
আকাশ জুড়ে ঘুড়ির মেলা
বইছে উঁচুনিচু
মেঘ বালিকার লুকোচুরি
রোদের পিছুপিছু।
_________________
_________________
শরৎকাল
হাফেজ আহমেদ
ঋতুর রানী শরৎ জানি
ভাদ্র মাসে আসে
আশ্বিন জুড়ে তাঁর ছোঁয়াতে
কাশফুলেরা হাসে।
সোনা রোদে শিশির কণায়
মুক্তা ঝরে ঝিলমিল
সাদা মেঘের একটু নীচে
যায় উড়ে যায় গাঙচিল।
পদ্ম পাতায় চিংড়ি মাছের
উড়ুৎ পুড়ুৎ খেলা
আলোছায়ার আনাগোনায়
পেরিয়ে যায় বেলা।
আমন ধানের নরম ডগায়
ঢেউ তুলেছে বায়ু
এই শরতে রাখালিয়ার
বাড়ছে ঘুমের আয়ু।
জুঁই শিউলি খোঁপায় পরে
পাড়া গাঁয়ের বধু
স্বামীর মুখে দিচ্ছে তুলে
পাকা তালের মধু।
নদীর বুকে ছলাৎ ছলাৎ
ভাঙছে ছোট ঢেউ
চাষী ভাইয়ের পকেট খালি
খোঁজ রাখেনি কেউ।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মে, ২০২০ দুপুর ১:৪১