somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যে পথে ছুটে গেছে স্বপ্নের জান্নাত!

১৭ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



প্রতিটি ভাল কথা এক একটী বীজ এর মত, একটি সাদকা স্বরুপ!
এই ছোট একটি বীজ একদিন পরিণত হতে পারে অধিক শাখা-প্রশাখাময় বৃক্ষে! সুবহানআল্লাহ!
এই বৃক্ষটি সেই কঠিন দিনের নাজাতের উপায় হয়ে উঠতে পারে,যে দিন আল্লাহ তায়ালা প্রতিটি ছোট ছোট কাজেরও হিসেব গ্রহণ করতে সমর্থ!
"তারা বলবেঃ হায় আফসোস এ কেমন আমল নামা ,এ যে ছোট বড় কোন কিছুই বাদ দেয়নি সবই এতে রয়েছে ,তারা তাদের কৃতকর্মকে সামনে উপস্থিত পাবে। (সূরা আল ক্কাহাফঃ৪৯)
আধার-ঘর কবরে কিছুই কাজে আসবে সাদকায়ে-জারিয়া ছাড়া। এটি তা-ই যে কাজের সওয়াব কিয়ামত পর্যন্ত আমলনামায় লিখিত হবে।
ধরুন, আপনি কাউকে একটি সৎ উপদেশ দিলেন। সে তা মেনে চলল। পরবর্তীতে, সে ব্যক্তি আপনার এই উপদেশটি অপর এক ব্যক্তিকে দিল।সেও মেনে চলল। এভাবে প্রতিটি ব্যক্তির সৎকর্মের সওয়াব আপনার আমলনামায় লিখিত হবে।
আল্লাহ সুবহানআল্লাহ তায়ালা সূরা আসরে সময়ের কসম খেয়ে ৪ শ্রেণীর মানুষের কথা বলেছেন,তারা ছাড়া সবাই ক্ষতিগ্রস্থ।আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন!
"সময়ের কসম।মানুষ আসলে বড়ই ক্ষতির মধ্যে রয়েছে।তবে তারা ছাড়া,যারা ঈমান এনেছে,সৎ কাজ করেছে,একে অপরকে সৎকাজের উপদেশ দিয়েছে এবং একে অপরকে ধৈর্য ধারণের উপদেশ দিয়েছে।"
-সূরা আসর
ইমাম রাযী বলেছেনঃ "একজন বরফওয়ালার কাছ থেকে আমি সূরা আসরের অর্থ বুঝেছি।সে বাজারে জোর হেঁটে চলছিল-দয়া করো এমন এক ব্যক্তির প্রতি যার পূঁজি গলে যাচ্ছে।একথা শুনে আমি বললাম,মানুষকে যে আয়ুষ্কাল দেয়া হয়েছে তা বরফ গলে যাবার মতো দ্রুত অতবাহিত হয়ে যাচ্ছে।একে যদি নষ্ট করে ফেলা হয় অথবা ভুল কাজে ব্যয় করা হয় তাহলে সেটিই মানুষের জন্য ক্ষতি।"
এই সূরাটির গুরুত্ব এতখানিই যে, রাসুল্লাহ (সাঃ) সাহাবীগণের মধ্য থেকে দুই ব্যক্তি যখন মিলিত হতেন তখন তারা একজন অপরজনকে সূরা আসর না শুনানো পর্যন্ত পরস্পর থেকে বিদায় নিতেন না।
এক-এক সেকেন্ড করে প্রতিটি মুহূর্তে আমাদের সময় ,আয়ু কমে যাচ্ছে। তাই এই অল্প সময় কাজে লাগিয়ে আখিরাতের পুঁজি অর্জন করি।
আসুন, একটি সৎকাজের আমল ও এটির উপদেশ দানের মাধ্যমে, এক বৃক্ষ পরিমাণ সওয়াব অর্জন করি।
আমাদের অর্জিত ছোট্ট আমলটি পাশের জনের মাঝে ছড়িয়ে দিই। এটিই সে দিন কবরে আলো ছড়াবে ইনশাআল্লাহ :) প্রতিটি ভাল কথা এক একটী বীজ এর মত, একটি সাদকা স্বরুপ!
এই ছোট একটি বীজ একদিন পরিণত হতে পারে অধিক শাখা-প্রশাখাময় বৃক্ষে! সুবহানআল্লাহ!
এই বৃক্ষটি সেই কঠিন দিনের নাজাতের উপায় হয়ে উঠতে পারে,যে দিন আল্লাহ তায়ালা প্রতিটি ছোট ছোট কাজেরও হিসেব গ্রহণ করতে সমর্থ!
