somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পবিত্র জালিয়াতি/ মরমনদের ইতিহাস

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৩:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এইখানে আমি একটা ধর্মীয় জালিয়াতির উদাহরণ, এর অন্তর্নিহিত সন্তাব্য উদ্দেশ্য এবং এর সুদুরপ্রসারী প্রভাব বর্ণনা করব। পাঠক চাইলে নিজ দায়িত্বে এর সত্যতা যাচাই করে নিতে পারেন। এই কাহিনী লেখার একটা অন্য উদ্দেশ্য আছে। সেটা লেখার পড়েই না হয় বলব। তাহলে চলুন দেখি কি সেই কাহিনী।

And the time will come when our children (the “American Indians”) will realize that they are descendants of the House of Israel, and that they are the Children of God; and then they will know the legacy of their ancestors, and rejoice in it. (The Book of Mormon – 14:15)

"এবং একটা সময় আসবে যখন আমাদের সন্তানেরা (আমেরিকান রেড ইন্ডিয়ান) বুঝতে পারবে যে তারা ইসরাইলের ঘরের বংশধর, এবং তারা ইশ্বরের সন্তান, এবং যখন তারা এই লিগ্যাসি জানতে পারবে তখন তারা আনন্দ করবে" (দ্য বুক অফ মরমন ১৪:১৫) (নিজস্ব অনুবাদ)

সময়কাল ১৮৩০। জোসেফ স্মিথ নামক একজন আমেরিকান একটি বই প্রকাশ করেন এবং তিনি এই বইটি ইশ্বর প্রদত্ত বলে দাবী করেন। এই বইটির নাম ছিল “দ্যা বুক অফ মরমন”। এই বইটিকে ঐশ্বরিক বলে দাবী করার মুল কারন হচ্ছে, তার কথা অনুযায়ী তিনি এই বইটি অনুবাদ করেছেন একটি প্রাচীন স্বর্ণ খন্ডে (গোল্ডেন ট্যবলেট )লিখিত লিপি থেকে যা লিখিত হয়েছিল খৃস্টপূর্ব প্রায় ৪০০ বছর আগে (খৃস্টপূর্ব চতুর্থ শতাব্দী)। লেখকের দাবী অনুযায়ী এই মুল পাণ্ডুলিপি বা গোল্ডেন ট্যবলেট শত শত বছর ধরে আমেরিকার নিউ ইয়র্কের শহরতলীর কাছে, তার নিজের বাসস্থানে মাটির নিচে চাপা পরে ছিল এবং ইশ্বর প্রেরিত দুত যদি তাকে এইটা খুজে পেতে সাহায্য না করত তবে সে কোনদিন এটা খুজে পেত না। লেখক দাবী করেছিলেন যে ইশ্বর প্রেরিত একজন দুত যার নাম "মরমন" তাকে এই প্রাচীন ট্যবলেট খুজে পেতে সাহায্য করেছে এবং তার সাহায্যে সে এটা অনুবাদ করেছে। কোন মানুষ স্বচক্ষে এই গোল্ডেন ট্যবলেট দেখেনি এবং লেখকের ভাষ্য অনুযায়ী অনুবাদের কাজ শেষ হয়ে যাবার পর ঐ ইশ্বর প্রেরিত দুত মরমন তার কাছ থেকে মুল পাণ্ডুলিপি অর্থাৎ সেই গোল্ডেন ট্যবলেট টি নিয়ে নেয়।

এই তথাকথিত ঐশ্বরিক বইয়ের মধ্যে খৃস্টপূর্ব ৬০০ থেকে ৪০০ শতাব্দীর কাহিনী বর্ণনা করা আছে, যেখানে বলা হয়েছে যে ইহুদিদের দুইটি দল যার একটি ইসরায়েল থেকে এবং আরেকটি ব্যবলিয়ন থেকে নতুন পৃথিবীর সন্ধান করতে বের হয়ে এমন একটি অঞ্চলে আসে যা আজকে উত্তর আমেরিকা নামে পরিচিত। ক্রমেই ব্যবিলিয়ন থেকে আসা দলটি হারিয়ে যায় এবং ইসরায়েল থেকে আসা দলটির সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং আজকে যারা রেড ইন্ডিয়ান নামে পরিচিত তারা হচ্ছে সেই ইসরায়েল দলটির বংশধর। এই বইটি বাইবেলে বর্ণিত কিছু জায়গার সাথে আজকের আমেরিকার কিছু জায়গা কে চিহ্নিত করেছে।

