বিদায় নিলেন বরেণ্য চিত্রশিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী। তার চলে যাওয়াটা অদ্ভুত। নাটকীয় প্রায়। বিবরণটা পত্রিকা-ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া-ব্লগ-ফেসবুকের কল্যাণে সবাই আমরা জানি। অদম্য স্বাভাবিক কৌতুহলটাকে পুঁজি করেই পত্রিকার শিরোনাম হয়েছে- জানা হলো না শেষ কথাটি। কী বলতে চেয়েছিলেন তিনি? ইত্যাদি।
তাইতো! বিরাট কৌতুহলের বিষয়। কী বলতে চেয়েছিলেন তিনি? বক্তৃতার আনুষ্ঠানিক সমাপ্তির পরও কেন তাকে ফিরে আসতে হলো ডায়াসে? মৃত্যুর ঠিক এক মুহূর্ত আগে। ঢলে পড়লেন কাইয়ুম চৌধুরী। পাশে দাঁড়ানো মানুষগুলোও শুনতে পাননি কোন কথা। তাহলে অন্যেরা কিভাবে শুনবে সেই কথা? আমরা কিভাবে জানবো- জীবনের শেষ মুহূর্তটিতে কী বলতে চেয়েছিলেন তিনি।
আমি কিন্তু শুনেছি কাইয়ুম চৌধুরীর শেষ কথাটি। কথাটি মুখে বলেননি তিনি। বলেছেন অভিব্যক্তিতে। জীবন দিয়ে। কোরানের একটি বক্তব্য উদ্ধৃত করেছেন তিনি:
“প্রত্যেকের জন্যই একটি সময় নির্দিষ্ট করা আছে। যখন সময়টি আসবে, তখন এক মুহূর্তও তা পেছানো হবে না; আগানোও হবে না এক মুহূর্ত।” (সুরা আরাফ : ৩৪)
কথাটি সবাই জানেন। কিন্তু হায়! উপলব্ধির মানুষ কই?
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:১৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