"তারা বলবেঃ হায় আফসোস এ কেমন আমল নামা ,এ যে ছোট বড় কোন কিছুই বাদ দেয়নি সবই এতে রয়েছে ,তারা তাদের কৃতকর্মকে সামনে উপস্থিত পাবে। (সূরা আল ক্কাহাফঃ৪৯)
আধার-ঘর কবরে কিছুই কাজে আসবে সাদকায়ে-জারিয়া ছাড়া। এটি তা-ই যে কাজের সওয়াব কিয়ামত পর্যন্ত আমলনামায় লিখিত হবে।
ধরুন, আপনি কাউকে একটি সৎ উপদেশ দিলেন। সে তা মেনে চলল। পরবর্তীতে, সে ব্যক্তি আপনার এই উপদেশটি অপর এক ব্যক্তিকে দিল।সেও মেনে চলল। এভাবে প্রতিটি ব্যক্তির সৎকর্মের সওয়াব আপনার আমলনামায় লিখিত হবে।
আল্লাহ সুবহানআল্লাহ তায়ালা সূরা আসরে সময়ের কসম খেয়ে ৪ শ্রেণীর মানুষের কথা বলেছেন,তারা ছাড়া সবাই ক্ষতিগ্রস্থ।আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন!
"সময়ের কসম।মানুষ আসলে বড়ই ক্ষতির মধ্যে রয়েছে।তবে তারা ছাড়া,যারা ঈমান এনেছে,সৎ কাজ করেছে,একে অপরকে সৎকাজের উপদেশ দিয়েছে এবং একে অপরকে ধৈর্য ধারণের উপদেশ দিয়েছে।"
-সূরা আসর
ইমাম রাযী বলেছেনঃ "একজন বরফওয়ালার কাছ থেকে আমি সূরা আসরের অর্থ বুঝেছি।সে বাজারে জোর হেঁটে চলছিল-দয়া করো এমন এক ব্যক্তির প্রতি যার পূঁজি গলে যাচ্ছে।একথা শুনে আমি বললাম,মানুষকে যে আয়ুষ্কাল দেয়া হয়েছে তা বরফ গলে যাবার মতো দ্রুত অতবাহিত হয়ে যাচ্ছে।একে যদি নষ্ট করে ফেলা হয় অথবা ভুল কাজে ব্যয় করা হয় তাহলে সেটিই মানুষের জন্য ক্ষতি।"
এই সূরাটির গুরুত্ব এতখানিই যে, রাসুল্লাহ (সাঃ) সাহাবীগণের মধ্য থেকে দুই ব্যক্তি যখন মিলিত হতেন তখন তারা একজন অপরজনকে সূরা আসর না শুনানো পর্যন্ত পরস্পর থেকে বিদায় নিতেন না।
এক-এক সেকেন্ড করে প্রতিটি মুহূর্তে আমাদের সময় ,আয়ু কমে যাচ্ছে। তাই এই অল্প সময় কাজে লাগিয়ে আখিরাতের পুঁজি অর্জন করি।
আসুন, একটি সৎকাজের আমল ও এটির উপদেশ দানের মাধ্যমে, এক বৃক্ষ পরিমাণ সওয়াব অর্জন করি।
আমাদের অর্জিত ছোট্ট আমলটি পাশের জনের মাঝে ছড়িয়ে দিই। এটিই সে দিন কবরে আলো ছড়াবে ইনশাআল্লাহ :)
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:২১
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শ্রমিক সংঘ অটুট থাকুক

লিখেছেন হীসান হক, ০১ লা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৮

আপনারা যখন কাব্য চর্চায় ব্যস্ত
অধিক নিরস একটি বিষয় শান্তি ও যুদ্ধ নিয়ে
আমি তখন নিরেট অলস ব্যক্তি মেধাহীনতা নিয়ে
মে দিবসের কবিতা লিখি।

“শ্রমিকের জয় হোক, শ্রমিক ঐক্য অটুট থাকুক
দুনিয়ার মজদুর, এক হও,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার


(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১




ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।


এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×