আগেই বলেছি কেউ তার সেই কথিত গোল্ডেন ট্যবলেট নিজের চোখে দেখেনি। কিন্তু তার পরেও এই বইয়ের সাহায্যে সে নতুন একটা চার্চ গঠন করে যার নাম “"The Church of Jesus Christ of Latter Day Saints".


এই গল্প এখানেই শেষ হয়নি। ঐ বই প্রকাশ হবার ১২ বছর পরে অর্থাৎ ১৮৪২ সালে স্মিথ আরেকটি বই প্রকাশ করেন। তার এই দ্বিতীয় বইটি প্রথম বই থেকেও অনেক রহস্যময় এবং অদ্ভুত। এই বইটির নাম ছিল “দ্য বুক অফ আব্রাহাম” । এইবার স্মিথ দাবী করেন সে একটি মমির কফিনের মধ্যে লুকায়িত কিছু প্যাপিরাসের স্ক্রল পেয়েছে যে মমিটি প্রদর্শনের জন্য ওয়াহিওর কার্টল্যান্ড এ রাখা হয়েছিল। এই স্ক্রল পাবার সাথে সাথে সে এর গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারে যা তার দাবী অনুযায়ী এই স্ক্রলগুলিতে নবী আব্রাহামের নিজের হাতের লেখা রয়েছে। সে সাথে সাথে এই স্ক্রল গুলি কিনে নেয় এবং এর অনুবাদের কাজে হাত দেয়। এইবারও সেই ইশ্বর প্রেরিত দুত তাকে অনুবাদে সাহায্য করে। তার এই বইটিতে তিনটি চিত্র মুল পাণ্ডুলিপি অর্থাৎ সেই প্যাপিরাসের স্ক্রল থেকে কপি করা হয়েছে। ঐ তিনটি চিত্রের মধ্যে একটি চিত্রে দেখা যায়, স্মিথের দাবী অনুযায়ী আব্রাহাম মিশরের রাজার উপস্থিততে মিশরের দেবতার কাছে নিজেকে উৎসর্গ করার জন্য উৎসর্গ বেদীতে শুয়ে আছেন।

এখন সত্য হচ্ছে যে ঐ সময়ে কেউ তার সাথে এই ব্যপারে তর্ক বা প্রশ্ন করতে পারেনি কারন ঐ সময়ে পৃথিবীর খুব কম মানুষই প্রাচীন মিশরের হায়ারগ্লাফিক্স পড়তে জানত। এই হায়ারগ্লাফিক্স সম্পর্কিত জ্ঞাত মানুষের সংখ্যা সারা পৃথিবীতে হাতে গোনা থাকার ফলে স্মিথ এর পুরাপুরি সুবিধা নিয়ে তার ইচ্ছা অনুযায়ী এই বইটি লিখেন এবং এটিকে ঐশ্বরিক বলে চিহ্নিত করেন কারন “ইশ্বর বলেছেন”
এর পরে এটা ধারনা করা হয় যে স্মিথের সে আসল প্যাপিরাসের পাণ্ডুলিপি ১৮৭১ সালে শিকাগোর ভয়াবাহ অগ্নিকান্ডে ধ্বংস হয়ে যায়। এর ফলে “দ্যা বুক অফ মরমন” এবং “দ্য বুক অফ আব্রাহাম” এর দুইটার আসল লেখা চিরতরে হারিয়ে যায় এবং শুধুমাত্র স্মিথের অনুবাদকৃত দুইটা বই একমাত্র টেস্টাম্যন্ট হিসাবে টিকে থাকে। অনেক আমেরিকান এই টেস্টাম্যান্ট কে ইশ্বর প্রদত্ত বই বলে মেনে নেন এবং তাদের সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকে। এই আমেরিকানরা যারা এই টেস্টাম্যান্ট কে গ্রহণ করেছিলেন তারা আরও অনেক কিছুর সাথে এটা বিশ্বাস করত যে এই লাস্ট টেস্টাম্যান্ট ইশ্বর প্রদত্ত কারন “ইশ্বর বলেছেন”

