আমার চিকিৎসক মা
০৯ ই মে, ২০২১ দুপুর ১:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
চৈত্রের শেষে মা আমার পাটপাতা শুকান উঠোন জুড়ে। হাড়িপাতা দই কিংবা গামলা ভর্তি পান্তা নিয়ে সেরে ফেলি জাগতিক ক্ষুধা। নাগরিক কোলাহলে এই নগরে ইউটিউবে দেখি হাজারো প্রলাপ ‘সুস্হ থাকুন পান্তা খান’। পাটপাতা শুকালে ভাদ্রের কোনো এক বিষন্ন দুপুরে মা রাধেন শুটকীর ঝোল, পাটপাতা ভাজা। আমার বরষা দিনের কথা মনে পড়ে। সর্দিলাগা নাকবন্ধের দিনে মায়ের টোটকা চালভাজা ঝাল রসুন। লেবুর রস আর শসা খাওয়ার উৎসব হতো। খেয়েছি গিমাই শাক তুলসির পাতা সাতসকালে। পেটের পীড়ায় কলের ঠান্ডা জলে মেশানো পাকা বেল, কখনোবা বিচিওয়ালা মিষ্টি কলা। কখনো খাইয়েছে আনারসের পাতা, কাচা হলুদ কৃমি সারবে বলে। টিপে রাখা রক্তঝরা আঙুলে মা লাগিয়ে দিতেন কলমিপাতা। বিষফোড়ায় যন্ত্রনাকাতর দিনে ঘুম শেষে আবিষ্কার করা হতো মা লেপ্টে দিয়েছেন থানকুনি পাতা। রক্তশূন্য হাত দেখে মা রেধে দিতেন কচুপাতা, কলার তরু। বালিপড়া লালচে চোখে কলের পানি ঢেলে মা গুজে দিতেন সবুজ শাড়ির আচলের বাফ। চৌকিতে শুয়ে জ্বরের ঘোরে প্রলাপ বকা নিজেকে আবিষ্কার করা হতো জলপট্টি বাধা কপালে। ঠিক সকালে খালিপায়ে চলে গেছি লাটিম খেলায়। আমার এই চিকিৎসক মা কোথাও ডাক্তারি পড়েননি। আমরা ঠিকঠিক সেরে উঠতাম।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই মে, ২০২১ দুপুর ১:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।
মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন
এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো...
...বাকিটুকু পড়ুনলিখেছেন
স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩
তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে...
...বাকিটুকু পড়ুন ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি...
...বাকিটুকু পড়ুন প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন