somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিশ্বব্যাংক থেকে পাওয়া অর্থ কিছু দিনের মধ্যেই লিবিয়াফেরত ৩৬ হাজার বাংলাদেশির হাতে পৌঁছানো হচ্ছে

১৫ ই জুন, ২০১১ সকাল ৮:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিশ্বব্যাংক থেকে পাওয়া অর্থ কিছু দিনের মধ্যেই লিবিয়াফেরত ৩৬ হাজার বাংলাদেশির হাতে পৌঁছানো হচ্ছে। বিশ্বব্যাংক থেকে সহজ শর্তে পাওয়া ঋণের এ অর্থ বিতরণের দায়িত্ব পালন করবে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)। মঙ্গলবার সকালে (১৪ই জুন ২০১১) প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও আইওএম'র মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি সই হয়েছে।


* প্রত্যেকে নগদ ৫০ হাজার টাকা করে পাবেন।

* লিবিয়া থেকে ফিরে আসার সময় বিমানবন্দরে পূরণ করা দু'টি ফরমের একটি অংশ প্রত্যাগতদের কাছে রয়েছে। এটি প্রমাণ হিসেবে গ্রহণ করা হবে।

* ৩ জুলাই প্রথম কর্মদিবস থেকে আইওএম একটি কল সেন্টার খুলবে।

* কল সেন্টারে টেলিফোন করে প্রত্যাগতদের ব্যাংক হিসাব নম্বর নেওয়া এবং বিভিন্ন তথ্য যাচাই করা হবে।

* ব্যাংক হিসাবের নম্বরসহ এসব তথ্য নিয়ে প্রত্যাগতদের জন্য স্থাপিত কল সেন্টারে যোগাযোগ করে তথ্য পরীক্ষায় সহায়তা করতে হবে।

* জুলাইয়ে দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে সব প্রক্রিয়া শেষ করা সম্ভব হবে ।


প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, "সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টার কারণে দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রকল্প নিয়ে তা অনুমোদন ও বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে। ফলে আগামী কিছুদিনের মধ্যেই লিবিয়া প্রত্যাগতরা সহায়তার অর্থ হাতে পাবে।"

লিবিয়াফেরত বাংলাদেশিদের পুনর্বাসনে বিশ্বব্যাংক ৪ কোটি মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৯০ কোটি টাকা) দিচ্ছে।

প্রবাসী কল্যাণ সচিব জাফর আহমদ খান বলেন, প্রত্যেকে পাবেন ৫০ হাজার টাকা। এর আগে এসব ব্যক্তিকে দেশে আনতে জনপ্রতি ১ হাজার ২৬০ মার্কিন ডলার দেওয়া হয়েছে। ফলে জনপ্রতি সরকারি সহায়তার পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় দেড় লাখ টাকা।

আইওএম'র আঞ্চলিক প্রতিনিধি রাবাব ফাতেমা বলেন, মঙ্গলবার পর্যন্ত ৩৬ হাজার ৫৪১ জন কর্মী লিবিয়া থেকে ফিরেছে। এখনো কিছু কর্মী ফেরতের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদেরও ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।

এ বছরের শুরুতে লিবিয়ায় রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরু হলে বাংলাদেশিসহ প্রবাসী অন্যরা আফ্রিকার ওই দেশটি ছাড়তে শুরু করে। বাংলাদেশিদের ফেরাতে সহায়তা করে আইওএম।

আগামী জুলাইয়ে দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে সব প্রক্রিয়া শেষ করা সম্ভব হবে জানিয়ে ফাতেমা বলেন, প্রক্রিয়া শেষে ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে পরিশোধযোগ্য সোনালী ব্যাংকের চেকের মাধ্যমে সহায়তার অর্থ বিতরণ করা হবে।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামের বিধান হতে হলে কোন কথা হাদিসে থাকতেই হবে এটা জরুরী না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৫



সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত, রক্ত, শূকরমাংস, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে যবেহকৃত পশু, আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত... ...বাকিটুকু পড়ুন

লবণ্যময়ী হাসি দিয়ে ভাইরাল হওয়া পিয়া জান্নাতুল কে নিয়ে কিছু কথা

লিখেছেন সম্রাট সাদ্দাম, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১:৫৪

ব্যারিস্টার সুমনের পেছনে দাঁড়িয়ে কয়েকদিন আগে মুচকি হাসি দিয়ে রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিল শোবিজ অঙ্গনে আলোচিত মুখ পিয়া জান্নাতুল। যিনি একাধারে একজন আইনজীবি, অভিনেত্রী, মডেল ও একজন মা।



মুচকি হাসি ভাইরাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশ এগিয়ে যাচ্ছে; ভাবতে ভালই লাগে

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৩


বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল নেতিবাচক। একই বছরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ১ শতাংশ। ১৯৭৩ সালে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭... ...বাকিটুকু পড়ুন

×