এরপর প্রায় ১২৪ বছর পেরিয়ে গেছে। আসল ১৯৬৬ সাল। এই ১৯৬৬ সালে “"The Church of Jesus Christ of Latter Day Saints" – (যা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলি স্মিথের প্রথম বই প্রকাশের পরে) এর জন্য দুইটা খুব অপ্রীতিকর ঘটনা ঘঠে। প্রথমটা হচ্ছে নিউ ইয়র্কের মেট্রপোলিয়াম মিউজিয়ামের ভল্টের অনেক গভীরে লুকিয়ে রাখাঁ কিছু স্ক্রলের সন্ধান পাওয়া যায় যার মধ্যে সেই একই তিনটা চিত্র ছিল যা স্মিথ তার দ্বিতীয় বই “দ্য বুক অফ আব্রাহাম”- এ কপি করেছিল। দ্বিতীয়টা হচ্ছে, এই ১২৪ বছরে বিজ্ঞানের বিশেষ করে প্রত্নতত্ববিদ্যা এবং ভাষা বিদ্যার অগ্রগতির কারনে অনেকেই প্রাচীন মিশরীয় ভাষা সঠিক ভাবে পড়তে পারত। সুতরাং ১২৪ বছরে সময় বদলে গেছে।


(প্রথম ছবিটি স্মিথের কপি করা, দ্বিতীয় ছবিটি ওরিজিনাল যা পরে প্যপিরাসের স্ক্রলে খুজে পাওয়া গিয়েছিল। বাকি দুইটা ছবি দেখতে চাইলে উইকিপিডিয়াতে https://en.wikipedia.org/wiki/Book_of_Abraham দেখুন।)

ভাষাবিদরা ঐ স্ক্রলে পাওয়া ভাষার পাঠোদ্ধার করে যা জানতে পারল তা সত্যিই বিস্ময়কর। ঐ স্ক্রলের সাথে স্মিথের অনুবাদ মিলিয়ে ভাষাবিদরা যা উপসংহার টানলেন তা হচ্ছে স্মিথ অনুবাদের নামে তার নিজের ইচ্ছামত যা খুশি তাই লিখে রেখেছে। এর পর সে তার ঐ নিজের ইচ্ছামত লেখা বইকে ইশ্বরের নামে চালিয়ে দিয়েছেন। ঐ স্ক্রলের সাথে স্মিথের অনুবাদের কোন রকম মিল পাওয়া যায় নাই। এর ফলে তার ঐ দ্বিতীয় বই ঈশ্বর প্রদত্ত – এই ধারনা সম্পূর্ণভাবে পরিত্যাজ্য বলে স্কলাররা মতামত দিলেন।


কথিত আব্রাহামের নিজেকে উৎসর্গ করার যে চিত্রটার কথা বলা হয়েছে ভাষাবিদদের ভাষ্য সেটা মিশরের মানুষকে সমাহিত করার একটা ধর্মানুষ্ঠান। এই স্ক্রলে মিশরের অনেক পরিচিত দেবতার নাম (যেমন ওসিরিস, হোরাস, সেথ) রয়েছে। অন্যদিকে স্মিথের বইয়ের অনুবাদের ফারাও, আব্রাহাম এইসব নাম ঐ স্ক্রলে সম্পূর্ণ অনুপস্থিত।

ঐ স্ক্রল সম্পর্কিত সায়েন্টিফিক আবিস্কারের ফলে ঝড় বয়ে গেল। তার প্রথম বইটাও আরকিওলজিস্টদের কাছে সম্পূর্ণ ভুল প্রমানিত হল। প্রাচীন ইসরায়েলের অধিবাসীরা আমেরিকায় এসেছিল এবং তারা বর্তমান রেড ইন্ডিয়ান দের বংশধর এর বিপরীতে প্রচুর সায়েন্টিফিক প্রমান দেয়া হল। কিন্তু ততক্ষণে যা হবার হয়ে গেছে। মরমনরা এই ১২০ বছরের বিশ্বাস তাদের দুইটি বই আঁকড়ে ধরে রইল কারন একটাই “ইশ্বর বলেছেন”।

স্মিথের এই জালিয়াতির কারনে আজ
১। সারা বিশ্বে ১৪ মিলিয়ন মরমন রয়েছে, যা ইহুদিদের প্রায় সমান।

২। আমেরিকাতে স্মিথের এই চার্চের অনুসারী প্রায় ৫.৫ মিলিয়ন যা দেশটিতে মুসলমানদের সংখ্যার প্রায় সমান।

এদের সম্পর্কে আরও জনাতে Click This Link

লেখার শুরুতেই আমি বলেছিলাম এই কাহিনী বলার পিছনে আমার অন্য আরেকটা উদ্দেশ্য আছে। এই রকম কাহিনী নতুন না। যারা মুসলমান তারা নিজের ধর্মের দিকে তাকালে এমন অনেক কাহিনীর অস্তিত্ব খুজে পাবেন। আমি শুধু এতটুকু বলতে পারি মুসলমানদের সাথে এর চেয়েও ভয়ঙ্কর জালিয়াতি করা হয়েছে। কোরআনে বর্ণিত ঐতিহাসিক ঘটনা গুলির ভৌগলিক অবস্থান, প্রত্নতত্ব নিদর্শন এবং ভাষার ব্যবহার নিয়ে যে কেউ একটু লেখাপড়া করলেই ওল্ড টেস্টামেন্টে বর্ণিত ইতিহাস এবং বর্তমানে প্রচলিত মুসলমানদের জানা ইতিহাস (যা ওল্ড টেস্টামেন্টে থেকে ৯৫% কপি করা ) –এর মধ্য প্রচুর বৈপরীত্য দেখতে পাবেন যা আপনাকে অনেক বড় শক দিতে পারে। ইনফ্যাক্ট কোরআনের বর্ণনা অনুযায়ী মুসলমানরা আব্রাহাম থেকে ঈসা (আঃ) পর্যন্ত যে সব প্রচলিত ইতিহাস জেনে আসছে তার বেশিরভাগই মিথ্যা।

সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৩:৫৭
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রোড জ্যাম ইন ভিয়েতনাম

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৭



আমার ধারনা ছিল জটিল জ্যাম শুধু বাংলাদেশেই লাগে । কিন্তু আমার ধারনা ভুল ছিল । ভিয়েতনামে এরকম জটিলতর জ্যাম নিত্য দিনের ঘটনা । ছবিটি খেয়াল করলে দেখবেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা

লিখেছেন জানা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬



২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেভাবে শরণার্থীরা একটি দেশের মালিক হয়ে গেলো!

লিখেছেন মাঈনউদ্দিন মইনুল, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৬



এবার একটি সেমিনারে প্রথমবারের মতো একজন জর্ডানির সাথে পরিচয় হয়। রাসেম আল-গুল। ঘনকালো মাথার চুল, বলিষ্ট দেহ, উজ্জ্বল বর্ণ, দাড়ি-গোঁফ সবই আছে। না খাটো, না লম্বা। বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। প্রতিটি সেশন... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিউ ইয়র্কের পথে.... ২

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২


Almost at half distance, on flight CX830.

পূর্বের পর্ব এখানেঃ নিউ ইয়র্কের পথে.... ১

হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্লেন থেকে বোর্ডিং ব্রীজে নেমেই কানেক্টিং ফ্লাইট ধরার জন্য যাত্রীদের মাঝে নাভিশ্বাস উঠে গেল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সামুতে আপনার হিট কত?

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৩



প্রথমে মনে হল বর্তমান ব্লগাদের হিটের সংখ্যা নিয়ে একটা পোস্ট করা যাক । তারপর মনে পড়ল আমাদের ব্লগের পরিসংখ্যানবিদ ব্লগার আমি তুমি আমরা এমন পোস্ট আগেই দিয়ে দিয়েছেন ।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×