somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হামাসের উত্থানের ইতিকথা, ইসরাইলের মূল উদ্দেশ্য আর ফিলিস্তিনে ঝরেছে ১৮শ' প্রাণ

০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ২:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ফিলিস্তিনি মুক্তি সংস্থা বা পিএলও যে স্বপ্ন ও উদ্দেশ্য নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তা পূরণ করতে না পারায় স্বভাবতই ১৯৮৭ সালে হামাস নামে নতুন এক দলের উৎপত্তি হয়। হামাস মূলত জায়নবাদী আগ্রাসী ইসরাইলের বিরুদ্ধে মজলুম ফিলিস্তিনিদের দুর্বার এক প্রতিরোধ আন্দোলনের নাম।

পিএলও প্রধান ইয়াসির আরাফাত ছিলেন আপোসহীন এবং আরাফাতের নেতৃত্বে পিএলও বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়।

আর ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত পিএলও ছিল দুর্দান্ত এক মিলিট্যান্ট সংগঠন। কিন্তু জাতিসংঘের প্রস্তাবে আরাফাত তথা পিএলও অস্ত্র পরিত্যাগ করে ইসরাইলের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসে।

১৯৯৩ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের মধ্যস্থতায় অসলো শান্তিচুক্তির মাধ্যমে ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয় ফাতাহ। আর এর বিনিময়ে আরাফাত পান নোবেল পুরস্কার।

এই চুক্তি সম্পর্কে ফিলিস্তিনের কণ্ঠস্বর এডওয়ার্ড সাঈদ স্থানীয় গণমাধ্যমে বলেছেন, ‘অসলো চুক্তি শুধু ফিলিস্তিনি দুর্বলতার প্রকাশই নয়, বরং বড় ধরনের অযোগ্যতা এবং ভুল হিসাবের কারণে হয়েছে, যার ফলাফল ভয়ঙ্কর হতে পারে। আরাফাত যে একটা ফিলিস্তিন রাষ্ট্র পান নাই তা বুঝতেও তার এক বছরের মতো সময় লেগেছে।

অসলোর গোপন চুক্তি তিনি করেছেন কেবল নিজেকে বাঁচানোর জন্যে। আরাফাত শুধু তার নিজের স্ট্যাটাস সংক্রান্ত প্যারাটাই পড়েছেন। তা পড়েই ভেবেছেন তিনি প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র পেয়ে গেছেন।’

এরপর ইসরাইল আলোচনার নামে সময়ক্ষেপণ করে ফিলিস্তিনি ভূমি দখল অব্যাহত রাখে আর অবৈধ বসতি স্থাপনের কাজ চলে জোর গতিতে। আলোচনার ফলাফল ফিলিস্তিনি জমিতে নতুন নতুন ইহুদি বসতি! আজকের ফাতাহ শাসিত পশ্চিম তীরে জালের মতো ছড়িয়ে আছে ইহুদী বসতি।

ফিলিস্তিনি অঞ্চলগুলো মানে পশ্চিম তীর ও জেরুজালেম অঞ্চল মৌমাছির মৌচাকের মতই ইহুদি বসতিতে ঝাঁঝরা হয়ে গেছে।

পিএলও অস্ত্র পরিত্যাগ করে শান্তি আলোচনায় মনোযোগী হওয়াতে পশ্চিমা নেতাদের বাহবা কুড়ালেও উল্লেখযোগ্য কোনো অর্জন করতে না পারায় তখন থেকেই ফাতাহ’র ক্ষয় শুরু হয়। আর স্বাভাবিকভাবেই শূন্যস্থান পূরণে উত্থান ঘটে ফাতাহর চেয়ে আরো সাহসী ও দুর্দান্ত যোদ্ধাদের সংগঠন হামাসের।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ইসরাইল এবং জাপান হামাসকে ‘সন্ত্রাসবাদী’ সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। সৌদি আরব, মিশর, আরব আমিরাতসহ আরো কিছু আরব দেশ হামাসকে ‘সন্ত্রাসী’ সংগঠন হিসাবেই বিবেচনা করে।

অন্যদিকে ইরান, সিরিয়া, কাতার, তুরস্ক, রাশিয়াসহ বিশ্বের আরো বিভিন্ন দেশ হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন নয় বরং একটি স্বাধীনতাকামী ও প্রতিরোধকামী সংগঠন হিসেবেই দেখে। হামাসের রাজনৈতিক শাখার পাশাপাশি আল কাসসাম ব্রিগেড নামে একটি সামরিক শাখা আছে। এই শাখাটিই মূলত ইসরাইলের সাথে গেরিলা ও সম্মুখ যুদ্ধরত।

হামাস শব্দের অর্থ ‘উদ্দীপনা’। হামাসের প্রতিষ্ঠাতা ফিলিস্তিনি ধর্মীয় নেতা শেখ আহমাদ ইয়াসিন। শেখ আহমেদ ইয়াসিন ছিলেন একজন পঙ্গু মানুষ এবং প্রায় অন্ধ। তিনি চলাফেরা করতেন হুইল চেয়ারে করে। যখন তার বয়স ১২ বছর তখন তিনি একটা দুর্ঘটনার শিকার হয়ে প্রতিবন্ধী হন।

তিনি মিশরে লেখাপড়ার পর ফিলিস্তিনে ফিরে এসে প্রতিষ্ঠা করেন হামাস। ২০০৪ সালের ২২ মার্চ ভোরে বাসা থেকে ১০০ মিটার দূরের মসজিদে হুইল চেয়ারে করে ফজরের নামাজ পড়ার জন্য মসজিদের দিকে যাচ্ছিলেন। ওই সময় ৬৪ অ্যাপাচি হেলিকপ্টার গানশিপ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে শেখ আহমাদ ইয়াসিনকে হত্যা করে ইসরাইল। এ সময় তার সঙ্গে থাকা বডিগার্ডসহ আরো ৯ জন পথচারী নিহত হন।

শেখ আহমাদ ইয়াসীন শহীদ হওয়ার কিছু দিনের মধ্যে ইসরাইল একই প্রক্রিয়ায় হত্যা করে হামাসের সদ্য নতুন প্রধান আবদুল আজিজ আল রানতিসিকে। দিনটি ছিল ১৭ এপ্রিল ২০০৪। রানতিসি একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞ ছিলেন।

শুরুতে এমনকি ইয়াসির আরাফাত জীবিত থাকাকালে হামাসের তেমন কোনো পরিচিতি ও জনপ্রিয়তা ছিল না। কিন্তু ফাতাহর ব্যর্থতাই ছিল হামাসের সফলতা! তবে ইয়াসির আরাফাত জীবিতকালীন পর্যন্ত হামাসের সাথে ফাতাহর কোনো দ্বন্দ্বও ছিল না। কিন্তু দ্বন্দ্ব শুরু হয় তখনই যখন ২০০৬ সালের পার্লামেন্ট নির্বাচনে হামাস বিপুল ভোটে বিজয়ী হয় এবং নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে।

এ নির্বাচনে পশ্চিমারা পর্যবেক্ষক ছিলেন। পশ্চিমারা বলেছিল, তারা নির্বাচনের ফলাফলকে মেনে নেবেন কিন্তু হামাস জয়ী হবে তারা তা কল্পনাও করতে পারেনি।

এর কারণ হচ্ছে— বছরের পর বছর ফাতাহকে প্রচুর ডলার সাহায্য দিত পশ্চিমারা। সে সময় প্রশ্ন ওঠে, এ সাহায্য গেল কোথায়? পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ইয়াসির আরাফাতের দল ফাতাহ দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে। আর জড়িয়েছে পশ্চিমা ও ইসরাইল প্রীতিতে।

প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পশ্চিমা বিশ্ব হামাসকে মেনে নিতে অস্বীকার করলো। এই হলো পশ্চিমাদের গণতন্ত্রের স্বরূপ।

যারা গণতন্ত্রের ফেরিওয়ালা তাদের অধীনেই অনুষ্ঠিত নির্বাচনে নির্বাচিত হামাসকে মেনে নিতে অস্বীকার করলো!

যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপসহ পশ্চিমাবিশ্ব একযোগে ঘোষণা করল, হামাস যতদিন সরকার হিসাবে থাকবে ততদিন তারা ফিলিস্তিনিদের কোনো সাহায্য সহযোগিতা করবে না। অন্যদিকে, ইসরাইলকে সর্বাত্মক সমর্থন দিয়ে যাবে।

ফাতাহ তথা মাহমুদ আব্বাসও সুযোগ খুঁজছিলেন হামাসকে কিভাবে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করা যায়। অনেক টানাপোড়নের পর ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট হিসাবে মাহমুদ আব্বাস হামাস সরকারকে বরখাস্ত করেন ও তার নিজ দল ফাতাহ দ্বারাই সরকার গঠন করেন।

স্বভাবতই নির্বাচনে বিজয়ী হামাস তা মেনে নিতে অস্বীকার করে। ফলে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ফলে ফিলিস্তিন হয়ে পড়ে দু’ভাগ। সেই থেকে পশ্চিম তীর শাসিত হচ্ছে মাহমুদ আব্বাসের দল ফাতাহ দ্বারা আর গাজা শাসিত হচ্ছে হামাস দ্বারা।

ইসরাইল তার আসল আধিপত্যবাদী অস্তিত্বের পথে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধক মনে করে আদর্শনিষ্ঠ ও অকুতোভয় হামাসকে। তাই হামাস গাজার শাসনভার কাঁধে তুলে নেয়ার পর থেকেই ইসরাইল অবরোধের মাধ্যমে এ ক্ষুদ্র জনপদের ১৫ লাখ মানুষকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে।

ফলে অসহায় গাজাবাসী বিনা দোষে মানবেতর জীবনযাপনে বাধ্য হয়েছে। গাজায় যাতে কোনো পণ্য সামগ্রী এমনকি খাদ্য পর্যন্ত ঢুকতে না পারে ইসরাইল কড়াকড়ি ব্যবস্থা গ্রহণ করে আর এ কাজে সহযোগিতা করে আসছে মিশর।

বহির্বিশ্বের সাথে গাজার একমাত্র সংযোগ পথটি হলো রাফা ক্রসিং যা মিশরের নিয়ন্ত্রণাধীন। গাজাবাসীকে এ পথ দিয়ে বহির্বিশ্বের সাথে যোগাযোগে সাহায্য করে মিশর। কিন্তু তা হোসনি মুবারকের আমল থেকেই বন্ধ ছিল। আর বাকি দিক ইসরাইল দ্বারা পরিবেষ্টিত ও একদিকে সাগর!

গাজার প্রতি এ অসহনীয় অবরোধ সহ্য করতে না পেরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে কিছু বিবেকবান মানুষ একত্রিত হয়।

আর্তমানবতা ডাকে সাড়া দিতে তারা সবাই ১০ হাজার টন সাহায্য সামগ্রী নিয়ে ৩১ মে ২০১০, ৬টি জাহাজের একটি বহর ফ্লোটিলা সাইপ্রাসের একটি বন্দর থেকে যাত্রা করে। তাদের লক্ষ্য ছিল অবরুদ্ধ গাজা। বহরের যাত্রীদের সবাই ছিলেন শান্তিবাদী ত্রাণকর্মী। ছিলেন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্যসহ ১৫টি দেশের নাগরিক।

দেশগুলো হলো— যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, কানাডা, গ্রীস, বেলজিয়াম, নরওয়ে, সার্বিয়া, সুইডেন, আয়ারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, আলজেরিয়া, তুরস্ক, কুয়েত, মালয়েশিয়া ও ফিলিস্তিন।

ভোরের আলো আঁধারিতে জাহাজগুলো যখন আন্তর্জাতিক পানিসীমায় ইসরাইল উপকূল থেকে ৪০ মাইল দূরে তখনি ইসরাইলী কমান্ডো হেলিকপ্টার থেকে নেমে হামলা চালায়। তারা নেমেই নির্বিচারে গুলি ছোড়ে। এতে ২০ জন নিহত ও ৬৬ জন আহত হন। নিহতদের প্রায় অর্ধেকই তুরস্কের নাগরিক। ইসরাইলী সেনারা হতাহত ও অন্যসব যাত্রীবাহী জাহাজগুলো আটক করে নিয়ে যায় তাদের বন্দরে।
হামাসের উদ্দেশ্য হলো— গাজা, ইসরাইল ও ওয়েস্ট ব্যাংক নিয়ে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা।

যদিও ২০০৯ সালে হামাসের রাজনৈতিক শাখা প্রধান খালেদ মাশআল দামেশকে এক বিবৃতিতে ১৯৬৭ সালের সীমানার ভিত্তিতে জেরুজালেমকে রাজধানী করে ইসরাইলকে মেনে নেয়ার কথা বলেছিলেন, কিন্তু ইসরাইল তা প্রত্যাখান করে।

আসলে ইসরাইলের মূল উদ্দেশ্য ফিলিস্তিনিদের সাথে সহাবস্থান নয় বরং উদ্দেশ্য সম্পূর্ণ ফিলিস্তিনসহ পার্শ্ববর্তী দেশগুলো দখল করে বৃহত্তর ইসরাইল প্রতিষ্ঠা করা। যে বৃহত্তর ইসরাইলের কথা ইহুদিদের ধর্মগ্রন্থে নাকি বর্ণিত আছে।

অবশ্য আদি ইহুদিরা এ কথা বিশ্বাস করে না বরং ইসরাইল রাষ্ট্রকে তারা তাদের ধর্মগ্রন্থের বাণীর পরিপন্থী বলে মনে করেন।

ইসরাইলের প্রচুর জমি দরকার কারণ ইসরাইল বিশ্বের সমগ্র ইহুদিদের নিজ নাগরিক মনে করে। তারা মনে করে একদিন বিশ্বের সমগ্র ইহুদি সম্প্রদায় একত্রিত হবে আর প্রতিষ্ঠা করবে বৃহত্তর ইসরাইল রাষ্ট্র।

বিশ্বে এরকম ভাবনার আর দ্বিতীয় কোনো নজীর নেই। আপনি যদি ইহুদি হন তাহলে আজই ইসরাইলের সাথে যোগাযোগ করুন।

আপনার সমস্ত খরচ ইসরাইল রাষ্ট্রীয়ভাবে বহন করে সেখানে আপনাকে নিয়ে যাবে এবং আপনি পাবেন ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করা কোনো এক বাড়ি আর থাকা, খাওয়া ও জীবিকা অর্জনের সব ব্যবস্থা তো আছেই!

ইসরাইলের কারাগারে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি এখনো মানবেতর জীবন যাপন করছে। এমন অনেকেই আছেন যাদের শিশুকালে ইসরাইল ধরে নিয়ে গেছে আর কারাগারেই বাকি জীবনটা পার করে দিয়েছেন। আর হামাস বা ফাতাহ’র তো হাজার হাজার নেতা কর্মী সমর্থক ইসরাইলি কারাগারে বন্দী আছেন আর গুপ্তহত্যার মাধ্যমে এ পর্যন্ত কতজন যে মারা গেছেন তার কোন ইয়ত্তা নেই।

মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে ইসরাইলের এত দহরম-মহরম সম্পর্ক থাকার পরেও মাঝে মাঝে ইসরাইলিরা মাহমুদ আব্বাসকেও হত্যার হুমকি দেয়! এজন্যই হামাস মাঝে মাঝে সুযোগ পেলে ইসরাইলি সেনাকে অপহরণ করে যাতে বন্দী বিনিময় চুক্তি করে ইসরাইলি কারাগার থেকে বন্দী ফিলিস্তিনিদের মুক্ত করা যায়।

এ রকমই গিলাদ শালিত নামে এক ইসরাইলি সেনার বিপরীতে গত ২০১১ সালে হামাস ১০৫০ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্ত করেছে! আর চলমান যুদ্ধেও ৪২ ইসরাইলী সেনা নিহত ১ ইসরাইলী সেনাকে বন্দী করেছে হামাস!

লক্ষ্য করার বিষয় হলো- ফিলিস্তিনিদের সাহায্য করার জন্য কোনো মুসলিম রাষ্ট্র এগিয়ে আসেনি একমাত্র ইরান ও সিরিয়া ছাড়া। সিরিয়া তো এখন নিজেই গৃহযুদ্ধ ও জঙ্গীদের দ্বারা এক জ্বলন্ত কড়াই। হামাসকে অর্থনৈতিক ও সামরিক সহযোগিতা একমাত্র ইরানই দিয়ে আসছে।

নেটে সার্চ দিলেই পাবেন আজকে হামাস যেসব অস্ত্র দিয়ে জায়নিস্টদের আক্রমণ প্রতিহত করছে সেসব অস্ত্র ইরানেরই প্রযুক্তির তৈরি বা ইরান কর্তৃক সরবরাহকৃত। অন্যদিকে আরবরা অস্ত্র দিচ্ছে সিরিয়া ও ইরাকের জঙ্গীদের যাতে তারা নিজেরা নিজেরাই যুদ্ধ করে মারা যায়। কিন্তু এই মেরুদ-হীন আরব শাসকরা ফিলিস্তিনিদের জন্য একটা বুলেটও পাঠাতে সাহস পায় না!

আরবদের যেসব উন্নত অস্ত্রশস্ত্র আছে সেসব তো পশ্চিমা দেশগুলো থেকে ক্রয় করা আর পশ্চিমা দেশগুলির প্রধান শর্তই হলো এসব অস্ত্র ইসরাইলের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা যাবে না। এই শর্ত পূরণ করলেই আরবরা তাদের কাছ থেকে অস্ত্র কিনতে পারে।

কিন্তু প্রশ্ন হলো— তাহলে পেট্রোডলার দিয়ে কেনা এসব অস্ত্র দ্বারা আরবরা করবে কী? ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতার জন্য আরব ইসরাইল যুদ্ধেরও প্রয়োজন নেই। ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতার জন্য ফিলিস্তিনিরা একাই যথেষ্ট, আজকে হামাসই তার প্রমাণ।

শুধু প্রয়োজন ফিলিস্তিনিদের অর্থনৈতিক ও সামরিক সহায়তা। ইসরাইলের সমমানের না হোক এর কাছাকাছি মানের অস্ত্র ফিলিস্তিনিদের হাতে থাকা নিশ্চিত করতে হবে। আর এই সহায়তার কাজটা করতে পারে একমাত্র আরবরাই। কারণ একা ও দূরবর্তী ইরান বা অন্য কোনো দেশ কতটুকু সাহায্য করতে পারে ফিলিস্তিনিদের যেখানে তারা ইসরাইল দ্বারা চারদিক থেকে অবরুদ্ধ।

তবে আরবরা ভাবছে, নিজে বাঁচলে বাপের নাম— ফিলিস্তিন শেষ হয় হোক। কিন্তু আরবরা ভুলে গেছে ফিলিস্তিন শেষ হওয়ার পর ইসরাইল বাপকেও ছাড়বে না। ইসরাইলের লক্ষ্য শুধু ফিলিস্তিন নয়, ইসরাইলের লক্ষ্য বৃহত্তর ইসরাইল।

কার্টেসী: আরটিএনএন
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×